আন্দ্রি শেভচেঙ্কো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আন্দ্রি শেভচেঙ্কো
২০১৭ সালে ইউক্রেনের ম্যানেজার হিসেবে শেভচেঙ্কো
জন্ম
আন্দ্রি মিকোলায়োভিচ শেভচেঙ্কো[১]

(1976-09-29) ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ (বয়স ৪৭)[২]
পেশা
  • ফুটবল খেলোয়াড়
  • ফুটবল ম্যানেজার
  • রাজনীতিবিদ
উচ্চতা১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি)[৩]
রাজনৈতিক দলএসডিপিইউ (ইউ) (১৯৯৮–২০০৫)
ইউক্রেন – ফরওয়ার্ড! (২০১২)
দাম্পত্য সঙ্গীক্রিস্টেন পাজিক (বি. ২০০৪)
সন্তান
আত্মীয়মাইক পাজিক (শ্বশুর)

ফুটবল খেলোয়াড়ি জীবন
মাঠে অবস্থান আক্রমণভাগের খেলোয়াড়
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
ইউক্রেন (ম্যানেজার)
যুব পর্যায়
১৯৮৬–১৯৯৩ দিনামো কিয়েভ
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৯৩–১৯৯৬ দিনামো কিয়েভ ২ ৫১ (১৬)
১৯৯৩–১৯৯৯ দিনামো কিয়েভ ১১৭ (৬০)
১৯৯৯–২০০৬ এসি মিলান ২০৮ (১২৭)
২০০৬–২০০৯ চেলসি ৪৮ (৯)
২০০৮–২০০৯এসি মিলান (ধার) ১৮ (০)
২০০৯–২০১২ দিনামো কিয়েভ ৫৫ (২৩)
মোট ৪৯৭ (২৩৫)
জাতীয় দল
১৯৯৪–১৯৯৫ ইউক্রেন অনূর্ধ্ব-১৯ (৫)
১৯৯৪–১৯৯৫ ইউক্রেন অনূর্ধ্ব-২১ (৬)
১৯৯৫–২০১২ ইউক্রেন ১১১ (৪৮)
পরিচালিত দল
২০১৬– ইউক্রেন
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে
ওয়েবসাইটwww.sheva7.com

আন্দ্রি মিকোলায়োভিচ শেভচেঙ্কো (ইউক্রেনীয়: Андрій Миколайович Шевченко, উচ্চারণ [ɐnˈd⁽ʲ⁾r⁽ʲ⁾ij mɪkoˈlɑjowɪtʃ ʃeu̯ˈtʃɛnko]; জন্ম: ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬; আন্দ্রি শেভচেঙ্কো নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ইউক্রেনীয় সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়, রাজনীতিবিদ এবং ম্যানেজার। তিনি বর্তমানে ইউক্রেনের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। শেভচেঙ্কো তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় দিনামো কিয়েভ এবং এসি মিলানের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এবং বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।

১৯৮৬–৮৭ মৌসুমে, মাত্র ১০ বছর বয়সে, ইউক্রেনীয় ফুটবল ক্লাব দিনামো কিয়েভের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে শেভচেঙ্কো ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছিলেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছিলেন। ১৯৯৩–৯৪ মৌসুমে, প্রথমে দিনামো কিয়েভ ২ এবং একই মৌসুমে দিনামো কিয়েভের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি ৫ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন; দিনামো কিয়েভের হয়ে তিনি ৫১ ম্যাচে ১৬টি গোল করেছিলেন। অতঃপর ১৯৯৯–২০০০ মৌসুমে তিনি প্রায় ২৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালীয় ক্লাব এসি মিলানে যোগদান করেছিলেন, এসি মিলানের হয়ে তিনি কার্লো আনচেলত্তির অধীনে ১টি লিগ শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। এসি মিলানে ৭ মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইংরেজ ক্লাব চেলসির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন, যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ৭৭ ম্যাচে ২২টি গোল করেছিলেন। মাঝে তিনি ১ মৌসুমের জন্য এসি মিলানের হয়ে ধারে খেলেছিলেন। সর্বশেষ ২০০৯–১০ মৌসুমে, তিনি চেলসি হতে পুনরায় দিনামো কিয়েভে যোগদান করেছিলেন; দিনামো কিয়েভের হয়ে ৩ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।

