গ্যাংটকে গন্ডগোল
লেখক | সত্যজিৎ রায় |
---|---|
প্রকাশনার স্থান | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
ধারাবাহিক | ফেলুদা |
ধরন | গোয়েন্দা উপন্যাস |
প্রকাশক | শারদীয় দেশ, ১৯৭০ |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৭০ |
গ্যাংটকে গন্ডগোল, সত্যজিৎ রায় রচিত গোয়েন্দা কাহিনী ফেলুদা সিরিজের একটি উপন্যাস।[১]
কাহিনী সংক্ষেপ
[সম্পাদনা]গ্রীষ্মের ছুটিতে তপেশ ওরফে তোপসের সাথে ফেলুদা গ্যাংটকে বেড়াতে আসে। সেখানে তাদের সাথে রহস্যময় ব্যবসায়ী শশধর বোস এবং নিশিকান্ত সরকারের সাথে পরিচয় ঘটে। ফেলুদার সাথে একজন জার্মান ফটোগ্রাফার হেলমুট উংগারের পরিচয় হয়। সে হিপি। কয়েকদিন পর শশধর বোসের ব্যবসার সঙ্গী শিবকুমার শেলভাংকার খুন হন, হেলমুটের আসল পরিচয় জেনে অবাক হয় ফেলুদা ও তোপসে। ড. বৈদ্য প্ল্যানচেটে জানিয়ে দেন কে হত্যাকারী কিন্তু হত্যা রহস্যের তদন্তে নামে ফেলুদা। একটি নির্জন এলাকায় জংগলে ঘেরা বাগানবাড়িতে ফয়সালা হয় শশধর বোস হত্যাকান্ডের। ফেলুদা বলেন শশধর বোস ও ডঃবৈদ্য একই লোক প্রথমে ডঃবৈদ্য সেজে শিবকুমার বাবুর বিশ্বাস অর্জন করে, পরে তিনি ডাইভার এর সাথে হাত মিলিয়ে শশধরকে হত্যা করেন। ফেলুদা সবার সামনে তাঁর রহস্য ফাঁস করে দিলে তিনি কোনো রকমে ঘরের বাইরে বের হন। এবং জীপে করে পালান। ফেলুদার অব্যার্থ নিশানায় তাঁর গাড়ির চাকা পাংচার হয়, গাড়িটি গাছের সাথে ধাক্কা মারে। শশধর বাবু কীছুদুর দৌড়ে জোঁকের কবলে পড়েন। সেইসঙ্গে ফেলুদা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পর্দায়
[সম্পাদনা]গ্যাংটকে গণ্ডগোল কাহিনির উপর পর্দায় কোনো চলচ্চিত্র বা টিভি ধারাবাহিক নির্মিত হয়নি। বাদশাহী আংটি নির্মাণের পরে এই কাহিনির ভিত্তিতে চলচ্চিত্র নির্মাণের ভাবনা থাকলেও পরে আর তা নির্মিত হয়নি।[২]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ আজিম, শাওন (১ মে ২০১৫)। "মানিকবাবুর খানিকটা"। প্রথম আলো। ১৩ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২১।
- ↑ "গ্যাংটকে গণ্ডগোল সামলাতে পর্দায় 'ফেলুদা' আবির"। আনন্দবাজার। ২৩ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২১।