বিষয়বস্তুতে চলুন

সমঝোতা এক্সপ্রেস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সমঝোতা এক্সপ্রেস
সমঝোতা এক্সপ্রেস
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিরতিস্থল
স্টেশনআটারি ওয়াঘা
পরিষেবা
পরিচালকপাকিস্তান রেল
ভারতীয় রেল
কারিগরি তথ্য
ট্র্যাক গেজ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি
যাত্রাপথের মানচিত্র
সমঝোতা এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ
কিমি
লাহোর জংশন
মুঘলপুরা রেল স্টেশন
জল্লো রেল স্টেশন
২৫ ওয়াঘা রেল স্টেশন


লোকোমোটিভ পরিবর্তন
২৮ আটারি রেল স্টেশন
৩৯ খস রেল স্টেশন
৪৬ ছেহার্তা রেল স্টেশন
৫২ অমৃতসর জংশন
দিল্লি অভিমুখে

সমঝোতা এক্সপ্রেস (হিন্দি: समझौता एक्सप्रेस, উর্দু: سمجھوتا اکسپريس‎‎) ভারতের দিল্লিপাকিস্তানের লাহোরের মধ্যে চলাচলকারী একটি দ্বি-সাপ্তাহিক ট্রেন। এই ট্রেন প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ও শুক্রবার উভয় দিক থেকে যাত্রা শুরু করে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

সিমলা চুক্তি ১৯৭১ মেনে ১৯৭৬ সালের ২২ জুলাই দু দেশের মধ্যে চালু হয়েছিল এই ট্রেন।[]

২০০৬ খ্রিস্টাব্দে থর এক্সপ্রেস চালু হওয়ার আগে পর্যন্ত সমঝোতা এক্সপ্রেস ছিল ভারতপাকিস্তানের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রেল পরিষেবা। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে দুই দেশের মধ্যে সিমলা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২২শে জুলাই এই ট্রেন চালু হয়। সেই সময় এই ট্রেন লাহোরঅমৃতসরের মধ্যে ৪২ কিলোমিটার পথ যাত্রা করত। প্রথমে প্রাত্যহিক রেল পরিষেবা হিসেবে চালু হলেও ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে দ্বি-সাপ্তাহিক ট্রেন হিসেবে সমঝোতা এক্সপ্রেসের সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়।

বিংশ শতাব্দীর আশির দশকে পাঞ্জাবের অস্থিরতার কারণে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারতীয় রেল অমৃতসরের বদলে আটারিকে এই ট্রেনের শেষ ভারতীয় গন্তব্য স্থল হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তানের ওয়াঘাপাকিস্তানের আটারি এই দুইটি স্থানের মধ্যে এই ট্রেন সীমান্ত অতিক্রম করে। পাকিস্তানি রেক সীমান্ত অতিক্রম করে আটারি পর্যন্ত যাত্রা করে ও তারপরে সেখান থেকে ট্রেনের লোকোমোটিভ পরিবর্তন করতে হয়। যাত্রীদের সুবিধার্থে বর্তমানে দিল্লি থেকে আটারি পর্যন্ত ভারতীয় রেলের একটি রেক চালু রয়েছে।

২০০১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই ডিসেম্বর ভারতীয় সংসদে জঙ্গি হামলার পর এই রেল পরিষেবা প্রথম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই জানুয়ারি আবার এই পরিষেবা চালু হয়। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের ২৭শে ডিসেম্বর বেনজির ভুট্টোকে হত্যা করা হলে এই ট্রেন কিছুদিনের জন্য আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।[] ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ৮ই অক্টোবর ওয়াঘা সীমান্তে দিল্লিগামী ট্রেনে প্রায় ১০০ কিলোগ্রাম হেরোইন ও ৫০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়।[][]

২০০৭ বিস্ফোরণ

[সম্পাদনা]

২০০৭ খ্রিস্টাব্দের ১৯শে ফেব্রুয়ারি সকালবেলায় দিল্লি-আটারি এক্সপ্রেসে একটি জঙ্গি হামলায় আটষট্টি জন নিহিত হন, যাদের মধ্যে অধিকাংশ পাকিস্তানের নাগরিক ও কয়েকজন এই ট্রেনের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান ছিলেন।[][] হরিয়ানা রাজ্যের পানিপথ শহরের নিকটে অবস্থিত দিওয়ানা স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির বয়ান অনুসারে, এই বিস্ফোরণের মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন স্বামী অসীমানন্দ নামক একজন হিন্দু ধর্মীয় নেতা।[] ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ১লা জুলাই, মার্কিন অর্থদপ্তর লস্কর-ই-তৈয়বা নামক ইসলামী সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য আরিফ কাসমানিকে এই বিস্ফোরণের জন্য দায়ী বলে ঘোষণা করে।[]

২০১০ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি দাবী করে যে, তাঁদের হাতে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, মূল ষড়যন্ত্রকারী স্বামী অসীমানন্দের নির্দেশে সন্দীপ ডেঙ্গে নামক এক প্রকৌশল ছাত্র ও রামজি কালসাংরা নামক একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মেরামতকারী বিস্ফোরক তৈরি করেন।[] ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ৮ই জানুয়ারি স্বামী অসীমানন্দ এই বিস্ফোরণের দায়ভার স্বীকার করেন।[] স্বামী অসীমানন্দের স্বীকারোক্তি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করার অভিযোগে পরবর্তীকালে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ কেন্দ্রীয় অন্বেষণ ব্যুরোকে আইনি নোটিশ পাঠায়।[১০]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Shimla Samjhouta" 
  2. The Telegraph - Calcutta (Kolkata) | Frontpage | India waits, steps up Pak vigil
  3. Rs.505 crore drug bust from India-bound Samjhauta Express Vikas Kahol, Mail Today, Chandigarh, 8 October 2012, indiatoday.intoday.in
  4. Heroine worth R 505 crore, ammunition seized from Samjhauta Express, Chandigarh, 8 October 2012, Dailybhaskar.com
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৫ 
  6. Zee News - Passengers recount horror on blast-hit train
  7. "Direct hand of Aseemanand in Samjhauta blasts: NIA"। Hindustan Times। ২০১০-১২-৩০। ২০১১-০১-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-০৫ 
  8. "Treasury Targets Al Qaida and Lashkar-E Tayyiba Networks in Pakistan"। Treasury.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-০৫ 
  9. Vishwa Mohan; Abantika Ghosh (৮ জানুয়ারি ২০১১)। "Aseemanand owns up to strike on Mecca Masjid"Times of India। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১১ 
  10. Iyer, Shekhar (৮ জানুয়ারি ২০১১)। "Indresh lawyers issue notice to CBI for statement 'leak'"Hindustan Times। ২০ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১১