১৯৯৪ সালে, শেভচেঙ্কো ইউক্রেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইউক্রেনের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ২ বছর যাবত ইউক্রেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ১৯৯৫ সালে ইউক্রেনের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন; ইউক্রেনের জার্সি গায়ে তিনি সর্বমোট ১১১ ম্যাচে ৪৮টি গোল করেছিলেন। তিনি ইউক্রেনের হয়ে সর্বমোট ১টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০০৬) এবং ১টি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে (২০১২) অংশগ্রহণ করেছিলেন।

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর ২০১৬ সালে, শেভচেঙ্কো ইউক্রেনের সহকারী ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে ম্যানেজার হিসেবে ফুটবল জগতে অভিষেক করেন। একই বছরের ১৫ই জুলাই তারিখে মিখায়লো ফোমেঙ্কো বরখাস্ত হওয়ার পর, তিনি ইউক্রেনের ম্যানেজারের পদে নিযুক্ত হয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে, শেভচেঙ্কো বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০০৪ বালোঁ দর[৪] এবং ৬ বার বর্ষসেরা ইউক্রেনীয় ফুটবলারের পুরস্কার জয় অন্যতম।[৫] দলগতভাবে, খেলোয়াড় হিসেবে শেভচেঙ্কো সর্বমোট ১৯টি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন, যার মধ্যে ১২টি দিনামো কিয়েভের হয়ে, ৫টি এসি মিলানের হয়ে এবং ২টি চেলসির হয়ে জয়লাভ করেছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

আন্দ্রি মিকোলায়োভিচ শেভচেঙ্কো ১৯৭৬ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর তারিখে সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনস্থ ইউক্রেনের দভির্কিভশ্চিনায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।[৬] তার বাবার নাম প্রাপোরশ্চিক মিকোলা রিহোরোভিচ শেভচেঙ্কো। ১৯৭৯ সালে, তিনি তার পরিবারের সাথে কিয়েভ – ওবোলনের (মিনস্ক জেলাটি ১৯৭৫ সালে তৈরি করা হয়) নবনির্মিত এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছিলেন।[৭] কিয়েভে শেভচেঙ্কো ২১৬তম সিটি স্কুলে অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৮৬ সালে ৯ বছর বয়সে অলেকসান্দ্র শপাকভ দ্বারা পরিচালিত ফুটবল বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনার কারণে, তার ক্রীড়া দলের সাথে তাকে সাময়িকভাবে শহর থেকে অন্যত্র নেওয়া হয়েছিল। অল্প বয়সেই তিনি এলএলডব্লিউআই ইউক্রেনীয় জুনিয়র লিগে প্রতিযোগিতামূলক বক্সার ছিলেন,[৮] তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ফুটবলকে ঘিরেই তার ভবিষ্যৎ গড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।[৯]

আন্তর্জাতিক ফুটবল[সম্পাদনা]

শেভচেঙ্কো ইউক্রেন অনূর্ধ্ব-১৮ এবং ইউক্রেন অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯৯৪ সালের তিনি ইউক্রেন অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। ইউক্রেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি প্রায় ২ বছরে ১৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ১১টি গোল করেছিলেন।

