সমন জয়ন্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সমন জয়ন্ত
සමන් ජයන්ත
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামবারুশাভিথানা সমন জয়ন্ত
জন্ম (1974-01-26) ২৬ জানুয়ারি ১৯৭৪ (বয়স ৫০)
অ্যাম্বাল্যাঙ্গোদা, শ্রীলঙ্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১১৯)
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১৭
রানের সংখ্যা ৪০০
ব্যাটিং গড় ২৬.৬৬
১০০/৫০ ০/২
সর্বোচ্চ রান ৭৪*
বল করেছে ৫৫
উইকেট
বোলিং গড় -
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

বারুশাভিথানা সমন জয়ন্ত (তামিল: சமன் ஜயந்த; জন্ম: ২৬ জানুয়ারি, ১৯৭৪) অ্যাম্বাল্যাঙ্গোদা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বই চ্যাম্পস, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে রুহুনা, সিংহ ও সাউদার্ন প্রভিন্সে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন সমন জয়ন্ত

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার মৎস্যনির্ভর ছোট শহর অ্যাম্বাল্যাঙ্গোদায় পাঁচ সন্তানের একজন। বেশ মেধাবী ছাত্র ছিলেন ও কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তবে, এক সপ্তাহ পরই ক্রিকেটে মনোনিবেশের লক্ষ্যে পড়াশোনা ছেড়ে দেন।

১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সমন জয়ন্তের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বেশ দেরীতে খেলার জগতে প্রবেশ করেছেন। আক্রমণধর্মী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেললেও নিজ দেশের পক্ষে নিজেকে তেমন মেলে ধরতে পারেননি। ১৯৯৬ সালে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা কোল্টস একাদশকে নেতৃত্ব দেন। এরপর শ্রীলঙ্কা এ দলের সদস্য ছিলেন। ব্লুমফিল্ড ক্লাবের পক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে স্বীকৃতিস্বরূপ দল নির্বাচকমণ্ডলীর চোখে পড়ে। ২০০৩-০৪ মৌসুমে ৪৩ গড়ে ৭৩১ রান করে প্রথম-শ্রেণীর গড়কে সমৃদ্ধ করেন।

নভেম্বর, ২০০৩ সালে হংকং সিক্সেসে খেলেন। ঐ মাসের শেষদিকে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সতেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে, কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি তার। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪ তারিখে কলম্বোয় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৪ তারিখে অকল্যান্ডে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই খেলায় ২৪ রান সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনের সূচনা করেন সমন জয়ন্ত। মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছিলেন তিনি। এপ্রিল, ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়েকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশে শ্রীলঙ্কার বিজয়ে খেলার মানের উত্তরণ ঘটান। সিরিজের দ্বিতীয় ওডিআইয়ে ব্যক্তিগত সেরা অপরাজিত ৭৪ রান সংগ্রহ করে দলকে নয় উইকেটের সহজ বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা পালন করেন। বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজস্ব তৃতীয় ওডিআইয়ে অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর থেকে বিকল্প ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে দলে রাখা হতো।

২০০৪ সালের শুরুতে নিজস্ব শেষ ১৭শ ওডিআই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। তবে, ২০০৪ সালের এশিয়া কাপ চলাকালে ছয় খেলার তিনটিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর কিছুকাল দলের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উপর্যুপরি শূন্য রানের সন্ধান পেলে দল থেকে চলে আসতে হয়। ২০০৬ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায়ও তাকে সম্ভাব্য তালিকায় রাখা হয়।

ঘরোয়া ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে হংকং ক্রিকেট সিক্সেসের শিরোপা বিজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় ছয় উইকেট দখল করে শীর্ষস্থানীয় উইকেট সংগ্রাহকে পরিণত হন। ২০০৩ সালে একই প্রতিযোগিতায় ১৫২ রান তুলে শীর্ষস্থান দখল করেন ও দুইদিনের ঐ প্রতিযোগিতায় ব্যাটিং ও কার্যকরী স্পিন বোলিং করে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার পান। এছাড়াও, একমাত্র শ্রীলঙ্কান হিসেবে হংকং সিক্সেসের ইতিহাসে এ সম্মাননা পান।[১]

৩৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ত্যাগ করে অনানুষ্ঠানিক ভারতীয় ক্রিকেট লীগে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সালে তিনিসহ অপর চার শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এরফলে পুনরায় নিজ দেশে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Hong Kong International Cricket Sixes"Cricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]