বিষয়বস্তুতে চলুন

গিনি জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গিনি
দলের লোগো
ডাকনামসিলি নাসিওনাল
অ্যাসোসিয়েশনগিনিয় ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনক্যাফ (আফ্রিকা)
প্রধান কোচদিদিয়ের সিক্স
অধিনায়কনাবি কেইতা
সর্বাধিক ম্যাচপাস্কাল ফেইন্দুনো (৮৫)
শীর্ষ গোলদাতাইব্রাহিমা কান্দিয়া দিয়ালো (৩৩)
মাঠ২৮শে সেপ্টেম্বর স্টেডিয়াম
ফিফা কোডGUI
ওয়েবসাইটwww.feguifoot.com
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৮০ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[]
সর্বোচ্চ২২ (আগস্ট ২০০৬, জানুয়ারি ২০০৭)
সর্বনিম্ন১২৩ (মে ২০০৩)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৯৩ বৃদ্ধি ১৫ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[]
সর্বোচ্চ২৩ (১৯৭৭)
সর্বনিম্ন১২৫ (জুন ১৯৯৬)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 টোগো ২–১ গিনি 
(টোগো; ৯ মে ১৯৬২)
বৃহত্তম জয়
 গিনি ১৪–০ মৌরিতানিয়া 
(গিনি; ২০ মে ১৯৭২)
বৃহত্তম পরাজয়
 জাইর ৬–০ গিনি 
(জাইর; ২ জুলাই ১৯৭২)
আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স
অংশগ্রহণ১২ (১৯৭০-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যরানার-আপ (১৯৭৬

গিনি জাতীয় ফুটবল দল (ফরাসি: Équipe nationale de football du Guinée) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে গিনির প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম গিনির ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা গিনিয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৬২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৬২ সালের ৯ই মে তারিখে, গিনি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; টোগোতে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে গিনি টোগোর কাছে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

২৫,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট ২৮শে সেপ্টেম্বর স্টেডিয়ামে সিলি নাসিওনাল নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় গিনির রাজধানী কোনাক্রিতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন দিদিয়ের সিক্স এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন লিভারপুলের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় নাবি কেইতা

গিনি এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে গিনি এপর্যন্ত ১২ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৭৬ আফ্রিকান কাপ অফ নেশন্সের ফাইনালে পৌঁছানো।

মুহম্মদ কামারা, পাস্কাল ফেইন্দুনো, নাবি মুসা-ইয়াত্তারা, সেম্বেগু বাঙ্গুরা এবং ইব্রাহিমা কান্দিয়া দিয়ালোর মতো খেলোয়াড়গণ গিনির জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে গিনি তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (২২তম) অর্জন করে এবং ২০০৩ সালের মে মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১২৩তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে গিনির সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২৩তম (যা তারা ১৯৭৭ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১২৫। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৭৮ অপরিবর্তিত  এল সালভাদোর ১৩০৬.১৪
৭৯ অপরিবর্তিত  চীন ১২৯৯.৪৯
৮০ অপরিবর্তিত  গিনি ১২৯০.০১
৮১ অপরিবর্তিত  বুলগেরিয়া ১২৮৯.৯
৮২ অপরিবর্তিত  গ্যাবন ১২৮৯.৫২
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৯১ হ্রাস ১২  বুলগেরিয়া ১৪৫৭
৯১ হ্রাস  উত্তর সাইপ্রাস ১৪৫৭
৯৩ বৃদ্ধি ১৫  গিনি ১৪৪৯
৯৪ হ্রাস ১৩  গ্যাবন ১৪৪২
৯৫ বৃদ্ধি ১২  মার্তিনিক ১৪৪১

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি প্রত্যাখ্যান
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬ প্রত্যাহার প্রত্যাহার
মেক্সিকো ১৯৭০ অংশগ্রহণ করেনি প্রত্যাখ্যান
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ উত্তীর্ণ হয়নি
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ ১১
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪
ফ্রান্স ১৯৯৮ ১৫
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ অযোগ্য
জার্মানি ২০০৬ উত্তীর্ণ হয়নি ১২ ২০ ১৩
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ ১২ ১৬ ১৯
ব্রাজিল ২০১৪ ১২
রাশিয়া ২০১৮ ১৪
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ৭৫ ৩৫ ১০ ৩০ ১১৪ ৯৭

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]