১৯৯৫ সালের ২৫শে মার্চ তারিখে, মাত্র ১৮ বছর ৫ মাস ২৫ দিন বয়সে, উভয় পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী শেভচেঙ্কো ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত উয়েফা ইউরো ১৯৯৬ বাছাইপর্বের ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইউক্রেনের হয়ে অভিষেক করেছিলেন।[১০] তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন; ম্যাচে তিনি ৯ নম্বর জার্সি পরিধান করে কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন।[১১] ম্যাচটিতে ইউক্রেন ৪–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল। ইউক্রেনের হয়ে অভিষেকের বছরে শেভচেঙ্কো সর্বমোট ২ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ১ বছর ১ মাস ৬ দিন পর, ইউক্রেনের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন;[১২] ১৯৯৬ সালের ১লা মে তারিখে, তুরস্কের বিরুদ্ধে ম্যাচে ইউক্রেনের প্রথম গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেছিলেন।[১২] ২০১১ সালের ১৪ই নভেম্বর তারিখে, তিনি জার্মানির বিরুদ্ধে ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ইউক্রেনের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, ম্যাচটিতে ইউক্রেন ৪–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।[১৩][১৪]

শেভচেঙ্কো জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ওলেগ ব্লোখিনের অধীনে ঘোষিত ইউক্রেন দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন,[১৫] উক্ত আসরে তিনি ইউক্রেনের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালের ১৪ই জুন তারিখে, তিনি স্পেনের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করেছিলেন।[১৬][১৭][১৮] উক্ত বিশ্বকাপে তিনি ৫ ম্যাচে ২টি গোল করেছিলেন।[১৯] ২০০৬ সালের ১৯শে জুন তারিখে, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি ফিফা বিশ্বকাপে তার প্রথম গোলটি করেছিলেন।[২০][২১][২২]

২০০৩ সালের ১০ই নভেম্বর তারিখে স্পেনের ভালেনসিয়ার মানুয়েল মার্তিনেস ভালেরো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত স্পেনের বিরুদ্ধে ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তিনি ইউক্রেনের জার্সি গায়ে তার ৫০তম ম্যাচ খেলেছিলেন, ম্যাচটিতে ইউক্রেন ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল, যেখানে তিনি ৯০ মিনিট খেলার পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন।[২৩][২৪] অন্যদিকে, ২০১০ সালের ৮ই আগস্ট তারিখে শেভচেঙ্কো তার খেলোয়াড়ি জীবনে ১০০তম ম্যাচটি খেলেছিলেন, কানাডার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের কিয়েভের ভালেরি লোবানভস্কি দিনামো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচটি ২–২ গোলে ড্র হয়েছিল; ম্যাচটিতে তিনি ইউক্রেনের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।[২৫][২৬] ২০১২ সালের ১৯শে জুন তারিখে শেভচেঙ্কো ৩৫ বছর বয়সে ইউক্রেনের হয়ে তার সর্বশেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন।[২৭][২৮] ইউক্রেনের দোনেৎস্কের ডনবাস এরিনায় অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে উক্ত ম্যাচে ইউক্রেন ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল, ম্যাচটিতে তিনি পূর্ণ ৯০ মিনিট খেলেছিলেন।[২৯][৩০][৩১] আন্তর্জাতিক ফুটবলে, তার ১৭ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি সর্বমোট ১১১ ম্যাচে ৪৮টি গোল করেছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

