জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা
ধরন | ভর্তি পরীক্ষা |
---|---|
উন্নতিকারক / পরিচালক | জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটি |
পরীক্ষার বিষয়সমূহ | নিচে দেখুন |
উদ্দেশ্য | বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তি |
প্রথম গ্রহণ | ২০২১ |
পরীক্ষার সময় | ১ ঘণ্টা |
নম্বর / গ্রেডের সীমা | ১০০ |
স্কোর / গ্রেডের স্থায়িত্ব | ১ বছর |
যতবার হয় | বছরে একবার |
দেশ / অঞ্চল | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
পরীক্ষার্থীদের বার্ষিক সংখ্যা | ৩,০৩,২২১ জন (২০২৩)[১] |
ফি | ৳১৫০০ টাকা |
স্কোর / গ্রেড ব্যবহারকারী | গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ |
ওয়েবসাইট | gstadmission |
জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা বা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা (GST- General, Science & Technology) হলো বাংলাদেশের একটি বার্ষিক সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা। এর মাধ্যমে ৯টি সাধারণ, ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১টি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা যাচাই করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালে প্রায় ৩ লাখ ৩ হাজার ২৩১ জন শিক্ষার্থী গুচ্ছভুক্ত ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ভর্তির জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।[১] জিএসটি প্রক্রিয়ার বাইরে দেশের ৭টি কৃষি-সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ১টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সমন্বয়ে "কৃষি গুচ্ছ" এবং ৩টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে "প্রকৌশল গুচ্ছ" ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। স্বাধীনতার পূর্বে প্রতিষ্ঠিত ও ১৯৭৩ সালের একটা অধ্যাদেশের অধীনে পরিচালিত ৪টি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট ছাড়াও কয়েকটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় এই গুচ্ছ প্রক্রিয়ার আওতার বাইরে আছে। তবে সরকার ও ইউজিসি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।[২]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২০২১ সেশন থেকে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি গ্রহন করে এবং পরের সেশনে আরও দুটি যোগ হয়ে মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের অন্তর্ভূক্ত হয়। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সার্কুলার ২০২৩ অনুযায়ী নতুন ২টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত হয়। তাই ২০২২-২০২৩ ভর্তি সেশন থেকে ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিবে।
২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ[সম্পাদনা]
বিভাগ | পরিক্ষার তারিখ | পরিক্ষার্থী | সূত্র |
ক ইউনিট – (বিজ্ঞান) | ৩০ জুলাই ২০২২ | ১,৬১,৭৬৭ | [৩][৪] |
খ ইউনিট – (মানবিক) | ১৩ আগস্ট ২০২২ | ৯৬,৪৩৫ | |
গ ইউনিট – (বানিজ্য) | ২০ আগস্ট ২০২২ | ৩৯,৮৬৫ |
‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩০ জুলাই বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশের ১৯ কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৪ জন। পরীক্ষায় পাস করেছেন ৮৫ হাজার ৫৮২ জন। পাসের হার ৫৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। [৪]
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ[সম্পাদনা]
বিভাগ | পরিক্ষার তারিখ | পরিক্ষার্থী | সূত্র |
ক ইউনিট – (বিজ্ঞান) | ০৩ জুন ২০২৩ | ১,৬৬,৯৩৩ | [১][৫] |
খ ইউনিট – (মানবিক) | ২৭ মে ২০২৩ | ৯৬,৪৩৫ | |
গ ইউনিট – (বানিজ্য) | ২০ মে ২০২৩ | ৩৯,৮৬৫ |
২০২৩ সালে গুচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মোট আবেদনকারী ছিল ৩ লাখ ৩ হাজার ২৩১ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখা ইউনিট এ থেকে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৩ জন, মানবিক শাখা ইউনিট বি থেকে ৯৬ হাজার ৪৩৫ জন এবং বাণিজ্য শাখা ইউনিট সি থেকে ৩৯ হাজার ৮৬৫ জন আবেদন করেছেন।[১][৬]
গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ[সম্পাদনা]
ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা[সম্পাদনা]
২০১৯ ও ২০২০ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২১ ও ২০২২ সালের এইচএসসি/সমমান উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। বিভিন্ন বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে ।
- ক/A ইউনিট – বিজ্ঞান
এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ সর্বমােট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে।[৩]
সাধারন শিক্ষাবাের্ডের বিজ্ঞান শাখাসহ ভােকেশনাল (এইচএসসি) এবং মাদ্রাসা বাের্ড (বিজ্ঞান) বিজ্ঞান শাখা হিসাবে বিবেচিত হয়।
- খ/B ইউনিট – মানবিক
এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমােট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে।[৩]
সাধারন শিক্ষাবাের্ডের মানবিক শাখাসহ মিউজিক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং মাদ্রাসা বাের্ড (সাধারন, মুজাব্বিদ) মানবিক শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
- গ/C ইউনিট – ব্যবসায় শিক্ষা
এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ সর্বমােট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে।[৩]
সাধারন শিক্ষাবাের্ডের বাণিজ্য শাখাসহ ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিস, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (এইচএসসি) এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স বাণিজ্য শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
পরীক্ষার নম্বর বন্টন[সম্পাদনা]
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে মোট ১০০ নাম্বারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বিভাগ ও বিষয় অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার নাম্বার বন্টন নিম্নরূপ:
বিজ্ঞান শাখা (ক ইউনিট)[সম্পাদনা]
মোট চারটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে | বিষয় | নম্বর | মোট নম্বর |
আবশ্যিক বিষয় | পদার্থবিজ্ঞান | ২৫ | ৫০ |
রসায়ন | ২৫ | ||
গণিত ও জীববিজ্ঞানের মধ্যে যেকোনো একটি অবশ্যই দিতে হবে, অন্যটির পরিবর্তে বাংলা বা ইংরেজি | গণিত | ২৫ | ৫০ |
জীববিজ্ঞান | ২৫ | ||
বাংলা | ২৫ | ||
ইংরেজি | ২৫ |
মানবিক শাখা (খ ইউনিট)[সম্পাদনা]
বিষয় | মান |
বাংলা | ৩৫ |
ইংরেজি | ৩৫ |
সাধারণ জ্ঞান | ৩০ |
মোট | ১০০ নম্বর |
বাণিজ্য শাখা (গ ইউনিট)[সম্পাদনা]
বিষয় | মান |
হিসাববিজ্ঞান | ৩৫ |
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা | ৩৫ |
বাংলা | ১৫ |
ইংরেজি | ১৫ |
মোট | ১০০ নম্বর |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ নিউজ, সময়। "গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর আবেদন | শিক্ষা"। Somoy News। ২০২৩-০৫-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৫।
- ↑ প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৩-০৪-০৫)। "সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নিতে সভা আজ, চালু হতে পারে 'এনটিএ' পদ্ধতি"। Prothomalo। ২০২৩-০৪-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৮।
- ↑ ক খ গ ঘ নিউজ, সময়। "গুচ্ছ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি, আবেদন করতে পারবেন যারা | শিক্ষা"। Somoy News। ২০২৩-০৫-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৫।
- ↑ ক খ নিউজ, সময়। "গুচ্ছের 'ক' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ | শিক্ষা"। Somoy News। ২০২৩-০৫-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৫।
- ↑ "২২ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েই জিএসটি গ্রুপের ভর্তি প্রক্রিয়া, মঙ্গলবার আবেদন শুরু"। www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৫।
- ↑ প্রতিবেদক (২০২১-০৩-১৫)। "গুচ্ছ ভর্তি : প্রতি বিভাগে সর্বোচ্চ দেড় লাখ পরীক্ষা দিতে পারবেন"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ টিডিসি, রিপোর্ট (ডিসেম্বর ৯, ২০২৩)। "দুই গুচ্ছে যুক্ত হচ্ছে নতুন অনুমোদন পাওয়া তিন বিশ্ববিদ্যালয়"। The Daily Campus। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৭, ২০২৪।