ক্ল্যারি গ্রিমেট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
+বিষয়শ্রেণী:ডুনেডিনের ক্রীড়াব্যক্তিত্ব; +[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ায় নিউজিল্যান্ডীয় অভ... |
অ পরিমার্জন |
||
৫৫ নং লাইন: | ৫৫ নং লাইন: | ||
== খেলোয়াড়ী জীবন == |
== খেলোয়াড়ী জীবন == |
||
৩৩ বছর বয়সে টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ১৯২৪ থেকে ১৯৩৬ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩৭ টেস্টে অংশ নেন। উইকেট প্রতি ২৪.২১ গড়ে ২১৬ উইকেট সংগ্রহ করেন। ১৯২৫ সালে অভিষেক টেস্টেই [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিডনি টেস্টে [[ |
৩৩ বছর বয়সে টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ১৯২৪ থেকে ১৯৩৬ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩৭ টেস্টে অংশ নেন। উইকেট প্রতি ২৪.২১ গড়ে ২১৬ উইকেট সংগ্রহ করেন। ১৯২৫ সালে অভিষেক টেস্টেই [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিডনি টেস্টে [[টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে দুইবার ৫ উইকেট লাভকারী ক্রিকেটারদের তালিকা|দুইবার ৫-উইকেট]] শিকার করেন।<ref name="espncricinfo">{{Cite web|url=http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/62548.html |title=5th Test: Australia v England at Sydney, Feb 27-Mar 4, 1925 |accessdate=2011-12-13|work=espncricinfo}}</ref> টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। প্রতি খেলায় তিনি গড়ে ৬ [[উইকেট]] তুলে নেন। |
||
টেস্ট জীবনের শেষ চার বছর দলীয় সঙ্গী ও বিখ্যাত লেগ স্পিনার [[বিল ও’রিলি|বিল ও’রিলি’র]] সাথে অনেকগুলো উইকেট ভাগাভাগি করেন। সর্বমোট ২১বার পাঁচ-উইকেট ও খেলায় ৭বার ১০-উইকেট লাভ করেছেন। ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্টে অংশ নেন। সিরিজে ৪৪ উইকেট পেলেও নিজ দেশে ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে অনুষ্ঠিত সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দল থেকে বাদ পড়েন ও [[Frank Ward (cricketer)|ফ্রাঙ্ক ওয়ার্ড]] তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। ফলে ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে তিনি যাননি। |
টেস্ট জীবনের শেষ চার বছর দলীয় সঙ্গী ও বিখ্যাত লেগ স্পিনার [[বিল ও’রিলি|বিল ও’রিলি’র]] সাথে অনেকগুলো উইকেট ভাগাভাগি করেন। সর্বমোট ২১বার পাঁচ-উইকেট ও খেলায় ৭বার ১০-উইকেট লাভ করেছেন। ডারবানে [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকার]] বিপক্ষে শেষ টেস্টে অংশ নেন। সিরিজে ৪৪ উইকেট পেলেও নিজ দেশে ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে অনুষ্ঠিত সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দল থেকে বাদ পড়েন ও [[Frank Ward (cricketer)|ফ্রাঙ্ক ওয়ার্ড]] তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। ফলে ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে তিনি যাননি। |
||
== সম্মাননা == |
== সম্মাননা == |
০৭:০০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ক্রিকেট তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |
ক্ল্যারেন্স ভিক্টর ক্ল্যারি গ্রিমেট (ইংরেজি: Clarrie Grimmett; জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর, ১৮৯১ - মৃত্যু: ২ মে, ১৯৮০) নিউজিল্যান্ডের ডুনেডিনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন ক্ল্যারি গ্রিমেট। ক্রিকেট বোদ্ধাদের অভিমত, ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম স্পিন বোলার তিনি। এছাড়াও তিনি ফ্লিপারের উদ্ভাবক। বড়দিনে জন্ম নেয়া গ্রিমেট প্রসঙ্গে বিল ও’রিলি বলেন, ঐ দেশ থেকে বড়দিন উপলক্ষে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া গ্রহণ করেছে।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
