দাভিদ দে হেয়া
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | দাভিদ দে হেয়া কিন্তানা[১] | ||
জন্ম | [২] | ৭ নভেম্বর ১৯৯০||
জন্ম স্থান | মাদ্রিদ, স্পেন | ||
উচ্চতা | ১.৯২ মিটার (৬ ফুট ৩+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | গোলরক্ষক | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০৩–২০০৮ | আতলেতিকো মাদ্রিদ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৮–২০০৯ | আতলেতিকো মাদ্রিদ যুব | ৩৫ | (০) |
২০০৯–২০১১ | আতলেতিকো মাদ্রিদ | ৫৭ | (০) |
২০১১–২০২৩ | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৪১৫ | (০) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৪ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৫ | ১২ | (০) |
২০০৭ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৭ | ১৫ | (০) |
২০০৭–২০০৯ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯ | ১৫ | (০) |
২০০৯ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২০ | ১ | (০) |
২০০৯–২০১৩ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ | ২৭ | (০) |
২০১২ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ | ৫ | (০) |
২০১৪–২০২১ | স্পেন | ৪৫ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৩:২৫, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৩:২৫, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
দাভিদ দে হেয়া কিন্তানা (স্পেনীয় উচ্চারণ: [daˈβið ðe ˈxea kinˈtana], স্পেনীয়: David de Gea; জন্ম: ৭ নভেম্বর ১৯৯০; দাভিদ দে হেয়া নামে সুপরিচিত) হলেন একজন স্পেনীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি সর্বশেষ ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং স্পেন জাতীয় দলের হয়ে গোলরক্ষক হিসেবে খেলেছেন।
২০০৩–০৪ মৌসুমে, মাত্র ১৩ বছর বয়সে, স্পেনীয় ফুটবল ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে দে হেয়া ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০০৮–০৯ মৌসুমে, প্রথমে আতলেতিকো মাদ্রিদ যুব দলের হয়ে এবং পরবর্তীতে আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি দুই মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে তিনি ৩৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০১১–১২ মৌসুমে, তিনি প্রায় ২৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ হতে ইংরেজ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেছেন।
২০০৪ সালে, দে হেয়া স্পেন অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে স্পেনের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৮ বছর যাবত স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০১৪ সালে স্পেনের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; স্পেনের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৪৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি স্পেনের হয়ে এপর্যন্ত ২টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০১৪ এবং ২০১৮) এবং ২টি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে (২০১৬ এবং ২০২০) অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে, দে হেয়া বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৭–১৮ প্রিমিয়ার লিগে গোল্ডেন গ্লাভস জয়লাভ এবং ২০১৮ ফিফপ্রো ফিফা বিশ্ব একাদশে অন্তর্ভুক্তি অন্যতম।[৩][৪] দলগতভাবে, দে হেয়া এপর্যন্ত ১২টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২টি আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে, ৭টি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে এবং ৩টি স্পেনের হয়ে জয়লাভ করেছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]দাভিদ দে হেয়া কিন্তানা ১৯৯০ সালের ৭ই নভেম্বর তারিখে স্পেনের মাদ্রিদে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
ক্লাব ফুটবল
[সম্পাদনা]আতলেতিকো মাদ্রিদ
