নেপচুনোত্তর বস্তু
নেপচুনোত্তর বস্তু বা নেপচুন-উত্তর বস্তু (ইংরেজি: trans-Neptunian object বা transneptunian object সংক্ষেপে TNO, বা বাংলায় নেউব) বলতে সৌর জগতের সে সকল গৌণ গ্রহরাশি বোঝায় যা সূর্যকে নেপচুন অপেক্ষা বেশি গড় দূরত্বে (অর্ধ-মুখ্য অক্ষ), অর্থাৎ ৩০ মহাকাশীয় এককের (AU) বেশি দূরত্বে প্রদক্ষিণ করে। ১৫০ AU এর বেশি অর্ধ-মুখ্য অক্ষ এবং ৩০ AU এর বেশি অনুসূর বিশিষ্ট ১২ টি গৌণ গ্রহ[nb ১] এর অস্তিত্ব এ পর্যন্ত জানা গেছে, এদের চরম নেপচুনোত্তর বস্তু (ইংরেজি: extreme trans-Neptunian object সংক্ষেপে ETNO) বলা হয়।[১] ১৯৩০ সালে প্রথম নেপচুনোত্তর বস্তু প্লুটো আবিষ্কৃত হয়। ১৯৯২ সালে দ্বিতীয় নেপচুনোত্তর বস্তুর খোঁজ পাওয়া যায়, যার নাম (১৫৭৬০) ১৯৯২ কিউবি১। জুলাই ২০১৫ পর্যন্ত গৌণ গ্রহ কেন্দ্রের নেপচুনোত্তর বস্তুর তালিকা-য় ১,৬৫০ এর অধিক নেপচুনোত্তর বস্তু তালিকাভুক্ত হয়েছে।[২][৩] এই বস্তুগুলোর মাঝে ১,৪৭১ টির অনুসূর দূরত্ব নেপচুনের (৩০.১ AU) চেয়ে বেশি।[৪] নভেম্বর ২০০৯ পর্যন্ত এদের মাঝে যাদের কক্ষপথ যথেষ্ট ভালভাবে নির্ণিত হয়েছে এমন ২০০ টি বস্তুকে গৌণ গ্রহ আখ্যাপ্রদান করা হয়েছে।[২][৫] নেপচুনোত্তর বস্তুর মাঝে বৃহত্তম হল প্লুটো, এরপর যথাক্রমে এরিস, মাকেমাকে, ২০০৭ ওআর১০, এবং হাউমেয়া। নেপচুনোত্তর বস্তুগুলোর ব্যাপ্তি সচরাচর কাইপার বেষ্টনী, বিক্ষিপ্ত চাকতি ও উর্ট মেঘ - এই তিন অঞ্চলে ভাগ করা হয়;[৬] তবে অনেক ক্ষেত্রে অন্যভাবেও শ্রেণিবিভাগ করা হয়, এবং কিছু কিছু বস্তু যেমন সেডনা কে সহজে শ্রেণীভুক্ত করা যায়নি।[nb ২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্লুটো আবিষ্কার
[সম্পাদনা]প্রত্যেক গ্রহের কক্ষপথ অন্যান্য গ্রহের মহাকর্ষীয় দ্বারা প্রভাবিত। ১৯০০ দশকের প্রথম ভাগে ইউরেনাস ও নেপচুনের নিরীক্ষিত ও প্রত্যাশিত কক্ষপথের মাঝে অসামঞ্জস্যের পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করা হয় যে নেপচুনের পরে অতিরিক্ত এক বা একাধিক গ্রহ রয়েছে। এই গ্রহগুলির জন্য খোঁজের মাধ্যমেই ১৯৩০ সালে প্লুটো আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু, কাক্ষিক অসামঞ্জস্য ব্যাখ্যা করার মত যথেষ্ট ভর প্লুটোর নেই, এবং ১৯৮৯ সালে ভয়েজার ২ এর পার্শ্বউড়ালের (flyby) সময় নেপচুনের ভরের সংশোধিত অনুমান থেকে দেখা যায় সমস্যা যা মনে করা হত, আসলে তা না। প্লুটো সবচেয়ে সহজে খুঁজে পাওয়া যাওয়ার কারণ জানা নেপচুনোত্তর বস্তুগুলোর মাঝে এর ঔজ্জ্বল্যের আপাত মান সর্বোচ্চ। এছাড়াও ক্রান্তিবৃত্তের প্রতি এর নতি বেশিরভাগ নেপচুনোত্তর বস্তু অপেক্ষা কম।
অন্যান্য নেপচুনোত্তর বস্তু আবিষ্কার
[সম্পাদনা]ব্যাপ্তি ও শ্রেণিবিন্যাস
[সম্পাদনা]উল্লেখযোগ্য নেপচুনোত্তর বস্তুসমূহ
[সম্পাদনা]সম্ভাব্য গ্রহসুলভ আকারের নেপচুনোত্তর বস্তু
[সম্পাদনা]ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ
[সম্পাদনা]রঙ
[সম্পাদনা]চিরায়ত (ক্ল্যাসিক্যাল) বস্তু
[সম্পাদনা]বিক্ষিপ্ত চাকতিস্থিত বস্তু
[সম্পাদনা]বৃহত্তম বস্তুসমূহ
[সম্পাদনা]বর্ণচ্ছটা
[সম্পাদনা]আকার নির্ধারণ
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]টীকাসমূহ
[সম্পাদনা]- ↑ 2003 SS422 is excluded from the count because it has an observation arc of only 76 days and hence its semi-major axis is not securely known.
- ↑ The literature is inconsistent in the use of the phrases "scattered disc" and "Kuiper belt". For some, they are distinct populations; for others, the scattered disk is part of the Kuiper belt, in which case the low-eccentricity population is called the "classical Kuiper belt". Authors may even switch between these two uses in a single publication.[৭] In this article, the scattered disk will be considered a separate population from the Kuiper belt.
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ C. de la Fuente Marcos; R. de la Fuente Marcos (সেপ্টেম্বর ১, ২০১৪)। "Extreme trans-Neptunian objects and the Kozai mechanism: signalling the presence of trans-Plutonian planets"। Monthly Notices of the Royal Astronomical Society। 443 (1): L59–L63। arXiv:1406.0715 । ডিওআই:10.1093/mnrasl/slu084। বিবকোড:2014MNRAS.443L..59D।
- ↑ ক খ IAU Minor Planet Center List Of Transneptunian Objects
- ↑ "JPL Small-Body Database Search Engine: orbital class (TNO)"। JPL Solar System Dynamics। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-১০।
- ↑ "JPL Small-Body Database Search Engine: orbital class (TNO) and q > 30.1 (AU)"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-১১।
- ↑ List of Centaurs and Scattered Disc objects
- ↑ Remo, John L. (২০০৭)। "Classifying Solid Planetary Bodies"। AIP Conference Proceedings। 886: 284–302। ডিওআই:10.1063/1.2710063। বিবকোড:2007AIPC..886..284R।
- ↑ McFadden, Weissman, & Johnson (2007). Encyclopedia of the Solar System, footnote p. 584