সন্ন্যাসীর ধাপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সন্ন্যাসীর ধাপ
স্থানীয় নাম
হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির
বড় ট্যাংরা সন্ন্যাসীর ধাপ
ধরনপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
অবস্থানসদর উপজেলা
অঞ্চলবগুড়া জেলা
মালিকবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
সূত্র নংBD-E-03-97

সন্ন্যাসীর ধাপ বগুড়া জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ও দর্শনীয় স্থান।[১] সন্ন্যাসীর ধাপে দুটি ধাপ রয়েছে যার মধ্যে একটি অপরটি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরুত্বে অবস্থিত। এর মধ্যে একটি ধাপ অবস্থিত উপজেলার নামুজা ইউনিয়নে, বড় ট্যাংরা নামক গ্রামে এবং অপরটি অবস্থিত গোকুল ইউনিয়নে, সরলপুর নামক গ্রামে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সন্ন্যাসীর ধাপ দুটি কে বা কারা নির্মাণ করেছিলেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় তবে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন, এ অঞ্চলের তৎকালীন সনাতন হিন্দু সন্ন্যাসীগণ তাদের আখড়া হিসেবে এই ধাপ দুটি ব্যবহার করতেন। যেহেতু সন্ন্যাসীদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল তাই এদের সন্ন্যাসীর ধাপ নামে ডাকা হয়।

বড় ট্যাংরা সন্ন্যাসীর ধাপ[সম্পাদনা]

বড় ট্যাংরা সন্ন্যাসীর ধাপ।

নামুজা ইউনিয়নের বড় ট্যাংরার সন্ন্যাসীর ধাপটি বর্তমানে গাছাপালা ও ঘাস, লতাপাতায় আবৃত। তবে ধাপটির মাঝের অংশ উঁচু এবং চারদিকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে গিয়েছে। এর আয়তন প্রায় ২১৫ মিটার × ১৪৮ মিটার × ৭.৫ মিটার। এ ধাপটির চারপাশে বেশ কিছু পুরাতন ইটের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়।

সরলপুর সন্ন্যাসীর ধাপ[সম্পাদনা]

সরলপুর সন্ন্যাসীর ধাপ।

গোকুল ইউনিয়নের সরলপুরের সন্ন্যাসীর ধাপটি অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির। এর আয়তন প্রায় ৩৩ মিটার × ২৭ মিটার × ৬.৫ মিটার। যদিও মূল ঢিবিটি বর্তমানেও দেখতে পাওয়া যায় তবে স্থানীয় গ্রামবাসী এর উপরের অংশ ঈদগাহ মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]