[সম্পাদনা]দে হেয়া ১০ বছর বয়সে আতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দেন। তিনি তার ২য় মৌসুম সেগুন্দা ডিভিশন বি তে আতলেতিকো মাদ্রিদ(বি) এর হয়ে খেলেন।আতলেতিকো মাদ্রিদের প্রধান গোলরক্ষক সার্জিও অ্যাছেঞ্জো ২০০৯ ফিফা অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপে ডাক পেলে দে হেয়াকে দলের ২য় গোলরক্ষক রবার্তোর বিকল্প হিসেবে সিনিয়র টিমে নেয়া হয়। আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে দে হেয়ার অভিষেক ঘটে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে, ১৮ বছর বয়সে। ২০০৯-১০ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ান্স লিগে এফসি পোর্তোর বিপক্ষে ওই ম্যাচটিতে তিনি ২৭ মিনিটে চোটপ্রাপ্ত গোলরক্ষক রবার্তোর বদলী হিসেবে নামেন;ম্যাচটিতে তিনি ২ গোল হজম করেন যার ফলশ্রুতিতে আতলেতিকো মাদ্রিদ ২-০ গোলে হেরে যায়।[৫]
রবার্তোর ইনজুরির ফলে ওই ম্যাচের ৩ দিন পর লা লিগায় রেয়াল জারাগোজার বিরুদ্ধে দে হেয়ার অভিষেক ঘটে। ওই ম্যাচে তিনি ডি-বক্সে ফাউল করার কারণে জারাগোজা একটি পেনাল্টি পায়, যদিও তিনি তা ঠেকিয়ে দেন এবং ঘরের মাঠে নিজের দলকে ২-১ গোলে জয় পেতে সহায়তা করেন।[৫] দলের প্রধান গোলরক্ষক অ্যাছেঞ্জোর খারাপ পারফর্মেন্স ও দলের নতুন ম্যানেজার গিগে ফ্লোরেসের আসার পর দে হেয়া ২০০৯-১০ মৌসুমে আতলেতিকো মাদ্রিদের প্রধান গোলরক্ষক হয়ে যান। ওই মৌসুমে তিনি ২ টি ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।[৬] এছাড়াও তিনি ২০০৯-১০ মৌসুমে ইউরোপা লিগ জয়ী আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে ৮ টি ম্যাচে মাঠে নামেন যার মধ্যে ফাইনালে ফুলহামের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ের ম্যাচটিও অর্ন্তভুক্ত[৭]
দে হেয়া ২০১০-১১ মৌসুমেও ভাল সূচনা করেন এবং আতলেতিকো মাদ্রিদকে ২০১০ উয়েফা সুপার কাপ জিততে সাহায্য করেন। ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জেতা ওই ম্যাচে তিনি ৯০ মিনিটে দিয়াগো মিলিতোর পেনাল্টি সেভ করেন।[৮] ওই মৌসুমের বাকি সময়টুকু তিনি দলের প্রধান গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন যাতে আতলেতিকো লা লিগায় ৭ম স্থান লাভ করেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
[সম্পাদনা]২০১১–১২ মৌসুম
[সম্পাদনা]২০১১ সালের প্রথমার্ধে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রধান গোলরক্ষক ভ্যান ডার স্যারের অবসর ঘোষণার পর কে তার উত্তরসূরি হবেন এই নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা চলতে থাকে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন দাভিদ দে হেয়া[৯] ২৪ মে জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে গ্যারি নেভিলের টেস্টিমোনিয়াল ম্যাচের পর(ক্লাবে ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে খেলোয়াড়ের সম্মানার্থে খেলা ম্যাচ) ইউনাইটেড ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন দাবি করেন যে তারা দে হেয়াকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পন্ন করেছেন, যদিও দে হেয়ার প্রতিনিধি ও আতলেতিকো মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে এবং দে হেয়া বলেন যে ২০১১ উয়েফা অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে তিনি এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত জানাবেন না[১০] ওই টুর্নামেন্টে স্পেনের জয়লাভ করার পর, ২৭ জুন দে হেয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ম্যানচেস্টারে দেখা যায়[১১] এর পর দিন তিনি জানান যে ইউনাইটেড তাকে চুক্তি জন্য প্রস্তাব করেছে। ২৯ জুন নিশ্চিত হওয়া যায় যে তার ট্রান্সফার ফি ছিল £১৭.৮ মিলিয়ন যা যেকোন গোলরক্ষকের জন্য একটি ব্রিটিশ রেকর্ড।[১২]
দে হেয়া ২৩ জুলাই ২০১১ সালে শিকাগো ফায়ারের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম মাঠে নামেন; খেলায় ইউনাইটেড ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করে। প্রতিযোগিতাপুর্ন খেলায় দে হেয়ার অভিষেক ঘটে ৭ই আগস্ট, ইউনাইটেডের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে কমিউনিটি শিল্ড কাপের ম্যাচে। উক্ত ম্যাচে জুলিয়ন লেসকট ও এডিন জেকোর গোলে সিটি ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও ইউনাইটেড শেষপর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নেয়।[১৩] প্রিমিয়ার লিগে তার অভিষেক ঘটে ওয়েস্ট ব্রমের বিরুদ্ধে। উক্ত খেলায় তিনি সেন লং এর একটি দুর্বল শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন, এরপরেও ইউনাইটেড ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতে নেয়।[১৪] টটেনহামের বিরুদ্ধে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিজের অভিষেক ম্যাচে ইউনাইটেডের হয়ে তার প্রথম ক্লিন শিট অর্জন করেন। ওই খেলায় তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেন যার ফলস্বরুপ খেলাটি ইউনাইটেড ৩-০ গোলে জিতে নেয়।[১৫] এর ৬ দিন পরে ইউনাইটেডের পরবর্তী খেলায় দে হেয়া আর্সেনালের অধিনায়ক ভ্যান পার্সির নেয়া পেনাল্টি রুখে দেন যা ইউনাইটেডের ১-০ গোলের লিডকে নাকচ করে দিতে পারত। উক্ত ম্যাচে তিনি ভ্যান পার্সি ও আরশাভিনের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেন এবং ইউনাইটেড খেলাটিতে আর্সেনালকে ৮-২ গোলে গুড়িয়ে দেয়।[১৬] ১৮ই সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড ঘরের মাঠে চেলসিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে;ওই খেলায় তিনি কয়েকটি গোল ঠেকিয়ে দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রামিরেজের প্রচেষ্টা যেখানে রামিরেজকে শুধুমাত্র ফাকা গোলপোস্টে বল মারতে হত, কিন্তু সেইসময় দে হেয়া খুব দ্রুততার সাথে তার কাছে চলে আসেন এবং গোলটি রক্ষা করেন। দে হেয়া তার এই উন্নতির ধারা পরবর্তী খেলাগুলোয় বজায় রাখেন।[১৭]
দে হেয়ার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক ঘটে ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে এফসি বাসেলের বিরুদ্ধে; খেলাটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়। ২৩ অক্টোবর ২০১১ সালে ইউনাইটেড ঘরের মাঠে ১৯৫৫ সালের পর সবচেয়ে বড় ৬-১ ব্যবধানে পরাজিত হয় নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির সাথে,যেই খেলায় দে হেয়া ইউনাইটেডের গোলরক্ষক ছিলেন।[১৮] ২০১২ সালের জানুয়ারিতে দে হেয়ার হাইপেরপিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ পায়, যদিও এটি তার পারফর্মেন্সে প্রভাব ফেলছিল না, ২০১২ এর গ্রীষ্মে তার চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়[১৯][২০] প্রিমিয়ার লিগে ব্লাকবার্ন রোভের্সের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে হেরে যাওয়া খেলায় দে হেয়া গোলরক্ষক ছিলেন। ইউনাইটেডের ওই হারের জন্য বেশিরভাগ মিডিয়া দে হেয়াকে দায়ী করেন। ওই ম্যাচের পর দে হেয়া দলে তার জায়গা হারান দলের ২য় গোলরক্ষক লিন্ডেগার্দের কাছে, যদিও লিন্ডেগার্দের ইনজুরির কারণে দে হেয়া পুনরায় দলে ফিরে আসেন এবং ভাল পারফর্মেন্সের মাধ্যমে দলে তার জায়গা সুসংহত করেন। ইউনাইটেডের হয়ে দে হেয়া সবচেয়ে ভাল পারফর্মেন্স দেখান আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে, যদিও ম্যাচটি ইউনাইটেড ৩-২ গোলে হেরে যায়। ওই ম্যাচের পর ডি হেয়া দলের রক্ষণভাগের সমালোচনা করেন। ওই মৌসুমে তিনি প্রিমিয়ার লিগের সকল গোলরক্ষকের মধ্যে শটের বিপরীতে সবচেয়ে বেশি সেভ করার কৃতিত্ব অর্জন করেন, যা ছিল প্রায় ৭৭.৯ শতাংশ।[২১]
২০১২–১৩ মৌসুম
[সম্পাদনা]২০১২ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে খেলার কারণে দে হেয়া ইউনাইটেডের প্রাকমৌসুম সফরে যেতে পারেননি। কিন্তু তিনি ইউনাইটেডের ২০১২-১৩ মৌসুমের প্রথম খেলায় এভারটনের বিপক্ষে মাঠে নামেন। এই ম্যাচে দে হেয়ার কিছু অবিশ্বাস্য শেভের পরও ইউনাইটেড ম্যাচটি ১-০ ব্যবধানে হেরে যায়।[২২] ফুলহামের বিরুদ্ধে এর পরের ম্যাচেও তিনি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সেভ করেন; খেলায় ভিদিচের আত্মঘাতী গোলের পরও ইউনাইটেড ৩-২ গোলে জয়ী হয়[২৩]
