আনোয়ার হোসেন (আলোকচিত্রী)
আনোয়ার হোসেন | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১ ডিসেম্বর ২০১৮ |
পেশা | আলোকচিত্রী এবং চলচ্চিত্র ভিডিওগ্রাফার |
পুরস্কার | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (৫ বার) |
আনোয়ার হোসেন (৬ অক্টোবর ১৯৪৮ - ১ ডিসেম্বর ২০১৮) ছিলেন বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী, চলচ্চিত্র ভিডিওগ্রাফার।[১] বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে চিত্রগ্রহণে অবদানের জন্য তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]
আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ৬ অক্টোবর[২] পুরোন ঢাকার[১] আগানবাব দেউড়িতে। তার বাবা কাজ করতেন সিনেমা অফিসে। শৈশবে তিনি দারিদ্র্যের মধ্যে পড়ালেখা চালিয়ে যান।[২] মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নটরডেম কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের উপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য ভারতের পুনা ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন।
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র দুই ডলার (সমমান ৩০ টাকা) দিয়ে কেনা প্রথম ক্যামেরা দিয়ে তার আলোকচিত্রী জীবনের শুরু।[৩] প্রথম সাত বছর ধার করা ক্যামেরা আর চলচ্চিত্রের ধার করা ফিল্ম দিয়ে তিনি কাজ করেন। ঐ ফিল্মগুলো ছিল সাদাকালো। তিনি ৩৬ টাকা ব্যয়ে রঙিন ছবি তোলা শুরু করেন ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে। পরবর্তি ২০ বছর আলোকচিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন।[১]
চিত্রগ্রহণ[সম্পাদনা]
- সূর্য দীঘল বাড়ী, ১৯৭৯
- এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, ১৯৮০
- বস্ত্রবালিকারা (টিভি প্রামাণ্যচিত্র)
- দহন, ১৯৮৫
- অন্য জীবন, ১৯৯৫
- নদীর নাম মধুমতী, ১৯৯৪
- চিত্রা নদীর পারে, ১৯৯৯
- লালসালু, ২০০১
- শ্যামল ছায়া, ২০০৪
- তিন সুন্দরী, ২০০৬
- স্বপ্নভূমি, ২০০৭
ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু[সম্পাদনা]
১৯৯১ সালে তার প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী ডলি আনোয়ার [৪] মারা যাওয়ার পর আনোয়ার হোসেন ফ্রান্সে স্থানান্তরিত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি এক ফরাসি নারীকে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই পুত্র রয়েছে।
২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।[৩][৫][৬][৭]
পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]
কর্মজীবনে তিনি অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। ছোটবেলায়ই পরপর দুবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন ছবি এঁকে।[২]
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক - সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯)
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক - এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী (১৯৮০)
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক - পুরস্কার (১৯৮৩)
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক - অন্য জীবন (১৯৯৫)
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক - লালসালু (২০০১)
প্রকাশনা[সম্পাদনা]
আনোয়ার হোসেনের আলোকচিত্রের সংকলন বেরিয়েছে এযাবৎ তিনটি:
- বাংলাদেশে ভ্রমণ (১৯৮৮)
- ঢাকা পোট্রেট
- উওমেন
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ শাহজাহান শাজু (আগস্ট ২৫, ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ)। "খ্যাতিমান আলোকচিত্র শিল্পী"। দৈনিক ইনকিলাব (প্রিন্ট) । ঢাকা। দৈনিক ইনকিলাব। পৃষ্ঠা ৯। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য); - ↑ ক খ গ "আনোয়ার হোসেন" (ওয়েব)। ওয়েব। গুণীজন। সংগ্রহের তারিখ মে ৬, ২০১০ খ্রিস্টাব্দ। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ "হোটেল কক্ষ থেকে আলোকচিত্রী আনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার"। Jugantor। ২০১৮-১২-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১।
- ↑ ফ্রান্স থেকে আসছেন স্ত্রী আর দুই ছেলে, প্রথম আলো, ২ ডিসেম্বর ২০১৮
- ↑ [author_link] (২০১৮-১২-০১)। "হোটেল থেকে আলোকচিত্রী আনোয়ারের লাশ উদ্ধার"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১।
- ↑ "আলোকচিত্রী আনোয়ার হোসেন আর নেই"। সময় নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "ঢাকার হোটেল থেকে আলোকচিত্রী আনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার"। bangla.bdnews24.com। ২০১৮-১২-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১।
- ↑ Pratidin, Bangladesh (২০১৮-১২-০১)। "আলোকচিত্রী আনোয়ার হোসেন আর নেই - বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আনোয়ার হোসেন (ইংরেজি)
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |