কেট ডোয়ার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেট ডোয়ার
জন্ম
ক্যাথরিন উইনিফ্রেড গোল্ডিং

(১৮৬১-০৬-১৩)১৩ জুন ১৮৬১
মৃত্যু৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯(1949-02-03) (বয়স ৮৭)
জাতীয়তাঅস্ট্রেলীয়
পেশাশিক্ষাবিদ, ভোটাধিকারী, কর্মী
পরিচিতির কারণমহিলা প্রগতিশীল সমিতির প্রতিষ্ঠাতা
দাম্পত্য সঙ্গীমাইকেল ডোয়ার (বি. ১৮৮৭)

ক্যাথরিন উইনিফ্রেড "কেট" ডোয়ার (জন্ম নাম গোল্ডিং; ১৩ই জুন ১৮৬১ – ৩রা ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯)[১] ছিলেন একজন অস্ট্রেলীয় শিক্ষাবিদ, ভোটাধিকারী এবং শ্রম কর্মী।

জীবনী[সম্পাদনা]

কেট ডোয়ার (বিবাহপূর্ব গোল্ডিং) নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়েলিংটন কাউন্টির তাম্বারুরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা ও মা ছিলেন যথাক্রমে আয়ারল্যান্ডের গালওয়ের একজন স্বর্ণ-খনি শ্রমিক জোসেফ গোল্ডিং (মৃত্যু ১৮৯০) এবং তাঁর স্কটিশ স্ত্রী অ্যান (মৃত্যু ১৯০৬; বিবাহপূর্ব ফ্রেজার)। কেট হিল এণ্ড পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।[২]

১৮৮০ সালে কেট ডোয়ার তাম্বারুরা পাবলিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন, তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের অসংখ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ১৮৮৭ সালে তিনি তাঁর স্কুলের সহ শিক্ষক মাইকেল ডোয়ারকে বিয়ে করেন।[২] ১৮৯৪ সাল থেকে এই দম্পতি সিডনিতে বসবাস করতেন, যেখানে কেট নিউ সাউথ ওয়েলসের ওম্যানহুড ভোটাধিকার লীগের সদস্য হয়েছিলেন। তাঁর বোন, অ্যানি এবং বেলও এর সদস্য ছিলেন।[৩][৪]

নিউ সাউথ ওয়েলসের ওম্যানহুড ভোটাধিকার লীগ

তিনি ১৯০১ সালে মহিলা প্রগতিশীল সমিতির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সংস্থাটি বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলাদের আইনী পেশায় আসার জন্য উৎসাহিত করেছিল এবং মহিলাদের জন্য সমান সুবিধার প্রচার করেছিল। নারীদের কাজের অবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে তিনি গৃহস্থালির কাজের মহিলা এবং কারখানার শ্রমিকদের জন্য মহিলা শ্রমিক ইউনিয়নও প্রতিষ্ঠা করেন।[২] ১৯০৬ সালের জানুয়ারিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের লেবার পার্টির কার্যনির্বাহী নির্বাচিত ছয়জন নারীর মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। অন্য পাঁচজন হলেন এডিথ বেথেল, হ্যারিয়েট পাওয়েল, ১৯০৩ সালের সংসদীয় প্রার্থী সেলিনা সিগিন্স, আমেরিকান জন্মগ্রহণকারী এ ই গার্ডিনার, মেরি অ্যান গ্রান্ট এবং ম্যাগি হল৷[৫]

কেট ডোয়ার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় "বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যদলে নিয়োগের বিরুদ্ধে" সক্রিয় ছিলেন।[২] ১৯১৬ সালে ডোয়ার অস্ট্রেলিয়ার প্রথম মহিলা ছিলেন, যিনি সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের সদস্য নির্বাচিত হন।[৬] সেই ক্ষমতায় ১৯১৮ সালে তিনি আইনী পেশায় প্রবেশের উদ্দেশ্যে মহিলাদের জন্য আইন প্রবর্তনের সমর্থনে একটি সঙ্কল্প নিয়েছিলেন।[৭] ১৯২১ সালের মে মাসে তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসে শান্তির বিচারক (জাস্টিস অফ পিস) নিযুক্ত হওয়া প্রথম ৬১ জন মহিলার একজন ছিলেন।[৮]

কেট ডোয়ার ১৯৪৯ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনিতে মারা যান।[২]

উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]

ক্যানবেরার একটি শহরতলির কুকে অবস্থিত ডোয়ার স্ট্রিটের নামকরণ তাঁর সম্মানে করা হয়েছে।[৯]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Dwyer, Catherine Winifred (Kate)"The Dictionary of Sydney। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯ 
  2. Gallego, Viva। "Dwyer, Catherine Winifred (Kate) (1861–1949)"Australian Dictionary of Biography। National Centre of Biography, Australian National University। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯ 
  3. The University of Melbourne। "The Golding Sisters"The Encyclopedia of Women and Leadership in Twentieth-Century Australia (ইংরেজি ভাষায়)। Australian Women's Archives Project 2014। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯ 
  4. "Dwyer, Catherine Winifred"Pioneer Women Hall of Fame। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯ 
  5. "Harriet Powell: Labor Organiser"Australian Society for the Study of Labour History (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-২০ 
  6. "Ladies Letter"Gippsland Mercury। Victoria, Australia। ২৭ অক্টোবর ১৯১৬। পৃষ্ঠা 4 (morning)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৮ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  7. 'Value for Money', Sydney Morning Herald, Women's Column, 26 August 1918. NSW State Archives.
  8. "Eve's Moving Finger"The Sydney Stock And Station Journal। XXXIII। New South Wales, Australia। ১৪ জুন ১৯২১। পৃষ্ঠা 3। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৮ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  9. "AUSTRALIAN CAPITAL TERRITORY National Memorials Ordinance 1928–1959"Commonwealth of Australia Gazette। Australia। ২ অক্টোবর ১৯৬৯। পৃষ্ঠা 5791। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ – Trove-এর মাধ্যমে।