৮ই ডিসেম্বর ২০১২ সালে, ম্যানচেস্টার সিটির সাথে খেলার আগের দিন প্রাক্তন ইউনাইটেড গোলরক্ষক অ্যালেক্স স্টিপনি এই মত দেন যে লিন্ডেগার্দের চেয়ে দে হেয়া “অধিক সম্ভবনাময়”।[২৪] তার ওই ভাবনা কে যথার্থ প্রমাণ করেন তার পরের দিন, সিটির বিরুদ্ধে খেলায় যেখানে তিনি পর পর কয়েকটি সেভ করেন এবং ইউনাইটেডকে তাদের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৩-২ গোলে জয়লাভ করতে সহায়তা করেন।[২৫]
সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে এর ম্যাচে পরের ম্যাচেও তিনি ভাল খেলেন[২৬][২৭] ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে,২০১২-১৩ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে সান্টিয়াগো বার্নাব্যু তে ১-১ গোলে ড্র হওয়া খেলায় কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ করেন [২৮] এবং তার এই পার্ফরমেন্সে ইউনাইটেড ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন[২৯]
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে, তিনি ইউনাইটেডের হয়ে টানা ২টি ক্লিন শিট অর্জন করে যা ইউনাইটেডর শিরোপা দৌড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। [৩০][৩১][৩২]
তার এই ভাল পারফর্মেন্সের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি “পিএফএ প্রিমিয়ার লিগ টিম অফ দ্যা ইয়ার” দলে জায়গা করে নেন। ইউনাইটেডকে শিরোপা জেতানোর পথে এই স্বীকৃতি ইংলিশ ফুটবলে তার একজন তারকা ফুটবলার হয়ে উঠার নিদর্শন বহন করে।[৩৩] দে হেয়ার এই মৌসুম ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম প্রিমিয়ার লিগ মেডেল প্রাপ্তির মাধ্যমে শেষ হয়। তিনি এই মৌসুমে ২৮ খেলায় ১১টি ক্লিন শিট অর্জন করেন।
২০১৩–১৪ মৌসুম
[সম্পাদনা]এই মৌসুমের প্রথম ম্যাচে তিনি ইউনাইটেডের হয়ে মাঠে নামেন সোয়ানসি সিটির বিরুদ্ধে; সোয়ানসির ঘরের মাঠ লিবার্টি স্টেডিয়ামে হওয়া এই খেলায় ইউনাইটেড ৪-১ গোলে জয়লাভ করে[৩৪] ৫ অক্টোবর ২০১৩ সালে, সান্ডারল্যান্ডের মাঠে দে হেয়ার একটি দুর্দান্ত সেভের ফলে ইউনাইটেড ২-১ গোলে সান্ডারল্যান্ড কে পরাজিত করে যা ইউনাইটেডের প্রাক্তন গোলরক্ষক পিটার শিমেইছিলের চোখে তার দেখা প্রিমিয়ার লিগে অন্যতম সেরা সেভের একটি।[৩৫]
আন্তর্জাতিক ফুটবল
[সম্পাদনা]দে হেয়া স্পেন অনূর্ধ্ব-১৫, স্পেন অনূর্ধ্ব-১৭, স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯, স্পেন অনূর্ধ্ব-২০, স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ এবং স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি স্পেন অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে ২০০৭ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মাধ্যমে তার দল উক্ত প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সপ্তমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।[৩৬] একই বছরে তিনি ২০০৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন,[৩৭] উক্ত প্রতিযোগিতার ফাইনালে অতিরিক্ত সময় শেষে তার দল পেনাল্টি শুট-আউটে নাইজেরিয়া অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কাছে ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।[৩৮] স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে তিনি ২০০৮ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন,[৩৯] তবে তার দল উক্ত প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৪০] এক বছর পর তিনি ২০০৯ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন,[৪১] তবে এই আসরেও স্পেন গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি মাত্র ২ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৪২] ২০১১ সালে তিনি স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে হয়ে ২০১১ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন,[৪৩] উক্ত প্রতিযোগিতার ফাইনালে তার দল সুইজারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলকে ২–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে উক্ত প্রতিযোগিতার ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।[৪৪][৪৫] এই আসরে তিনি ৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।