গ্যারি স্টিড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্যারি স্টিড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামগ্যারি রেমন্ড স্টিড
জন্ম (1972-01-09) ৯ জানুয়ারি ১৯৭২ (বয়স ৫২)
ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক
সম্পর্কডেভিড স্টিড (পিতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২০৭)
১১ মার্চ ১৯৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১০১ ১০৩
রানের সংখ্যা ২৭৮ ৪,৯৮৪ ২,১৭৩
ব্যাটিং গড় ৩৪.৭৫ ৩২.১৫ ২৭.৮৫
১০০/৫০ ০/২ ১০/২৪ ২/১০
সর্বোচ্চ রান ৭৮ ১৯০ ১০১*
বল করেছে ১,০৫৩ ৪৮
উইকেট
বোলিং গড় ৬৫.২২ ৪৩.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৫৮ ১/২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ৪৬/– ৩৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩ এপ্রিল ২০১৯

গ্যারি রেমন্ড স্টিড (ইংরেজি: Gary Stead; জন্ম: ৯ জানুয়ারি, ১৯৭২) ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ শীর্ষসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন গ্যারি স্টিড। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর নিউজিল্যান্ড দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ১১ মার্চ, ১৯৯৯ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে গ্যারি স্টিডের।

শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান গ্যারি স্টিড ১৯৯৯ সালে নয়মাসে পাঁচটি টেস্টে অংশ নিয়ে ৩৪.৭৫ গড়ে রান তুলেছিলেন। এ পর্যায়ে তিনি কোন একক সংখ্যার রান সংগ্রহ করেননি। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে ৬৮ ও ৩৩ রান তুলেন।[১] এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুইবার মাঝারীমানের খেলা উপহার দিলে দল থেকে বাদ পড়েন।

ক্যান্টারবারির সাথে আট বছর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার পর পুনরায় টেস্ট খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে পাঁচ বছর দলের নেতৃত্বে ছিলেন ও দলটি তখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল।

অবসর[সম্পাদনা]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতে প্রবেশ করেন।

কোচিং জগতে প্রবেশের পর প্রথমে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট হাই পারফরম্যান্স সেন্টার যোগ দেন। এরপর জুলাই, ২০০৮ নিউজিল্যান্ড মহিলা দলের কোচ হিসেবে বেশ সফলতা পান। ২০০৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে মহিলা দলকে চূড়ান্ত খেলায় নিয়ে যান ও ২০১০ সালের বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতায় কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩-১৪ মৌসুমে থেকে ২০১৬-১৭ মৌসুমে চারবার ঘরোয়া প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ে ক্যান্টারবারির প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

আগস্ট, ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কর্তৃক নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। তিনি মাইক হেসনের স্থলাভিষিক্ত হন।[২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তার পিতা ডিডব্লিউ স্টিড ও ভ্রাতা ডব্লিউডব্লিউ স্টিড প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "New Zealand v South Africa, Wellington 1998-99"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮ 
  2. "Stead named BLACKCAPS Head Coach"New Zealand Cricket। ১৫ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৮ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]