ওয়াজিহউদ্দিন আলভী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ওয়াজিহউদ্দিন আলভী
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১৪৯০
মৃত্যু১৫৮০ (বয়স ৮৯–৯০)
সমাধিস্থলওয়াজিহউদ্দিনের সমাধি
ঊর্ধ্বতন পদ
শিক্ষকমুহাম্মদ গাওত
উত্তরসূরীহাশেম পীর দস্তগীর

শাহ ওয়াজিহউদ্দিন আলভি গুজরাটি ( ফার্সি: شاه وجیه الدین علوی گجراتی ), যিনি হায়দার আলী সানি (ফার্সি: حیدر علی ثانی) নামেও পরিচিত, তিনি শাত্তারি ঐতিহ্যের একজন ইসলামী পন্ডিত এবং নামকরা সুফি ছিলেন।

জীবন[সম্পাদনা]

শাহ ওয়াজিহউদ্দিন আলভি হুসাইনি শাত্তারি (হায়দার আলী সানি) 'আলি দ্বিতীয়' ১৫ শতকের শেষ দশকে গুজরাটের চাম্পানেরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আহমেদাবাদে চলে আসেন যেখানে তিনি ইসলামিক স্টাডিজে শিক্ষা লাভ করেন। তিনি পঁয়ষট্টি বছর কুরআন অধ্যয়ন, ইসলামী আইন, গণিত এবং যুক্তিবিদ্যা শিক্ষা দেন। তিনি প্রথমে কাদিরি সুফি ঐতিহ্যের অনুসারী ছিলেন, কিন্তু মোহাম্মদ গাউস গোয়ালিয়রির সাথে সাক্ষাতের পর তিনি শাত্তারি সুফি ঐতিহ্যে যোগ দেন। তার নেতৃত্বে, আহমেদাবাদ ইসলামিক অধ্যয়নের একটি প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়, যা সারা ভারতের শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে। তাঁর অনেক শিষ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন, যার মধ্যে সৈয়দ সিবগাতাল্লাহ আল-বারওয়াজি, যিনি মদিনায় চলে আসেন এবং সৌদি আরবে শাত্তারি প্রথা প্রতিষ্ঠা করেন, শেখ আবদুল কাদির, যিনি উজ্জাইনে বসতি স্থাপন করেন এবং শেখ আবু তুরাব, যিনি লাহোরে চলে আসেন। এছাড়াও তার বাংলার ছাত্র ছিল যেমন উসমান এবং ইউসুফ, যারা মধ্যযুগীয় হিন্দুস্তানে ইসলামী শিক্ষায় অবদান রেখেছিলেন। [১] [২] ওয়াজিহউদ্দিন বিভিন্ন বিষয়ে ২০০টিরও বেশি বই লিখেছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

কিছু কিছু অনুসারে জানা যায় যে, সাইয়্যাদনা হাশিম পীর দস্তগীর ছিলেন তাঁর ভাতিজা ও খলিফা।

কাজ[সম্পাদনা]

ওয়াজিহউদ্দিন আলভি আরবি ও ফারসি ভাষায় বই লিখেছেন বলে জানা যায় [৩]


মৃত্যু ও দাফন[সম্পাদনা]

আহমেদাবাদে ওয়াজিহউদ্দিনের সমাধি

তিনি ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। [৪] তাকে আহমেদাবাদের খানপুরে একটি স্মারক সমাধিতে সমাহিত করা হয়েছে, যা জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে আহমেদাবাদের একাদশ (১৬০৬-১৬০৯) গভর্নর সৈয়দ মুর্তুজা খান বুখারি তৈরি করেছিলেন। [৫] [৬] [৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. al-Kumillai, Muhammad Hifzur Rahman (২০১৮)। "الشيخ الفاضل عثمان بن أبي عثمان البنغالي" [The honourable Shaykh ʿUthmān bin Abī ʿUthmān al-Bangālī]। كتاب البدور المضية في تراجم الحنفية (আরবি ভাষায়)। Dar al-Salih। 
  2. (۶۰۸) یاد شیخ یوسف بنگالی رحمہ اللہGulzar-e-Abrar (উর্দু ভাষায়)। পৃষ্ঠা 358–359। 
  3. Khayr al-Din al-Zirikli; Zirikli (২০০২)। Al-Alam। Islam Kotob। পৃষ্ঠা 110। 
  4. Nūrulḥasan Hāshimī; Valī (১৯৮৬)। Wali। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 13। 
  5. Trimingham, John Spencer and Voll, John O. (১৯৯৮)। The Sufi orders in IslamOxford University Press USA। পৃষ্ঠা 97–98। আইএসবিএন 0-19-512058-2 
  6. Achyut Yagnik (২ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। Ahmedabad: From Royal city to Megacity। Penguin Books Limited। পৃষ্ঠা 42। আইএসবিএন 978-81-8475-473-5 
  7. Gazetteer of the Bombay Presidency: Ahmedabad। Government Central Press। ১৮৭৯। পৃষ্ঠা 278 

আরও পড়া[সম্পাদনা]