[৪৬] দুই বছর পর তিনি একই দলের হয়ে পূর্ববর্তী আসরের পুনরাবৃত্তি করে ২০১৩ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন, এই আসরের ফাইনালে তার দল ইতালি অনূর্ধ্ব-২১ দলকে ৪–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে উক্ত প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৪র্থ বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।[৪৭] দে হেয়া লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য ২০১২ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলে স্থান পেয়েছিলেন;[৪৮][৪৯][৫০] যেখানে তিনি ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।[৫১] স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি ৭৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ৩টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন।
২০১৪ সালের ৭ই জুন তারিখে, মাত্র ২৩ বছর ৭ মাস বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী দে হেয়া এল সালভাদোরের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে স্পেনের হয়ে অভিষেক করেছেন।[৫২] উক্ত ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে গোলরক্ষক ইকের কাসিয়াসের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেন; ম্যাচে তিনি ১২ নম্বর জার্সি পরিধান করেছেন।[৫৩] ম্যাচটি স্পেন ২–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[৫৪] জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ৮০ মিনিট পর, স্পেনের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি হজম করেছেন; ৪ঠা সেপ্টেম্বর তারিখে, ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে গোলটি হজম করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি হজম করেছেন।[৫৫][৫৬][৫৭]
দে হেয়া ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ভিসেন্তে দেল বোস্কের অধীনে ঘোষিত স্পেন দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।[৫৮][৫৯][৬০] তবে ইকের কাসিয়াসের বিকল্প গোলরক্ষক হিসেবে স্থান পাওয়া দে হেয়া উক্ত আসরে একটি ম্যাচেও অংশগ্রহণ করতে পারেননি।[৬১] অতঃপর দে হেয়া ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য প্রকাশিত স্পেনের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দলে অন্তর্ভুক্ত হন।[৬২][৬৩] ২০১৮ সালের ১৫ই জুন তারিখে, তিনি পর্তুগালের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করেছেন,[৬৪][৬৫] ম্যাচে তিনি ৩টি গোল হজম করেছেন।[৬৬] উক্ত বিশ্বকাপে তিনি ৪ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতে সক্ষম হয়েছেন।[৬৭]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে দে হেয়া দূরদর্শী হিসেবে নিশ্চিত হয়েছিলেন, যদিও এটি তার কর্মক্ষমতা প্রভাবিত করেছে বলে মনে করা হয় না।[৬৮][৬৯] দে হেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তিনি হেভি মেটাল সঙ্গীতের একজন ভক্ত এবং এভেঞ্জড সেভেনফোল্ড তার অন্যতম প্রিয় ব্যান্ড।[৭০]
২০১৯ সালে, দে হেয়া স্পেনীয় সঙ্গীতশিল্পী এদুর্নের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।[৭১] ২০২১ সালের ৪ঠা মার্চ তারিখে ইয়ানায় নামে তাদের কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করেছে।[৭২]
পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]আন্তর্জাতিক
[সম্পাদনা]- ২৫ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
স্পেন | ২০১৪ | ৩ | ০ |
২০১৫ | ৩ | ০ | |
২০১৬ | ১১ | ০ | |
২০১৭ | ৭ | ০ | |
২০১৮ | ১৩ | ০ | |
২০১৯ | ৩ | ০ | |
২০২০ | ৪ | ০ | |
সর্বমোট | ৪৫ | ০ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Squads for 2017/18 Premier League confirmed"। Premier League। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "দাভিদ দে হেয়া"। ব্যারি হাগম্যান'স ফুটবলার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "David de Gea: Overview"। Premier League। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "De Gea, Kante and Mbappe in World 11"। FIFPro। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ Bryan, Paul (৫ অক্টোবর ২০০৯)। "De Gea stands tall after whirlwind bow"। UEFA.com। Union of European Football Associations। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১১।
