বিষয়বস্তুতে চলুন

অ্যাডাম হাকল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা BanglaBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৯:৪১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (ত্রুটি সংশোধন, আইডি: ৮৮)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

অ্যাডাম হাকল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
অ্যাডাম জর্জ হাকল
জন্ম (1971-09-21) ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ (বয়স ৫৩)
বুলাওয়ে, জিম্বাবুয়ে
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ-ব্রেক গুগলি
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কমাইক হাকল (পিতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৫)
১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট১০ ডিসেম্বর ১৯৯৮ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৫১)
১১ অক্টোবর ১৯৯৭ বনাম বাংলাদেশ
শেষ ওডিআই১১ জুন ১৯৯৯ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯২ - ১৯৯৬ইস্টার্ন প্রভিন্স
১৯৯৭ - ১৯৯৯মাতাবেলেল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৯ ৪৯ ৩১
রানের সংখ্যা ৭৪ ৩৫২ ২২
ব্যাটিং গড় ৬.৭২ ২.২৫ ৮.৮০ ৩.৬৬
১০০/৫০ ০/৬ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ২৮* * ৪১ *
বল করেছে ১,৫৬৮ ৮৫৮ ৯,১৮২ ১,৩৬৭
উইকেট ২৫ ১১৯ ২২
বোলিং গড় ৩৪.৮৮ ৯৪.৪২ ৪২.৩৯ ৪৫.৭২
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/১০৯ ২/২৭ ৬/৫৯ ৪/৩৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/– ৭/– ১৬/– ৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ নভেম্বর ২০১৯

অ্যাডাম জর্জ হাকল (ইংরেজি: Adam Huckle; জন্ম: ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১) বুলাওয়েতে জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[][][]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে মাতাবেলেল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ইস্টার্ন প্রভিন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ লেগ-ব্রেক গুগলি বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন অ্যাডাম হাকল

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম পর্যন্ত অ্যাডাম হাকলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। জিম্বাবুয়েতে শৈশবকালে অতিবাহিত করার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হন। ইস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে খেলার সুযোগ লাভ করেন। এরপর ১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-২৪ দলে খেলার জন্যে মনোনয়ন লাভে স্বীয় সক্ষমতা দেখান। প্রাদেশিক দল থেকে স্থানচ্যুত হবার পর ১৯৯৭ সালে জিম্বাবুয়েতে প্রত্যাবর্তন করেন। এরফলে জিম্বাবুয়ে দলের বোলিং বিভাগ বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠে ও সফলতম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনের সূত্রপাত ঘটে অ্যাডাম হাকলের।

আক্রমণধর্মী বোলার হিসেবে পরিচিতি ছিল তার। বেশ ভালোভাবে বলকে শূন্যে ফেলে লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন ও বলকে যথেষ্ট বাঁক খাওয়াতে পারতেন। পাশাপাশি গুগলি বোলিং করতে পারতেন তিনি। সতীর্থ স্পিনারদের সাথে তুলনান্তে বেশ হালকা মানের বলও করতেন। তবে, প্রায়শঃই ব্যাট হাতে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্ট ও ঊনিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যাডাম হাকল। এ পর্যায়ে ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলেছেন। ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে হারারেতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে লাহোরে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

টেস্ট অভিষেক পর্বটি অ্যাডাম হাকলের জন্যে সুখকর ছিল না। নিজস্ব প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেট লাভ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রত্যাখ্যাত হবার পর টেস্টে তিনি লেগ স্পিনারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে অপূর্ব খেলা প্রদর্শন করেন। প্রথম ইনিংসে ৬/১০৯ লাভের পর ৫/১৪৬ পান। খেলায় তিনি ২৫৫ রান খরচায় ১১ উইকেট দখল করেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত এটিই টেস্টে যে-কোন জিম্বাবুয়ীয় বোলারের ১১ উইকেট লাভের একমাত্র ঘটনা ছিল। তবে, বারবার আম্পায়ারের কাছে আক্রমণাত্মক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাচ রেফারি সিদাথ ওয়েতিমুনির কাছ থেকে জরিমানার সম্মুখীন হন। জরিমানার পর মাঠের বাইরে ‘বিদায়’ শব্দটির প্রয়োগ ঘটান। শুনানিতে হাকল মন্তব্য করেন যে, নিশ্চয়ই আমরা নেটবল খেলতে আসিনি।

অ্যাডাম হাকলের পিতা মাইক হাকল ১৯৬০-এর দশকে ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে রোডেশিয়ার পক্ষে একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র

  1. "Players / Zimbabwe / ODI caps"Cricinfo। ৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  2. "Zimbabwe ODI Batting Averages"Cricinfo। ১১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. "Zimbabwe ODI Bowling Averages"Cricinfo। ২০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