২০১২ সালে ইউনিসেফের ইউক্রেনীয় শাখার জন্য একটি প্রচ্ছদে শেভচেঙ্কো

২০০২ সালে জর্জো আরমানির একটি অনুষ্ঠানে শেভচেঙ্কো মার্কিন মডেল ক্রিস্টেন পাজিকের সাথে সর্বপ্রথম সাক্ষাত করেছিলেন। ২০০৪ সালের ১৪ই জুলাই তারিখে শেভচেঙ্কো ক্রিস্টেন পাজিকের সাথে ওয়াশিংটন ডিসির একটি গলফ কোর্সে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।[৩২][৩৩] তারা ইতালীয় ভাষায় একে অপরের সাথে যোগাযোগ করেন, যদিও শেভচেঙ্কো ইতিপূর্বে ইংরেজি শেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।[৩৪] ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে দিনামো কিয়েভে যোগদান করার পর এই দম্পতি ঘোষণা করেছিলেন যে, তারা চান তাদের সন্তানরা ইউক্রেনীয় ভাষায় শিক্ষালাভ করুক।[৩৫] এই দম্পতির চার ছেলে রয়েছে: জর্ডান (২০০৪ সালের ২৯শে অক্টোবর তারিখে জন্মগ্রহণ করেন), ক্রিস্টিয়ান (২০০৬ সালের ১০ই নভেম্বর তারিখে জন্মগ্রহণ করেন), আলেকজান্দার (২০১২ সালের ১লা তারিখে জন্মগ্রহণ করেন) এবং রাইডার গ্যাব্রিয়েল (২০১৪ সালের ৬ই এপ্রিল তারিখে জন্মগ্রহণ করেন)।[৩৬][৩৭] শেভচেঙ্কো জর্ডানের জন্মের পরের দিন সাম্পদোরিয়ার বিরুদ্ধে বিপক্ষে গোল করে জর্ডানের জন্ম স্মরণ করেন; উক্ত ম্যাচে মিলান ১–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[৩৮] মিলানের তৎকালীন মালিক এবং ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি শেভচেঙ্কোর প্রথম পুত্র জর্ডানের গডফাদার।[৩৯] ক্রিস্টিয়ানের জন্মের পরের দিন ওয়াটফোর্ডের বিরুদ্ধে ৪–০ গোলে চেলসির জয়ের ম্যাচে শেভচেঙ্কো গোল করার পর তিনি এবং তার বেশ কয়েকজন সতীর্থ একত্রিত হয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে জনপ্রিয় "রক-দ্য-বেবি" গোল উদ্‌যাপন করেন।[৪০]

শেভচেঙ্কো ফ্যাশন ডিজাইনার জর্জো আরমানির ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আরমানির জন্য মডেলিং করেছেন, এছাড়াও আরমানির সাথে তার দুটি বুটিক করেছেন।[৩২] স্ত্রীর সাথে তিনি "Ikkon.com" নামক একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট শুরু করেছেন, যা পুরুষদের ফ্যাশন এবং জীবনযাত্রার প্রতি নিবেদিত।[৪১] ২০০৫ সালের জুন মাসে, তিনি এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ নামক দাতব্য সংস্থার দূত নিযুক্ত হন।[৪২] অনাথ শিশুদের সহায়তা করার জন্য শেভচেঙ্কোর একটি ফাউন্ডেশনও রয়েছে।[৪১]

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, গলফে আগ্রহী শেভচেঙ্কো তার প্রথম পেশাদার গলফ প্রতিযোগিতায় খারকিউ সুপারিয়র কাপে অংশগ্রহণ করেছেন।[৪৩] ২০১৪ সালের ৮ই জুন তারিখে, তিনি সকার এইডের হয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব একাদশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

ক্লাব[সম্পাদনা]

