সুরজিৎচন্দ্র সিনহা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুরজিৎচন্দ্র সিনহা
শান্তিনিকেতনে বাড়িতে কর্মরত অধ্যাপক সুরজিৎচন্দ্র সিনহা
জন্ম(১৯২৬-০৮-০১)১ আগস্ট ১৯২৬ [১]
মৃত্যু২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০২(2002-02-27) (বয়স ৭৫)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশানৃতত্ত্ববিজ্ঞানী, প্রশাসক
দাম্পত্য সঙ্গীপূর্ণিমা সিনহা
আত্মীয়মণি সিংহ (পিতৃব্য)
সুকন্যা সিনহা (কন্যা)
সুপর্ণা সিনহা (কন্যা)

ড. সুরজিৎচন্দ্র সিনহা বা ড. সুরজিৎচন্দ্র সিংহ (১  আগস্ট ১৯২৬ – ২৭ ফেব্রুয়ারি  ২০০২) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি নৃবিজ্ঞানী।[১][২]

জন্ম ও পারিবারিক পরিচয়[সম্পাদনা]

সুরজিৎচন্দ্র সিংহের জন্ম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ১লা আগস্ট  অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের দুর্গাপুর উপজেলার  সুসং দুর্গাপুরের জমিদার বাড়িতে। পিতা ছিলেন সুসং-এর মহারাজা ভূপেন্দ্রচন্দ্র সিংহ এবং মাতা পাবনা জেলার শীতলাইয়ের জমিদার যোগেন্দ্রনাথ মৈত্রর কন্যা প্রতিভা দেবী। পিতা কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র এবং বিখ্যাত  ভূদৃশ্য চিত্রশিল্পী ছিলেন। তাঁর মাতুল বংশের উদ্ভব সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ঘটেছিল। সুরজিৎচন্দ্রের কনিষ্ঠ ভগিনী ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পূর্বা দাম[৩]

তাঁর ঘনিষ্ঠ  পিতৃব্য প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা "জীবন সংগ্রাম"-এর রচয়িতা মহারাজ কুমার মণি সিংহ পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হন। তরুণ বয়সে তিনি তাঁর পিতৃব্যের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতেন। তাঁর মামা শীতলাই জমিদার পরিবারের কুমার জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র (ডাকনাম ছিল বটুকদা) ছিলেন একজন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। তিনি কলকাতার পাঠ ভবন বিদ্যালয়ের সঙ্গীত - 'আমাদের পাঠভবনে' রচনা করেন।[৪]

সুরজিৎচন্দ্র সিংহ বিখ্যাত আইনজীবী ও বাঙালি ঔপন্যাসিক নরেশচন্দ্র  সেনগুপ্তর কন্যা  পদার্থবিদ, লেখক ও সঙ্গীতজ্ঞ ড. পূর্ণিমা কে বিবাহ করেন।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

সুরজিৎ-এর পড়াশোনা শুরু হয় ময়মনসিংহের এক হাই স্কুলে এবং তারপর কলকাতার বালিগঞ্জ রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে। এরপর তিনি পদার্থবিদ্যা অনার্স নিয়ে ভরতি হন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। কিন্তু বিষয় পরিবর্তন করে  ভূতত্ত্বে স্নাতক হন ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে। ভূতত্ত্ব অনুশীলনে পাথর সন্ধানের পথে সাঁওতালদের নাচ দেখে আকৃষ্ট হন নৃতত্ত্বে। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম-এসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। [১]

[৫] নৃতত্ত্বচর্চার পথে  বিশিষ্ট  নৃবিজ্ঞানী  অধ্যাপক নির্মলকুমার বসু ছিলেন তাঁর প্রধান অনুপ্রেরণা। প্রসঙ্গত সুরজিৎ-এর  এম. এসসির মৌখিক বিষয়ের পরীক্ষক ছিলেন অধ্যাপক বসু। পরে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে  সুরজিৎ ফুলব্রাইট বৃত্তি নিয়ে আমেরিকার নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে  পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। সুরজিৎ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারকচন্দ্র দাসের অধীনে সামাজিক নৃতাত্ত্বিক ক্ষেত্রের কাজে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৫০-৫৩ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন বিহার বর্তমানে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মানভূম অঞ্চলে ভূমিজ আদিবাসীদের পার্শ্ববর্তী হিন্দুসমাজের সংস্পর্শে হিন্দু সংস্কৃতিতে সমন্বয়ের ক্রমবিবর্তন অনুশীলন ও বিশ্লেষণ করেন। এটি তাঁর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভে সহায়ক হয়েছিল।[৬]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ড. সিনহা কলকাতার  অ্যানথ্রোপোলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সহকারী পরিচালক ও পরে পরিচালক সহ শিক্ষাক্ষেত্রের ও প্রশাসনিক দপ্তরের বহু পদে আসীন ছিলেন। একসময় তিনি তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা ইন্দিরার পরামর্শদাতা ছিলেন। তিনি কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অব ম্যানেজমেন্টের নৃতত্ত্বের অধ্যাপক ছিলেন। পরে ১৯৭৫-৮০ খ্রিস্টাব্দে  শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য হন। অবসরের পর ১৯৮০-৮৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি 'ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ' (আইসিসিএসআর)-র সমাজ বিজ্ঞান প্রশিক্ষণের কলকাতা কেন্দ্রের দ্বিতীয় অধিকর্তা হন।

