ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ
ইন্দো-আর্য | |
---|---|
ভৌগোলিক বিস্তার | দক্ষিণ এশিয়া |
ভাষাগত শ্রেণীবিভাগ | ইন্দো-ইউরোপীয়
|
উপবিভাগ | |
আইএসও ৬৩৯-২/৫ | inc |
গ্লোটোলগ | indo1321[১] |
![]() বর্তমান ইন্দো-আর্য ভাষা গোষ্ঠীর ভৌগোলিক বিতরণ। রোমানি, ডোমারি, খোলোসী এবং লোমাভ্রেন মানচিত্রের আওতার বাইরে।
চিত্রাল (দার্দীয়)
শিনা (দার্দীয়)
কোহস্তানি (দার্দীয়)
কাশ্মীরি (দার্দীয়)
সিন্ধি (উত্তর-পশ্চিম)
গুজরাটি (পশ্চিম)
গড়ওয়ালী-কুমুনি (= সি. পাহাড়ি, উত্তরা)
নেপালি (= ই. পাহাড়ি, উত্তরা)
পূর্ব হিন্দি (কেন্দ্রীয়)
বাংলা-অসমীয়া (পূর্ব)
ওড়িয়া (পূর্ব)
হালবি (পূর্ব)
সিংহলা-মালদ্বীপ (দক্ষিণী)
(দেখানো হয়নি: কানার (দার্দীয়), চিনালি – লাহুল) |
ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের সদস্য ইন্দো-ইরানীয় ভাষাসমূহের একটি শাখা।
এসআইএল ইন্টারন্যাশনালের করা ২০০৫ সালের প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০৯ টি ইন্দো-আর্য ভাষা আছে। এদের মধ্যে হিন্দি-উর্দু মাতৃভাষীর সংখ্যা প্রায় ৫৪ কোটি, বাংলা প্রায় ২০ কোটি, পাঞ্জাবি ১০ কোটি, মারাঠি ৭ কোটি, গুজরাটি ৪ কোটি ৫০ লক্ষ, নেপালি প্রায় ৪ কোটি, ওড়িয়া প্রায় ৩ কোটি ,সিলটি প্রায় ২.৫ কোটি এবং সিন্ধি প্রায় ২ কোটি। সব মিলিয়ে ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহের মাতৃভাষী সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি।
শ্রেণীবিন্যাস[সম্পাদনা]
উত্তরাঞ্চল আর্য[সম্পাদনা]
নেপালি ভাষা এই শ্রেণীর প্রধান ভাষা। এছাড়াও গাড়োয়ালি, কুমায়োনি এই শ্রেণীর অন্তর্গত।
উত্তরপশ্চিমী আর্য[সম্পাদনা]
পাঞ্জাবী, সিন্ধি এবং ডোগরি এই পরিবারের অন্তর্গত। এদের সম্পর্কিত ভাষাসমূহও এই শ্রেণীর অংশ।
কেন্দ্রীয় আর্য[সম্পাদনা]
হিন্দুস্তানি ভাষা সমূহ এই শ্রেণীর অন্তর্গত। হিন্দি ও উর্দু এবং তৎসংলগ্ন ভাষাসমূহ কেন্দ্রীয় শ্রেণীর অন্তর্গত।
পূর্বী আর্য[সম্পাদনা]
বাংলা, অসমীয়া, ওড়িয়া, এবং ভোজপুরি এই শ্রেণীর অন্তর্গত। ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলে এই শ্রেণীর ভাষাসমূহ কথিত হয়।
দ্বৈপ্য ইন্দো আর্য[সম্পাদনা]
ভারত ও পাকিস্তানের কাশ্মীর অঞ্চলে এই ভাষাগোষ্ঠীর ভাষাসমূহ প্রচলিত। এদের মধ্যে কাশ্মীরি অন্যতম।
দক্ষিণী আর্য[সম্পাদনা]
মারাঠি, সিংহলি, ধিবেহী, এবং কোঙ্কণি এই শ্রেণীর অন্তর্গত।
পশ্চিমী আর্য[সম্পাদনা]
গুজরাটি, রাজস্থানী, মারোয়াড়ী, এবং রোমানি এই শ্রেণীর অন্তর্গত।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Indo-Aryan"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।