বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্লেসিং মাহওয়্যার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Blessing Mahwire থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ব্লেসিং মাহওয়্যার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
এনগোনিদজাশি ব্লেসিং মাহওয়্যার
জন্ম (1982-07-31) ৩১ জুলাই ১৯৮২ (বয়স ৪২)
বিকিতা, মাসভিঙ্গো, জিম্বাবুয়ে
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৫)
৯ নভেম্বর ২০০২ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২০ সেপ্টেম্বর ২০০৫ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৭৭)
২৯ জানুয়ারি ২০০৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই৩ ডিসেম্বর ২০০৬ বনাম বাংলাদেশ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ২৩ ৭৭ ৮১
রানের সংখ্যা ১৪৭ ১১৭ ১,৮০০ ৬২৭
ব্যাটিং গড় ১৩.৩৬ ১০.৬৩ ১৭.১৪ ১৫.৬৭
১০০/৫০ ০/১ ০/০ ১/৪ ০/৩
সর্বোচ্চ রান ৫০* ২২* ১১৫ ৮৫
বল করেছে ১,২৮৭ ৮৮৫ ১১,০৩৫ ৩,৩১৪
উইকেট ১৮ ২১ ১৯৯ ৮৩
বোলিং গড় ৫০.৮৩ ৩৬.৯০ ৩০.২৪ ৩২.৪৪
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৯২ ৩/২৯ ৭/৬৪ ৪/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ৬/– ২৯/– ১৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ জুন ২০২০

এনগোনিদজাশি ব্লেসিং মাহওয়্যার (ইংরেজি: Blessing Mahwire; জন্ম: ৩১ জুলাই, ১৯৮২) মাসভিঙ্গোর বিকিতা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে সেন্ট্রালস, মনিকাল্যান্ড, মনিকাল্যান্ড এ, ম্যাশোনাল্যান্ড, সাউদার্ন রক্স, সাউদার্নস, জিম্বাবুয়ে বোর্ড সভাপতি একাদশ, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট একাডেমি, জিম্বাবুয়ে নির্বাচিত একাদশ, জিম্বাবুয়ে একাদশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ব্লেসিং মাহওয়্যার[]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ব্লেসিং মাহওয়্যারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দ্রুতগামী বোলার ও কার্যকরী নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্লেসিং মাহওয়্যার খেলতেন। মাসভিঙ্গোর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। প্রতিযোগিতাধর্মী অল-রাউন্ডার হিসেবে তাকে রাখা হয়। তবে, দলে অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে মাসভিঙ্গো থেকে স্বল্প কয়েকজন ক্রিকেটারের অন্যতম ছিলেন।

হারারেতে বিদ্যালয় পর্যায়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫৪ রান করেন। নিজেকে তিনি ব্যাটিংয়ে পারদর্শী বোলার হিসেবে পরিচিত করেন। সচরাচর, সম্মুখসারিতে বোলিং করতেন। ২০০১ সালে সিএফএক্স একাডেমিতে যুক্ত হন। এরপর, মনিকাল্যান্ডে চলে যান। তবে, সেখানে ব্যাটসম্যানের চেয়ে বোলারের দিকেই অধিক মনোনিবেশ ঘটান। কিন্তু, ব্যাটিংয়ের মান ঠিকই বজায় রাখেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটিমাত্র টেস্টে ও তেইশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ব্লেসিং মাহওয়্যার। ৯ নভেম্বর, ২০০২ তারিখে হারারেতে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ তারিখে একই মাঠে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অর্ধ-শতক করেন। নভেম্বর, ২০০২ সালে হারারেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক ঘটলেও তাকে বেশ হিমশিম খেতে হয়। এক বছর বাদে তাকে পুনরায় জাতীয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ২০০৩-০৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। সিডনিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। তবে, কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। তাসত্ত্বেও, মনেপ্রাণে খেলতেন ও নিজ দেশে নভেম্বর, ২০০৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হন।

কিন্তু, মে, ২০০৪ সালে তার বোলিংয়ের ত্রুটি লক্ষ্য করা যায় ও হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলার পর তিনি আইসিসি’র প্রতিবেদনে অভিযুক্ত হন। কেভিন কারেনের সহযোগিতায় তিনি তার বোলিং ভঙ্গীমায় পরিবর্তন আনেন। ২০০৫ সালে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন এবং বল ও ব্যাট হাতে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। তবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিনি বেশ নাকানি-চুবানির শিকার হন। ক্রমাগত তার সুইং বলগুলো দূরে সরে যেতে থাকে।

বোর্ডের সাথে আর্থিক মতবিরোধে খেলোয়াড়দের অনানুষ্ঠানিক মুখপত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর দ্বিতীয় স্তরের কোচ হিসেবে অগ্রসর হন ও ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট নরফোকভিত্তিক স্টো সি.সি. দলে বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Blessing Mahwire"। ESPN Cricket Info। 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]