- ↑ "De Gea factfile"। Sky Sports। BSkyB। ২৭ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১১।
- ↑ "Atletico Madrid 2 – 1 Fulham"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ১২ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১০।
- ↑ "Slick Atlético seal Super Cup success"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২৭ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১০।
- ↑ "Manchester United close to signing keeper - David Gill"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ১৬ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১১।
- ↑ "De Gea denies Manchester United deal is imminent"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ২৬ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১১।
- ↑ Herbert, Ian (২৮ জুন ২০১১)। "£17.8m keeper De Gea set for United after medical"। independent.co.uk। London: Independent Print। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ "Manchester United confirm signing of David de Gea"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ২৯ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১১।
- ↑ Bevan, Chris (৭ আগস্ট ২০১১)। "Man City 2-3 Man Utd"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১১।
- ↑ Chowdhury, Saj (১৪ আগস্ট ২০১১)। "West Brom 1-2 Man Utd"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১১।
- ↑ "Young Reds run free to deny Spurs"। soccernet.espn.go.com। ২২ আগস্ট ২০১১। ১৩ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ "Man Utd 8-2 Arsenal"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ২৮ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১১।
- ↑ Da Silva, Michael (২৪ আগস্ট ২০১১)। "Stoke 1-1 Man Utd"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১১।
- ↑ McNulty, Phil (২৩ অক্টোবর ২০১১)। "Man Utd 1-6 Man City"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ Taylor, Daniel (১৯ জানুয়ারি ২০১২)। "Manchester United's error-prone David de Gea may need eye surgery"। The Guardian। London: Guardian News and Media।
- ↑ Man Utd's De Gea faces eye surgery[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Garth Crooks's team of the season"। BBC Sport। ১৩ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১২।
- ↑ McNulty, Phil (২০ আগস্ট ২০১২)। "Everton 1-0 Man Utd"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১২।
- ↑ Magowan, Alistair (২৫ আগস্ট ২০১২)। "Man Utd 3-2 Fulham"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১২।
- ↑ O'Donnell, Dale (৭ ডিসেম্বর ২০১২)। "Alex Stepney joins the keeper debate between Anders Lindegaard & David de Gea"
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। StrettyNews। STRETTYNEWS। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ McCauley, Kevin (৯ ডিসেম্বর ২০১২)। "Manchester City vs. Manchester United: Final score 3-2, Robin van Persie wins match marred by crowd trouble"। sbnation। SBNATION। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ Mathieson, Stuart (১৫ ডিসেম্বর ২০১২)। "Manchester United 3 Sunderland 1: Premier League match report"। MENmedia। MANCHESTEREVENINGNEWS। ১৯ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ Jaffa, Jay (১৫ ডিসেম্বর ২০১২)। "Manchester United 3-1 Sunderland: Rooney & Van Persie restore six-point gap over City"। goal.com। GOAL.COM। ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ "Real Madrid 1-1 Man Utd" BBC Sport. 13 February 2013. Retrieved 14 February 2013.
