ব্যবহারকারী:Schwiki/খেলাঘর
এটি Schwiki-এর ব্যবহারকারী খেলাঘর। ব্যবহারকারী খেলাঘর হচ্ছে ব্যবহারকারী'র ব্যবহারকারী পাতার একটি উপপাতা। এটি ব্যবহারকারীর জন্য একটি তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা এবং পাতা উন্নয়নের স্থান হিসেবে কাজ করে এবং এটি বিশ্বকোষীয় নিবন্ধ নয়। আপনি এখানে নিজস্ব খেলাঘর তৈরি করতে বা সম্পাদনা করতে পারেন। অন্যান্য খেলাঘরগুলি: প্রধান খেলাঘর | খেলাঘর ২, খেলাঘর ৩ | টেমপ্লেট খেলাঘর একটি নিবন্ধ লিখেছেন এবং তা সৃষ্টির অনুরোধ করতে প্রস্তুত? |
হুগলি জেলার চন্দননগর। জগদ্ধাত্রী পুজো যেমন বিখ্যাত, তেমনই বিখ্যাত এখানকার জলভরা সন্দেশ। শহরের সব দোকানেই জলভরা সন্দেশ পাওয়া যায়। স্বাদে কমবেশি সকলেই সমান। কিন্তু নামে সবার উপরে ‘সূর্য মোদক’-এর জলভরা। ওই দোকানের আরও অনেক ভাল ভাল মিষ্টি থাকলেও জলভরা-র নাম সব থেকে বেশি। কারণ, ওই দোকানেই এই অবাক করা মিষ্টিটির জন্ম।
এখন ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর শহরে সূর্য মোদক সুইটসের অনেক শাখা। কিন্তু শুরুটা হয় ভদ্রেশ্বরের তেলেনীপাড়ায়। সেখানেই ছিল বন্দ্যোপাধ্যায়দের জমিদার বাড়ি। সেই জমিদার বাড়ির অন্দরমহলের দাবিতেই তৈরি করতে হয় এমন জামাই-ঠকানো মিষ্টি। নতুন জামাইকে প্রথম জামাইষষ্ঠীতে জব্দ করার জন্য চন্দননগরের লাগোয়া বারাসতের এক মিষ্টান্ন নির্মাতাও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। জমিদার বাড়ির মেয়েমহলের দাবি ছিল, এমন এক মিষ্টি বানাতে হবে, যা খেতে গিয়ে জামাই যেন এক্কেবারে হাঁদারাম বনে যায়! ময়রাও জমিদার বাড়ির মন এবং মান রাখার তাগিদে দুরন্ত বুদ্ধি আঁটলেন। ময়রাটির নাম সূর্যকুমার মোদক। আর সময়টা ছিল ১৮১৮ সাল।
জামাইষষ্ঠীর দিনে বাঁড়ুজ্জে বাড়ির নতুন জামাইয়ের পাতে দেখা গেল প্রকাণ্ড এক কড়াপাকের তালশাঁস সন্দেশ। আর জামাই সন্দেশে কামড় দেওয়া মাত্র সন্দেশের ভিতরের গোপন কুঠুরি থেকে গোলাপজল ছিটকে জামাইয়ের নতুন গরদের পাঞ্জাবিতে পড়ে একেবারে মাখামাখি কাণ্ড!
এই হল জলভরা সন্দেশের উৎপত্তির গল্প। এই সন্দেশ প্রস্তুতকারক হিসাবে খ্যাত সূর্য মোদকের মূল দোকানটি এখনও রয়েছে। ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগরের মাঝামাঝি এলাকায় জিটি রোডের পাশে।
এই সন্দেশ বানানো খুব সহজ কথা নয়। মূল উপাদান ছানা, চিনি। শীতকালে নলেন গুড়। আর বারমাস অবশ্যই চাই গোলাপজল। সেই গোলাপজল নাকি এখনও কনৌজ থেকেই আসে। ছাঁচের তৈরি এই কড়াপাকের সন্দেশ তৈরির পদ্ধতিটি দেখবার মতো। প্রথমে ছাঁচের মধ্যে কিছুটা সন্দেশ দেওয়া হয়, তারপর আঙুলের চাপে গর্ত করে নিয়ে সেই গর্তে চামচে করে ঢেলে দেওয়া হয় গোলাপজল। এর পরে আবার সন্দেশ দিয়ে বাকিটা সিল করে ছাঁচের মুখ বন্ধ করে দিলেই তৈরি হয়ে গেল জলভরা সন্দেশ।
চোদ্দ শাক[২]
প্রচলিত নাম ও বৈজ্ঞানিক নাম | প্রাপ্তিস্থল | রাসায়নিক যৌগের উপস্থিতি | ভোজ্য অংশ | রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতা | চিত্র |
---|---|---|---|---|---|
ওল | Example | বেটুমিলিক অ্যাসিড এবং স্টেরলিক যৌগ | কচিপাতা এবং ডগা | অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ, গ্যাস-অম্বল নাশক | Example |
কেও | ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা | পাতা | কৃমিনাশক, হজমকারক, ক্ষুধাবর্ধক | Example | |
বেতো | সাধারণত আগাছার মতো জন্মায় | প্রচুর পরিমাণে জৈব অ্যাসিড থাকে | পাতা এবং কচি ডগা | কৃমিনাশক, কোষ্ঠবদ্ধতা ও অম্বল প্রতিরোধক | Example |