শৈশবে বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক তাঁকে ফাস্ট বোলিংয়ের চেয়ে স্পিন বোলিংয়ে মনোনিবেশের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। ওয়েলিংটনে ক্লাব ক্রিকেটের পক্ষে খেলেন তিনি। ১৭ বছর বয়সে ওয়েলিংটনের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর। ঐ সময়ে নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেটভূক্ত দলের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়নি। ফলে, ১৯১৪ সালে প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন।
সেখানে তিন বছর সিডনির ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেন। ভিক্টোরিয়ার এক রমণীর পাণিগ্রহণ করে মেলবোর্নে চল যান ও ভিক্টোরিয়া বুশর্যাঞ্জার্সের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন ও প্রভূতঃ সফলতা লাভ করেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
৩৩ বছর বয়সে টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ১৯২৪ থেকে ১৯৩৬ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩৭ টেস্টে অংশ নেন। উইকেট প্রতি ২৪.২১ গড়ে ২১৬ উইকেট সংগ্রহ করেন। ১৯২৫ সালে অভিষেক টেস্টেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিডনি টেস্টে দুইবার ৫-উইকেট শিকার করেন।[২] টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। প্রতি খেলায় তিনি গড়ে ৬ উইকেট তুলে নেন।
টেস্ট জীবনের শেষ চার বছর দলীয় সঙ্গী ও বিখ্যাত লেগ স্পিনার বিল ও’রিলি’র সাথে অনেকগুলো উইকেট ভাগাভাগি করেন। সর্বমোট ২১বার পাঁচ-উইকেট ও খেলায় ৭বার ১০-উইকেট লাভ করেছেন। ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্টে অংশ নেন। সিরিজে ৪৪ উইকেট পেলেও নিজ দেশে ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে অনুষ্ঠিত সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দল থেকে বাদ পড়েন ও ফ্রাঙ্ক ওয়ার্ড তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। ফলে ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে তিনি যাননি।
সম্মাননা
১৯৩১ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন। ১৯৯৬ সালে প্রবর্তিত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেমে প্রথম দশজন অন্তর্ভুক্ত সদস্যের একজন হিসেবে তাঁর অন্তর্ভুক্তি ঘটে। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৩]
১৯৮০ সালে অ্যাডিলেডে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
- ↑ Bill O'Reilly, "Clarrie Grimmett", in John Woodcock (ed.) Wisden Cricketers' Almanack 1981 (Queen Anne Press, London, 1981) 103-105 at 103.
- ↑ "5th Test: Australia v England at Sydney, Feb 27-Mar 4, 1925"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩।
- ↑ "Sutcliffe, Grimmett, Trumper, Wasim and Waugh new inductees into Cricket Hall of Fame"।
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ক্ল্যারি গ্রিমেট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ক্ল্যারি গ্রিমেট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
রেকর্ড | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সিডনি বার্নস |
বিশ্বরেকর্ড - টেস্টে সর্বাধিক উইকেট লাভ ৩৭ টেস্টে ২১৬ উইকেট (২৪.২১) রেকর্ড ধারণ: ৪ জানুয়ারি, ১৯৩৬ - ২৪ জুলাই, ১৯৫৩ |
উত্তরসূরী অ্যালেক বেডসার |
- অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার
- ১৮৯১-এ জন্ম
- ১৯৮০-এ মৃত্যু
- অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটার
- টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে ৫ উইকেট লাভকারী ক্রিকেটার
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
- আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে প্রবেশকারী
- কেনসিংটনের ক্রিকেটার
- দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার
- ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেটার
- ওয়েলিংটনের ক্রিকেটার
- সাউথ মেলবোর্নের ক্রিকেটার
- ইনিংসে ১০ উইকেট লাভকারী ক্রিকেটার
- ডুনেডিনের ক্রীড়াব্যক্তিত্ব
- অস্ট্রেলিয়ায় নিউজিল্যান্ডীয় অভিবাসনকারী