ক্লাব মৌসুম লিগ জাতীয় কাপ মহাদেশীয় অন্যান্য মোট
বিভাগ ম্যাচ গোল ম্যাচ গোল ম্যাচ গোল ম্যাচ গোল ম্যাচ গোল
দিনামো কিয়েভ ২ ১৯৯২–৯৩ ইউক্রেনীয় প্রথম লিগ
১৯৯৩–৯৪ ৩১ ১২ ৩২ ১২
১৯৯৪–৯৫ ১৩ ১৭
১৯৯৬–৯৭
মোট ৫১ ১৬ ৫৬ ২১
দিনামো কিয়েভ ১৯৯৪–৯৫ ভিশ্চা লিহা ১৭ ২৩
১৯৯৫–৯৬ ৩১ ১৬ ৩৮ ১৯
১৯৯৬–৯৭ ২০ ২০
১৯৯৭–৯৮ ২৩ ১৯ ১০ ৪১ ৩৩
১৯৯৮–৯৯ ২৬ ১৮ ১৪ ১০ ৪৪ ৩৩
মোট ১১৭ ৬০ ২১ ১৫ ২৮ ১৯ ১৬৬ ৯৪
এসি মিলান ১৯৯৯–২০০০ সেরিয়ে আ ৩২ ২৪ ৪৩ ২৯
২০০০–০১ ৩৪ ২৪ ১৪ ৫১ ৩৪
২০০১–০২ ২৯ ১৪ ৩৮ ১৭
২০০২–০৩ ২৪ ১১ ৩৯ ১০
২০০৩–০৪ ৩২ ২৪ ১০ ৪৫ ২৯
২০০৪–০৫ ২৯ ১৭ ১০ ৪০ ২৬
২০০৫–০৬ ২৮ ১৯ ১২ ৪০ ২৮
মোট ২০৮ ১২৭ ১৫ ৬৯ ৩৬ ২৯৬ ১৭৩
চেলসি ২০০৬–০৭ প্রিমিয়ার লিগ ৩০ ১০ ৫১ ১৪
২০০৭–০৮ ১৭ ২৫
২০০৯–১০
মোট ৪৮ ১৫ ৭৭ ২২
এসি মিলান (ধার) ২০০৮–০৯ সেরিয়ে আ ১৮ ২৬
দিনামো কিয়েভ ২০০৯–১০ ইউক্রেনীয় প্রিমিয়ার লিগ ২১ ২৯
২০১০–১১ ১৮ ১০ ১২ ৩২ ১৬
২০১১–১২ ১৬ ২২
মোট ৫৫ ২৩ ২৩ ৮৩ ৩০
সর্বমোট ৪৯৭ ২৩৫ ৫৪ ৩১ ১৪২ ৬৭ ১১ ১০ ৭০৪ ৩৪৩

আন্তর্জাতিক[সম্পাদনা]

আনাতোলি তিমোশ্চুক এবং শেভচেঙ্কোকে উয়েফা ২০১১ সালে তাদের ১০০তম ম্যাচের জন্য সম্মানসূচক স্মারক প্রদান করেছিল। তারা যথাক্রমে ইউক্রেনের ইতিহাসে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা প্রথম এবং দ্বিতীয় খেলোয়াড়
উৎস:[৪৪]
দল সাল ম্যাচ গোল
ইউক্রেন ১৯৯৫
১৯৯৬
১৯৯৭
১৯৯৮
১৯৯৯
২০০০
২০০১
২০০২
২০০৩
২০০৪
২০০৫
২০০৬
২০০৭
২০০৮
২০০৯
২০১০
২০১১
২০১২
সর্বমোট ১১১ ৪৮