কালকাসুন্দা | গ্রামাঞ্চলে রাস্তার ধারে | পাতা | অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, কোষ্ঠবদ্ধতা, অর্শ, ফিসচুলা, হুপিং কাশি, দাদ ইত্যাদির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় | Example | |
নিম | Example | কচিপাতা | কুষ্ঠ, যে কোন চর্মরোগ, জণ্ডিস, বহুমূত্র, একজিমার ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয় | Example | |
সরষে | Example | বিটা ক্যারোটিন | পাতা | মানব দেহের চামড়া, যকৃত এবং চোখের পক্ষে এই শাক অত্যন্ত উপকারি | Example |
শালিঞ্চা বা শাঞ্চে | ফাইটোস্পেরল | পাতা | সাধারণতঃ ক্ষুধাবর্ধক হিসাবে পরিচিত; এদের ব্যবহারে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় | Example | |
জয়ন্তী | Example | Example | উদরাময়, বহুমূত্র, শ্বেতী , জ্বর এবং কৃমি নাশকের কাজ করে;
সদ্য প্রসূতিদের জন্য এই শাক উপকারী |
Example | |
গুলঞ্চ Tinospora cordifolia | ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, এতে গ্লাইকোসাইড, প্রোটিন, উপক্ষার থাকে | পাতা | এই শাক সেবনে বাত, রক্তচাপ, একজিমা ও জন্ডিস নির্মূল হয়। তাছাড়া গুলঞ্চ শাক পরিপাকেও সাহায্য করে। | Example | |
পটুক পত্র বা পলতা | এর মধ্যে বিভিন্ন অত্যাবশ্যক ফ্যাটি অ্যাসিড, জৈব আসিড এবং খনিজ লবণ প্রচুর পরিমাণে থাকে। | পাতা | এই শাক যে কোন শ্বাসের রোগে কার্যকরী। এরা রক্তবর্ধক এবং লিভার ও চামড়ার রোগ সরাতে এদের প্রভূতভাবে ব্যবহার করা হয়। | Example | |
ভন্টাকি (ঘেঁটু) বা ভাঁট (Clerodendrum infortunatum) | প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে | পাতা | ফ্ল্যাভোনয়েড থাকার জন্য এটি ক্যানসার দমনে সহায়ক। এছাড়াও কৃমি, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার ও উদরাময় প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে এই শাক সাহায্য করে। | ||
হিলমোচিকা বা হিঞ্চে (Enhydra fluctuans) | ফাইটোস্টেরল সহ বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক পদার্থ | পাতা এবং কচি ডগা | এই শাক ভক্ষণে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে। শুধুমাত্র পিত্তনাশক হিসাবেই নয়, রক্তশোধক হিসাবে, ক্ষুধাবর্ধক এবং জ্বর নির্মূলকারী হিসাবে এর ব্যবহার অপরিসীম | ||
সুনিষন্নক বা শুষুনী বা শুষনি (Marsilea quadrifolia) | Example | পাতা | শুষনি শাক স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এরা নিদ্রাকারক, মেধা এবং স্মৃতিবর্ধক। হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক অস্থিরতা কমানোর জন্য এই শাক ব্যবহৃত হয়। | ||
শেলু বা শুলকা (Cordia dichotoma) | শুলকা একপ্রকার সুগন্ধি শাক | টাবপিনয়েড নামক রাসায়নিক উপাদান | পাতা | এদের ব্যবহারে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়াতে এবং ছোটদের পেটের রোগ সারাতে এই শাক অত্যন্ত উপকারি। |
- ↑ ঘোষ, পিনাকপাণি। "ষষ্ঠীতে জামাই ঠকাতে গিয়েই জন্ম নেয় চন্দননগরের জলভরা"। http://ebela.in। ABP Pvt. Ltd। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৬।
|website=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস (৯ নভেম্বর, ২০১৫)। "রোগের দাওয়াই ছিল চোদ্দো শাক"। সংগ্রহের তারিখ 3 সেপ্টেম্বর 2016। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)