মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা
মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার লোগো.png
মাদ্রাসার লোগো
ধরনএমপিও ভুক্ত
স্থাপিত১ জানুয়ারি ১৯৫৩; ৭০ বছর আগে (1953-01-01)
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া (২০০৬- ২০১৬)
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান)
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তিবাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
ঠিকানা
খালাদাপানিয়া
, , ,
EIIN সংখ্যা১১০৯৮৯
ওয়েবসাইটhttp://mikm.edu.bd/
http://110989.ebmeb.gov.bd/

মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল এমএ মাদ্রাসা বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার একটি উল্লেখযোগ্য আলিয়া মাদ্রাসা[১][২] এখানে আলিয়া মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শ্রেণী কামিল পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। এটি ফাজিল ও কামিল ডিগ্রির জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রয়েছে এবং দাখিল ও আলিম শ্রেণীর জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধিভুক্ত রয়েছে। ফলাফলের দিক থেকে মাদ্রাসাটি মানিকগঞ্জ জেলার শীর্ষে অবস্থান করে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৫৩ সালে স্থানীয় ইসলামি শিক্ষাবিদগণের উদ্যোগে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসাটি প্রথমে ছোট্ট পরিসরে ইবতেদায়ী শাখা দিয়ে তৈরি হলেও ধীরে ধীরে মাদ্রাসাটির কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়। ১৯৭৮ সালে মাদ্রাসাটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমতি লাভ করে। এরপর ধীরে ধীরে মাদ্রাসাটিতে দাখিল ও আলিম শ্রেণী অনুমোদন লাভ করে। এরপরে মাদ্রাসায় ফাজিল ও কামিল শ্রেণীর অনুমতি পায়। এটি বর্তমানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এফেলিয়েটেড রয়েছে।

২০০৬ সালে মাদ্রাসাটি ফাজিল ও কামিল ডিগ্রিকে সাধারণ শিক্ষার মানে উন্নিত করতে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত লাভ করে।[৩] এরফলে ফাজিল ও কামিল পরীক্ষা উভয় মিলিয়ে সাধারণ শিক্ষার পূর্ণ স্নাতক ডিগ্রির সমমান লাভ করে। এরপর ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়, এটি সেখানে স্থানান্তরিত করা হয়।[৪]

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

এই মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী থেকে শুরু করে আলিয়া মাদ্রাসার সর্বোচ্চ পর্যায় কামিল শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে। এই মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম পর্যায়ে বিজ্ঞান ও মানবিক উভয় শাখা রয়েছে। এবং ফাজিল ও পর্যায়ে আল কুরআন ও ইসলামি অধ্যয়ন, আল হাদিস ও ইসলামি অধ্যয়ন, দাওয়াহ প্রভৃতি বিভাগ চালু আছে। এছাড়াও কামিল পর্যায়ে আল কুরআন ও আল হাদিস নিয়ে উচ্চ পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।

সুযোগ-সুবিধা[সম্পাদনা]

এই মাদ্রাসা আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন একটি মাদ্রাসা। ছাত্রদের খেলার মাঠ, পড়াশোনার জন্য লাইব্রেরী, মেয়েদের অবসর কাটানোর জন্য কমন রুম সহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে।

ছাত্রাবাস[সম্পাদনা]

মাদ্রাসাটিতে একটি ছাত্রাবাস রয়েছে। ছাত্রাবাসে ফাজিল ও কামিল শ্রেণীর ছাত্ররা অবস্থান করে থাকে। তবে এখানে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা কম খরচে থাকা ও খাওয়ার সুবিধা পেয়ে থাকে। হোস্টেলের আংশিক খরচ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বহন করে থাকে।

খেলার মাঠ[সম্পাদনা]

মাদ্রাসার চারিদিকে দেয়ালের মাঝখানে শিক্ষার্থীদের খেলার জন্য সুবিশাল মাঠ রয়েছে। এখানে অবসর সময়ে ও পাঠদান শেষে মাদ্রাসার ছাত্ররা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এখানে খেলা-ধুলা করে থাকে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও করে থাকে।

গ্রন্থাগার[সম্পাদনা]

মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত লাইব্রেরী রয়েছে। দাখিল থেকে শুরু করে কামিল পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীরা এখান থেকে বই ধার নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। ফাজিল ও কামিল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উচ্চতর গবেষণাধর্মী বই রয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মাদ্রাসার তালিকা, মানিকগঞ্জ জেলা"www.manikganj.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৮ 
  2. "Manikgonj Islamia Kamil Madrasha - Sohopathi | সহপাঠী" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৮ 
  3. "আলিয়া মাদরাসার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ"lekhapora24.net। ২০২১-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৭ 
  4. "মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রত্যাশা"SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]