২০১৮–১৯ উয়েফা ইউরোপা লিগ
বিবরণ | |
---|---|
তারিখ | বাছাইপর্ব: ২৬ জুন – ৩০ আগস্ট ২০১৮ চূড়ান্ত পর্ব: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ – ২৯ মে ২০১৯ |
দল | চূড়ান্ত পর্ব: ৪৮+৮ মোট: ১৫৮+৫৫ (৫৫টি অ্যাসোসিয়েশন থেকে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | চেলসি (২য় শিরোপা) |
রানার-আপ | আর্সেনাল |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ২০৫ |
গোল সংখ্যা | ৫৬৫ (ম্যাচ প্রতি ২.৭৬টি) |
দর্শক সংখ্যা | ৫০,৩৮,১০৯ (ম্যাচ প্রতি ২৪,৫৭৬ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | অলিভিয়ে জিরু (১১ গোল) |
সেরা খেলোয়াড় | এদেন আজার[১] |
২০১৮–১৯ উয়েফা ইউরোপা লিগ উয়েফা কর্তৃক আয়োজিত ইউরোপীয় দলগুলোর ফুটবল প্রতিযোগিতার ৪৮তম আসর এবং উয়েফা কাপ হতে উয়েফা ইউরোপা লিগে নামে পরিবর্তন করার পর ১০ম আসর ছিল।
২০১৯ সালের ২৯শে মে তারিখে, আজারবাইজানের বাকুর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে[২] দুই ইংরেজ ক্লাব চেলসি এবং আর্সেনালের ম্যাচের মাধ্যমে এই আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি উয়েফা ইউরোপা লিগের ইতিহাসে প্রথমবার, যেখানে একই শহর হতে দুটি ক্লাব ফাইনালে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। ফাইনালে, চেলসি আর্সেনালকে ৪–১ গোলে হারিয়ে ২০১৯ উয়েফা সুপার কাপে ২০১৮–১৯ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের বিজয়ী দল লিভারপুলের বিরুদ্ধে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে এবং একই সাথে তারা ২০১৯–২০ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে; যেহেতু উভয় দল তাদের লিগের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লিগের পরবর্তী আসরের জন্য সরাসরি উত্তীর্ণ হয়, তাই তাদের জন্য সংরক্ষিত আসনটি ২০১৮–১৯ লিগ ১-এর ৩য় স্থান অধিকারীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।[৩]
উয়েফা ইউরোপা লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, এই আসরের ফাইনালে ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করা হয়েছে।[৪]
ইউরোপা লিগের শিরোপাধারী দল হওয়ার ফলে এবং একই সাথে তাদের লিগে খেলার মাধ্যমে আতলেতিকো মাদ্রিদ ২০১৯–২০ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। তাই, ২০১৯–২০ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ হওয়ার ফলে আতলেতিকো মাদ্রিদ তাদের ইউরোপা লিগের শিরোপা রক্ষণ করার প্রচেষ্টা করতে পারেনি।
বিন্যাস পরিবর্তন
[সম্পাদনা]২০১৬ সালের ৯ই ডিসেম্বর তারিখে, উয়েফা ২০১৮–২০২১ চক্রের জন্য উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সংস্কারের পরিকল্পনাটি নিশ্চিত করেছে, যা ২০১৬ সালের ২৬শে আগস্ট তারিখে ঘোষণা করা হয়েছিল।[৫][৬] নতুন নিয়ম অনুসারে, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের বাছাই পর্বে যে দলগুলো বাদ পড়েছে তারা ইউরোপা লিগে দ্বিতীয় সুযোগ পাবে।
পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]এই পরিসংখ্যানে বাছাইপর্ব এবং প্লে-অফ রাউন্ড বাদ দেওয়া হয়েছে।
সর্বোচ্চ গোলদাতা
[সম্পাদনা]অবস্থান | খেলোয়াড় | দল | গোল | মিনিট খেলেছে |
---|---|---|---|---|
১ | অলিভিয়ে জিরু | চেলসি | ১১ | ১১২৪ |
২ | লুকা ইয়োভিচ | এইনত্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ১০ | ৯৫৩ |
৩ | উইসাম বেন ইয়েদের | সেভিয়া | ৮ | ৬২১ |
মুনাস দাবুর | সালজবুর্গ | ৮৫৬ | ||
পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং | আর্সেনাল | ৯৩৪ | ||
৬ | ফ্রেড্রিক গুলব্রান্ডসেন | সালজবুর্গ | ৫ | ৪২৯ |
জিওভানি লো সেলসো | রিয়াল বেতিস | ৫৬৩ | ||
আলেসাঁদ্র লাকাজেত | আর্সেনাল | ৬৫১ | ||
সেবাস্তিয়েঁ আলের | এইনত্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৭৭০ | ||
পেদ্রো | চেলসি | ৯৪৪ |
উৎস:[৭]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Eden Hazard named Europa League Player of the Season"। UEFA.com। ৩০ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Baku to host 2019 UEFA Europa League final"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Real Madrid and Spain top UEFA rankings again"। UEFA.com। ২৯ মে ২০১৮।
- ↑ "VAR to be used in UEFA Champions League knockout phase"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ৩ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Evolution of UEFA club competitions for 2018–21 cycle"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২৬ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Lyon to host 2018 UEFA Europa League final"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ৯ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Statistics — Tournament phase — Players — Goals"। UEFA.com। Union of European Football Associations। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৯।