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Hughes, Rob (২৯ জুলাই ২০২০)। "Ukraine's Ruthless Finisher Takes on Politics"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০২০ 
  2. "A. Shevchenko: Summary"Soccerway। Perform Group। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৯ 
  3. "Andriy Shevchenko: Overview"। Premier League। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০২০ 
  4. Pierrend, José Luis (২৬ মার্চ ২০০৫)। "European Footballer of the Year ("Ballon d'Or") 2004"। RSSSF। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২০ 
  5. "Ukraine - Player of the Year Awards"www.rsssf.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২১ 
  6. "Andrei Shevchenko"ব্যারি হাগম্যান'স ফুটবলার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০২০ 
  7. "Sheva7 – Sito Ufficiale – Sheva7"lombardytophotels.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯ 
  8. Sakakeeny, Bryan (২৩ আগস্ট ২০১০)। "Sporting Heroes: Why Andriy Shevchenko Is the Brett Favre of Soccer"Bleacher Report। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯ 
  9. "10 Things You Did Not Know About Andriy Shevchenko — thedreamteam on Scorum"Scorum.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২১ 
  10. Strack-Zimmermann, Benjamin (১৯৯৫-০৩-২৫)। "Croatia vs. Ukraine (4:0)"National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  11. "Croatia - Ukraine, Mar 25, 1995 - Match sheet"Transfermarkt (জার্মান ভাষায়)। ১৯৯৫-০৩-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  12. Strack-Zimmermann, Benjamin (১৯৯৬-০৫-০১)। "Turkey vs. Ukraine (3:2)"National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  13. "Ukraine, Nov 14, 2001 - World Cup qualification Playoffs - Match sheet"Transfermarkt (জার্মান ভাষায়)। ২০০১-১১-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  14. Strack-Zimmermann, Benjamin (২০০১-১১-১৪)। "Germany vs. Ukraine (4:1)"National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  15. "Squad World Cup 2006 Germany"worldfootball.net। ২০২০-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  16. "Spain - Ukraine, Jun 14, 2006 - World Cup 2006 - Match sheet"Transfermarkt। ২০০৬-০৬-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  17. Strack-Zimmermann, Benjamin (২০০৬-০৬-১৪)। "Spain vs. Ukraine (4:0)"National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  18. "Spain - Ukraine 4:0 (World Cup 2006 Germany, Group H)"worldfootball.net। ২০২০-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  19. Played, Minutes (২০২০-১১-২৭)। "Appearances World Cup 2006"worldfootball.net (জার্মান ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  20. "Saudi Arabia - Ukraine, Jun 19, 2006 - World Cup 2006 - Match sheet"Transfermarkt (জার্মান ভাষায়)। ২০০৬-০৬-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  21. Strack-Zimmermann, Benjamin (২০০৬-০৬-১৯)। "Saudi Arabia vs. Ukraine (0:4)"National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  22. "Saudi Arabia - Ukraine 0:4 (World Cup 2006 Germany, Group H)"worldfootball.net। ২০২০-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  23. "Spain - Ukraine, Sep 10, 2003 - Match sheet"Transfermarkt (ওলন্দাজ ভাষায়)। ২০০৩-০৯-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  24. Strack-Zimmermann, Benjamin (২০০৩-০৯-১০)। "Spain vs. Ukraine (2:1)"National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  25. "Canada, Oct 8, 2010 - International Friendlies - Match sheet"Transfermarkt (ওলন্দাজ ভাষায়)। ২০১০-১০-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  26. Strack-Zimmermann, Benjamin (২০১০-১০-০৮)। "Ukraine vs. Canada (2:2)"National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  27. "Shevchenko quits internationals"BBC Sport। ২০১২-০৬-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  28. Evans, Simon (২০১২-০৬-১৯)। "Shevchenko to retire from international football"CN। ২০২১-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  29. "England - Ukraine, Jun 19, 2012 - EURO 2012 - Match sheet"Transfermarkt (ওলন্দাজ ভাষায়)। ২০১২-০৬-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  30. Strack-Zimmermann, Benjamin (২০১২-০৬-১৯)। "England vs. Ukraine (1:0)"National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  31. "England - Ukraine 1:0 (EURO 2012 Poland/Ukraine, Group D)"worldfootball.net। ২০২০-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  32. Eve, James (৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬)। "The hired assassin"The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯ 
  33. "American model wins most desirable Ukrainian football player"Pravda। ২৩ জুলাই ২০০৪। ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯ 
  34. "Sheva swaps Ferraris for family"China Daily। ১৬ আগস্ট ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯ 
  35. "Shevchenko wants his children speak Ukrainian"। Ukrainian Independent Information Agency। ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯ 
  36. Андрій Шевченко зізнався, як назвав свого четвертого сина – Segodnya
  37. Andriy SHEVCHENKO – four times a father! – FC Dynamo Kyiv official page.
  38. "Shevchenko gives AC Milan victory"। CNN। ৩০ অক্টোবর ২০০৪। ৭ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০০৭ 
  39. "Milan keen on Shevchenko signing"BBC Sport। ১৫ জুন ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯ 
  40. Lovejoy, Joe (১২ নভেম্বর ২০০৬)। "Chelsea 4 Watford 0: Drogba treble floors Watford"The Sunday Times। London। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০০৭ 
  41. Longman, Jeré (৬ জুন ২০১২)। "For Ukraine Striker, Ending Is Also a Beginning"। The New York Times। পৃষ্ঠা B14। 
  42. "Andriy Shevchenko pledges support for SOS Children's Villages" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। FIFA। ১৬ জুন ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯ 
  43. "Andriy Shevchenko to make professional golf debut"। CNN। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯ 
  44. "Andriy Shevchenko – Century of International Appearances"। RSSSF। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]