- ↑ "Real Madrid v Man Utd: Sir Alex Ferguson praises David de Gea" BBC Sport. 13 February 2013. Retrieved 14 February 2013.
- ↑ Magowan, Alistair (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "BBC Sport - QPR 0-2 Manchester United"। bbc.co.uk। BBC.CO.Uk। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৩।
- ↑ Ornstein, David (২ মার্চ ২০১৩)। "BBC Sport - Manchester United 4-0 Norwich"। bbc.co.uk। BBC.CO.Uk। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৩।
- ↑ Magowan, Alistair (১৬ মার্চ ২০১৩)। "BBC Sport - Manchester United 1-0 Reading"। bbc.co.uk। BBC.CO.Uk। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৩।
- ↑ http://www.bbc.co.uk/sport/0/football/22331030
- ↑ "Swansea 1-4 Man Utd" BBC Sport. 17 August 2013. Retrieved 18 September 2013.
- ↑ "Schmeichel lauds De Gea save" Manchester United. 05 October 2013. Retrieved 06 October 2013.
- ↑ "Bojan strike gives Spain title"। uefa.com (ইংরেজি ভাষায়)। উয়েফা। ১৩ মে ২০০৭। ১৫ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "২০০৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের দল" (পিডিএফ)। fifa.com (ইংরেজি ভাষায়)। ফিফা। ১৮ আগস্ট ২০০৭। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Spain - Nigeria"। fifa.com (ইংরেজি ভাষায়)। ফিফা। ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭। ৬ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Spain U19 - Squad U19 EURO 2008 Czech Republic"। worldfootball.net। ২৭ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Spain U19 - AppearancesU19 EURO 2008"। worldfootball.net। ২৭ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Spain U19 - Squad U19 EURO 2009 Ukraine"। worldfootball.net। ২৭ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Spain U19 - AppearancesU19 EURO 2009"। worldfootball.net। ২৭ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Milla names World Cup pair in Spain squad"। ২৬ মে ২০১১।
- ↑ "Spain crowned European Under-21 champions"। UEFA.com। ২৫ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Full-time report – Final – Switzerland-Spain" (PDF)। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২৫ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Spain U21 - AppearancesU21 EURO 2011"। worldfootball.net। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Thiago treble helps Spain retain Under-21 crown"। uefa.com (ইংরেজি ভাষায়)। উয়েফা। ১৮ জুন ২০১৩। ১৮ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Men's Olympic Football Tournament London 2012: List of Players United Arab Emirates" (পিডিএফ)। FIFA। ১৩ জুলাই ২০১২। পৃষ্ঠা 15। ১৪ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ Ed White (৩ জুলাই ২০১২)। "London 2012 Olympics: Spain name three Euro 2012 winners in football squad for Games"। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১২।
- ↑ EFE (১৩ জুলাই ২০১২)। "Víctor Ruiz, Álvaro Vázquez e Illarramendi se quedan sin Juegos" [Victor Ruiz, Alvaro Vazquez and Illarramendi run out of Games] (স্পেনীয় ভাষায়)। Marca। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Spain - Appearances Olympic Games 2012"। worldfootball.net। ২৭ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "El Salvador - Spain 0:2 (Friendlies 2014, June)"। worldfootball.net। ২৭ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "El Salvador - Spain, Jun 7, 2014 - International Friendlies - Match sheet"। Transfermarkt। ৭ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "El Salvador vs. Spain - 7 June 2014"। Soccerway। ৭ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Spain, Sep 4, 2014 - International Friendlies - Match sheet"। Transfermarkt। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Spain 1:0 (Friendlies 2014, September)"। worldfootball.net। ২৭ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "France vs. Spain - 4 September 2014"। Soccerway। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "List of players: FIFA World Cup 2014" (পিডিএফ)। fifa.com (ইংরেজি ভাষায়)। ফিফা। ১৭ মে ২০১৪। ৩ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Los 23 elegidos de Del Bosque para jugar el Mundial"। ligabbva.com। ৩১ মে ২০১৪। ৩১ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৪।
