বাদল সরকার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাদল সরকার
২০১০ সালে বাদল সরকার
জন্ম
সুধীন্দ্রনাথ সরকার

(১৯২৫-০৭-১৫)১৫ জুলাই ১৯২৫
মৃত্যু১৩ মে ২০১১(2011-05-13) (বয়স ৮৫)
কলকাতা
পেশানাট্যকার, পরিচালক
কর্মজীবন১৯৪৫ - ২০১১
উল্লেখযোগ্য কর্ম
এবং ইন্দ্রজিৎ (১৯৬৩)
পাগলা ঘোড়া (১৯৬৭)
উচ্চতা৫'৫"
পুরস্কারসঙ্গীত নাটক একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৬)
পদ্মশ্রী (১৯৭২)
সঙ্গীত নাটক একাডেমী ফেলোশিপ (১৯৯৭)

বাদল সরকার (১৫ জুলাই, ১৯২৫ - ১৩ মে, ২০১১) একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি নাট্যব্যক্তিত্ব। যিনি থার্ড থিয়েটার নামক ভিন্ন ধারার নাটকের প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত। ৭০ দশকের নকশাল আন্দোলনের সময় প্রতিষ্ঠান বিরোধী নাটক রচনার জন্যে তিনি পরিচিত হন, মঞ্চের বাইরে সাধারণ মানুষের ভেতর নাটক'কে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রথম কাজ বাদল সরকারের। তার নিজস্ব নাটক দল শতাব্দী গঠিত হয় ১৯৭৬ সালে। ভারতে আধুনিক নাট্যকার হিসেবে হাবিব তনভীর, বিজয় তেন্ডুলকর, মোহন রাকেশ এবং গিরিশ কারনাডের পাশাপাশি বাংলায় বাদল সরকারের নাম উচ্চারিত হয়।[১]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯২৫ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বাদল সরকার। তার স্কুল ও কলেজ জীবনে তার নাম ছিল সুধীন্দ্রনাথ সরকার। কিন্তু পরবর্তী কালে পরিচিত হয়েছিলেন বাদল সরকার নামে৷ স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হয়ে ভর্তি হন শিবপুর বেংগল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। পেশাগত দিক থেকে ছিলেন টাউন প্ল্যানার৷ শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তার অন্যতম সহপাঠী ছিলেন সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যাল[২] সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর টাউন প্ল্যানার হিসেবে কাজ করেছেন ভারতে ও বিভিন্ন দেশে। ইংল্যান্ড ও নাইজেরিয়াতে পেশার কাজে যান৷ আবার সাহিত্য-নাটকের প্রতি আগ্রহের জন্য বৃদ্ধ বয়েসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পারেটিভ লিটারেচার ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন৷ ১৯৯২ সালে সেখান থেকে এই বিষয়ে এম.এ পাশ করেন তিনি৷

নাট্যজগত[সম্পাদনা]

পাঁচের দশকের শুরুর দিক থেকেই তাঁর নাট্যজীবন শুরু হয়। প্রথম জীবনে শৌখিন থিয়েটারে অভিনয়ের পর ‘শতাব্দী’ নামে নতুন একটি নাট্যগোষ্ঠী তৈরি করেন তিনি যে কথা আগেই বলা হয়েছে। কলকাতার কার্জন পার্কে নিয়মিত এই গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বাদল সরকার থার্ড থিয়েটারে অভিনয় করেছেন। নাটক রচনার ক্ষেত্রে তিনি মূলত অ্যাবসার্ড নাট্যদর্শন দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ তাঁর লেখা সর্বাধিক জনপ্রিয় নাটক। শুধু নাটক নয়, অনেক বিদেশি গল্প অনুসরণে তিনি বহু বাংলা গল্পও লিখেছেন। বাংলা থিয়েটারের ইতিহাসে অন্যধারার শিল্পী হিসেবে তিনি আজও স্মরণীয়।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের ১৩মে কলকাতাতে তার মৃত্যু হয়৷ তার নাটক সবসময়ই বহু আআলোচিত, অভিনীত হলেও তিনি শেষ দুই দশক প্রায় লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিলেন।[৩]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

১৯৬৮ সালে সঙ্গীত নাটক আকাডেমি পুরস্কার ও ১৯৭২ সালে পদ্মশ্রী খেতাব পান তিনি৷ ১৯৯৭ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি ফেলোশীপ থেকে ভারত সরকার তাকে সংস্থার সর্ব্বোচ্চ পুরস্কার “রত্ন সদস্য” পদক দেয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. রানা দাস। "বাংলায় 'থার্ড থিয়েটার' ও বাদল সরকার"kolkata24x7.com। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৭ 
  2. বিশ্বাস, পিনাক (২০১৭-০৫-১৫)। "এক নাট্যকারের কিস্যা"৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৩ 
  3. "থার্ড থিয়েটারের জনক বাদল সরকার স্মরণে রিফট-এর শোক সভা"khulnanews.com। ১৪ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]