নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড
গঠিত২৮ আগস্ট ২০০৭
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
ওয়েবসাইটওয়েবসাইট

নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (নওপাজেকো) সরকারী মালিকানাধীন একটি বিদ্যুৎ কোম্পানি। এটি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে কোম্পানির আওতায় পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলমান রয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বিদ্যুৎ দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির মূল চালিকাশক্তি। জিডিপি-এর টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে টিকে থাকার জন্য টেকসই, নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন। আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার মিশ্র জ্বালানি (গ্যাস, কয়লা, তরল জ্বালানি, পারমাণবিক শক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি), প্রতিবেশী দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি এবং লোড ম্যানেজমেন্ট-এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন তথা সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। সরকারের মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ২৪,০০০ মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০,০০০ মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারের এই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে অংশীজন হিসেবে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) নিরলসভাবে নিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ ও সিস্টেমের লো-ভোল্টেজ সমস্যা নিরসনকল্পে সিরাজগঞ্জ ১৫০ মেঃওঃ পিকিং পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্প এবং খুলনা ১৫০ মেঃওঃ পিকিং পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পদ্বয়ে অর্থায়নের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে গত ২৮.০৬.২০০৭ তারিখে একটি ঋণ চুক্তি (ঋণ নং- ২৩৩২-বিএএন) স্বাক্ষরিত হয়। এডিবির ঋণ কার্যকর করার লক্ষ্যে গত ২৮.০৮.২০০৭ ইং তারিখে বাংলাদেশ সরকার প্রণীত বিদ্যুৎ খাত সংস্কার নীতিমালা এবং কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর আওতায় নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিঃ (বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রতিষ্ঠান) গঠিত হয়।

কোম্পানির আওতায় বর্তমানে ছয়টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলমান রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। কোম্পানি সাশ্রয়ী মূল্যে সব ধরনের জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে যে কোন আকারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নের ক্ষমতা অর্জন করেছে। বিদ্যুৎ খাতে অসামান্য অর্জনের জন্য কোম্পানি বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড আইএসও ৯০০১:২০১৫, আইএসও ১৪০০১:২০১৫, আইএসও ৪৫০০১:২০১৮ সনদ অর্জন করেছে। সম্প্রতি ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির স্বীকৃতি স্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌঃ এ. এম. খোরশেদুল আলম।

কোম্পানির বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩০৬৩ মেঃওঃ। আশা করা যায়, ২০২৫ সালের মধ্যে কোম্পানির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৯,০০০ মেঃওঃ এর উর্ধ্বে হবে। এছাড়া, কোম্পানিটি দ্রুততম সময়ে শক্তিশালী ব্রান্ড ইমেজসহ দেশের নেতৃত্বশীল বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থায় পরিগণিত হবে

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]