- ↑ "OFICIAL: Estos son los dorsales oficiales para el Mundial"। sefutbol.com। ৩ জুন ২০১৪। ১৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৪।
- ↑ "Spain - Appearances World Cup 2014"। worldfootball.net। ২৭ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "FIFA World Cup Russia 2018™: List of Players" (পিডিএফ)। fifadata.com (ইংরেজি ভাষায়)। ফিফা। ১০ জুন ২০১৮। ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Spain leave Cesc Fabregas, Alvaro Morata, Marcos Alonso out of World Cup squad"। ESPN। ২১ মে ২০১৮।
- ↑ "Spain 3:3 (World Cup 2018 Russia, Group B)"। worldfootball.net। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Portugal vs. Spain - 15 June 2018"। Soccerway। ১৫ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Portugal - Spain, Jun 15, 2018 - World Cup 2018 - Match sheet"। Transfermarkt। ১৫ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Spain - Appearances World Cup 2018"। worldfootball.net। ২৭ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ Taylor, Daniel (১৯ জানুয়ারি ২০১২)। "Manchester United's error-prone David de Gea may need eye surgery"। The Guardian। London।
- ↑ "United keeper De Gea facing eye surgery"। ESPN। ২০ জানুয়ারি ২০১২। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Man United goalkeeper David De Gea meets Avenged Sevenfold | NME"। ১৮ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "David de Gea's wife hints Man Utd keeper is considering his future"। Irish Mirror। ২৪ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Solskjaer confirms De Gea absence following birth of child"। Manchester United F.C.। ৫ মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২১।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- দাভিদ দে হেয়া – ফিফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (ইংরেজি)
- দাভিদ দে হেয়া – উয়েফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (আর্কাইভ) (ইংরেজি)
- সকারওয়েতে দাভিদ দে হেয়া (ইংরেজি)
- সকারবেসে দাভিদ দে হেয়া (ইংরেজি)
- বিডিফুটবলে দাভিদ দে হেয়া (ইংরেজি)
- ট্রান্সফারমার্কেটে দাভিদ দে হেয়া (ইংরেজি)
- ওয়ার্ল্ডফুটবল.নেটে দাভিদ দে হেয়া (ইংরেজি)
- ইএসপিএন এফসিতে দাভিদ দে হেয়া (ইংরেজি)
- ন্যাশনাল-ফুটবল-টিমস.কমে দাভিদ দে হেয়া (ইংরেজি)
- ১৯৯০-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- মাদ্রিদের ব্যক্তি
- স্পেনীয় ফুটবলার
- ফুটবল গোলরক্ষক
- আতলেতিকো মাদ্রিদ বি-এর ফুটবলার
- আতলেতিকো মাদ্রিদের ফুটবলার
- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- সেহুন্দা দিভিসিওন বি-এর খেলোয়াড়
- লা লিগার খেলোয়াড়
- প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়
- উয়েফা ইউরোপা লিগ বিজয়ী খেলোয়াড়
- স্পেনের আন্তর্জাতিক যুব ফুটবলার
- স্পেনের অনূর্ধ্ব-১৭ আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- স্পেনের অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- স্পেনের অনূর্ধ্ব-২১ আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- স্পেনের অনূর্ধ্ব-২৩ আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- স্পেনের অলিম্পিক ফুটবলার
- স্পেনের আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ফুটবলার
- ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়
- উয়েফা ইউরো ২০১৬-এর খেলোয়াড়
- ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়
- উয়েফা ইউরো ২০২০-এর খেলোয়াড়
- স্পেনীয় প্রবাসী ফুটবলার
- ইংল্যান্ডে স্পেনীয় প্রবাসী ক্রীড়াবিদ
- ইংল্যান্ডে প্রবাসী ফুটবলার