বিষয়বস্তুতে চলুন

সাইমন ডেভিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাইমন ডেভিস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
সাইমন পিটার ডেভিস
জন্ম৮ নভেম্বর, ১৯৫৯
ব্রাইটন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৩৩৬)
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮৭)
৯ জানুয়ারি ১৯৮৬ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৩ - ১৯৮৮ভিক্টোরিয়া
১৯৮২ - ১৯৮৩ডারহাম
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ৩৯
রানের সংখ্যা ২০
ব্যাটিং গড় ৫.০০
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান
বল করেছে ১৫০ ২০১৬
উইকেট ৪৪
বোলিং গড় ২৫.৭৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৩/১০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ৫/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ জুলাই ২০২০

সাইমন পিটার ডেভিস (ইংরেজি: Simon Davis; জন্ম: ৮ নভেম্বর, ১৯৫৯) ভিক্টোরিয়ার ব্রাইটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন সাইমন ডেভিস[]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৮৩-৮৪ মৌসুম থেকে মৌসুম ১৯৮৭-৮৮ পর্যন্ত সাইমন ডেভিসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মোট উইকেটের লাভের তুলনায় ২৬ রান কম ছিল তার।

ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম ইন-সুইং বোলার ছিলেন সাইমন ডেভিস। ১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডে মাইনর কাউন্টিজ ক্রিকেটে ডারহামের পক্ষালম্বন করেছেন। একবার ন্যাট ওয়েস্ট ট্রফি একদিনের প্রতিযোগিতায় ৭/৩২ লাভ করেছিলেন তিনি।

১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন ও একই মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার সদস্যরূপে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। খুব দ্রুত নিজেকে একদিনের ক্রিকেটের সাথে মানিয়ে নেন। মিডিয়াম-ফাস্ট ইন-সুইঙ্গার বোলার হিসেবে বেশ মিতব্যয়ী বোলিং করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে ও ঊনচল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সাইমন ডেভিস। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক টেস্টে অংশ নিলেও তিন মৌসুমে ৩৯টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ ছিল তার। অন্যদিকে, ৯ জানুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে মেলবোর্নে একই দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮ তারিখে একই মাঠে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।

বিশ্ব সিরিজ কাপ

[সম্পাদনা]

তৎকালীন নিষিদ্ধ ঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী দলের সদস্য হিসেবে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় নিষিদ্ধতার কবলে পড়লে শূন্যতা পূরণে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে বিশ্ব সিরিজ কাপে অস্ট্রেলিয়ার একদিনের দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক খেলায় ২/৩০ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন তিনি। সিরিজে অপূর্ব খেলেন তিনি। কপিল দেবের ২০ উইকেট লাভের পর ১৮ উইকেট নিয়ে তিনি দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ও সিরিজে সেরা ১৬.৬১ গড়ে উইকেট লাভ করেছিলেন। ওভার প্রতি ২.৯৩ রান প্রদান করেছিলেন তিনি।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলার প্রথমটিতে ভারতের বিপক্ষে ৩/১০ নিয়ে প্রতিপক্ষকে ১৭০ রানে গুটিয়ে দিতে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। এরপর, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় চূড়ান্ত খেলায় নির্ধারিত ১০ ওভারে ১/২৩ পান।

সুন্দর খেলা প্রদশনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড ও ভারত গমনার্থে তাকে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য করা হয়। ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ সালে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে নিজস্ব একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। ২৫ ওভার বোলিং করে ৭০ রান খরচ করেও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন ও একমাত্র ইনিংসে শূন্য রানে বিদেয় নেন।

মিতব্যয়ী বোলার হিসেবে সাইমন ডেভিস সুনাম অর্জন করলেও জানুয়ারি, ১৯৮৭ সালে পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডে বেনসন এন্ড হেজেস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় বিখ্যাত ইংরেজ অল-রাউন্ডার ইয়ান বোথামের কাছে নাকানি-চুবানির শিকার হন। এক ওভারে তিনি ২৬ রান তুলে নেন। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমের বিশ্ব সিরিজ কাপে অস্ট্রেলিয়ার একদিনের দলে সাইমন ডেভিসকে রাখা হয়।

ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮ সালে মেলবোর্নে দ্বি-শতবার্ষিকী একদিনের খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হয়ে যায়। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি মোটেই সুবিধের ছিলেন না। ব্যাটিংয়ে তার বেশ দূর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি মাত্র ৯৮ রান তুলতে পেরেছিলেন। ঐ তুলনায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার উইকেট লাভের সংখ্যা ছিল ১২৪।

ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ভিজেসিএ ক্লাব হায়েটে অধিনায়ক-কোচ হিসেবে যুক্ত হন। তাৎক্ষণিকভাবে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। দলকে সিনিয়র ডিভিশন ও সিনিয়র সেকেন্ডস ডিভিশন প্রিমিয়ারশীপের শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত কুইন্সল্যান্ডভিত্তিক সানশাইন কোস্ট গ্রামার স্কুলে গণিত বিষয়ে শিক্ষাদান করতেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Australia – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২০ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]