সুরজিৎচন্দ্র সিনহা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্ব বিষয়ে ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। আমেরিকা হতে দেশে ফিরে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় নৃতত্ত্ব সমীক্ষায়  যোগ দেন। তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল  মধ্য ভারতের বিশেষ করে ভূমিজ আদিবাসীদের বিষয়টি। সংস্থার অধ্যক্ষ নির্মলকুমার বসু তাঁকে সংস্থার নাগপুর শাখার প্রধান নিয়োগ করে সারা ভারতের মানবগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উপকরণসমূহের সমীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেন।   

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান কালে ১৯৬১-৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি শিকাগো ও ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। শেষ বছরে ক্যালিফোর্নিয়ার বিহেভিয়রল সায়েন্সের অ্যাডভান্সড সেন্টারের ফেলো ছিলেন। তিন মাস তিনি যুক্তরাষ্ট্রের  এক ছোট শহরে বাস করে মার্কিনি সমৃদ্ধ-জীবনে ধর্মচর্চার প্রকৃতি  অনুসন্ধান করে নিবন্ধ লেখেন রিলিজিয়ন ইন অ্যান অ্যাফ্লুয়েন্ট সোসাইটি[৭] রচনাটি আমেরিকাতে স্কুলপাঠ্য হয়েছিল।[১]

মতামত[সম্পাদনা]

ড. সিনহা ঊনবিংশ এবং বিংশ শতকের যুক্তিযুক্তভাবে সর্বজনশ্রদ্ধেয় দুই মহান ব্যক্তিত্ব  মহাত্মা গান্ধী এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উভয়ের মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাঁদের মতাদর্শের মাঝে অন্তর ছিল কেবল যে জায়গায়, সেটি হলো - গান্ধীজি যেখানে প্রত্যেক  ভারতীয়কে (সর্বোত্তম অর্থে) "শূদ্রে"র ভূমিকায় দেখতে চেয়েছিলেন, সেখানে রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন, প্রত্যেক ভারতীয়ই (শ্রেষ্ঠ অর্থে) "ব্রাহ্মণ" হন। [৮] ড. সিনহা ভারতীয় নৃবিজ্ঞান সম্পর্কে আত্মসমালোচনামূলক মত পোষণ করতেন। তিনি প্রথাগত পশ্চিমিধারা অনুযায়ী নৃতত্ত্বচর্চা না করে, নিজস্ব ঐতিহ্য বিকাশে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন।[৯][১০][১১] তার তত্ত্বাবধানে গবেষক ছাত্রদের বিষয়বস্তু কালীঘাটের ভিখারি, মেথর, বস্তি থেকে লোকসঙ্গীত ও নৃত্য, বিজ্ঞানগোষ্ঠী, কাশীর সাধু পণ্ডিত সম্প্রদায় পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তিনি প্রথাগত পশ্চিমিধারার অনুকরণে আদিবাসীদের একটি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীরূপে গণ্য না করে, তাদের ভারতীয় সভ্যতায় অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত একসূত্রে গাঁথা প্রতিপন্ন করেছেন। ভারতীয় সভ্যতার শক্তি উৎস সন্ধান এবং তার পুনর্গঠনে তিনি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। সেই মত বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে সব বিভাগের অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীদের রাঢ় অঞ্চলের সাংস্কৃতিক নানা দিক অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হন। বিশেষজ্ঞদের দেশ-বিদেশ থেকে আমন্ত্রণ করে এনে নতুন উদ্দীপনা সঞ্চার করে নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকেছেন। আইসিসিএসআর -এর কলকাতা সোশ্যাল সায়েন্স স্টাডিজ সেন্টারের অধ্যাপক-অধ্যক্ষরূপে অনুরূপ গবেষণার তত্ত্বাবধান অব্যাহত রেখেছিলেন।[১]

জীবনাবসান[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত হন। দীর্ঘ রোগ ভোগের পর ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারি ৭৫ বৎসর বয়সে শান্তিনিকেতনে প্রয়াত হন।

প্রকাশিত গ্রন্থ[সম্পাদনা]

ড. সিনহা তাঁর নিজের বিষয়ে প্রায় ১০০টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। কয়েকটি পুস্তক তিনি সম্পাদনাও করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল-

  • সায়েন্স, টেকনোলজি, অ্যান্ড  কালচার : এ স্টাডি অফ দ্য কালচারাল ট্র্যাডিশন্স  অ্যান্ড ইনস্টিটিউশন্স অফ ইন্ডিয়া অ্যান্ড সিলোন ইন রিলেশন টু সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
  • (সংস্করণ ),ট্রাইবাল পলিটিকস অ্যান্ড স্টেট সিস্টেমস ইন প্রিকলোনিয়াল ইস্টার্ন অ্যান্ড নর্থ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া  (কলকাতা  ১৯৮৭)
  • ট্রাইবস অ্যান্ড  ইন্ডিয়ান সিভিলাইজেশন: স্টাকচার্স অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন  (বারাণসী, ১৯৮২)
  • (সংস্করণ ), এসসিটিসিস অফ কাশী : অ্যান অ্যানথ্রোপলজিক্যাল এক্সপ্লোরেশন  (বৈদ্যনাথ সরস্বতী) (বারাণসী, ১৯৭৮)
  • (সংস্করণ ),ফিল্ড স্টাডিজ অন দ্য পিপল অফ ইন্ডিয়া: মেথডস অ্যান্ড পার্সপেক্টিভ্স( ইন মেমোরি অফ প্রফেসর তারকচন্দ্র দাস), (কলকাতা, ১৯৭৮)
  • (সংস্করণ ), অ্যানথ্রোপলজি ইন ইন্ডিয়া, ট্রাইবাল থট অ্যান্ড কালচার, (কলকাতা, ১৯৭৬)[১২]
  • (সংস্করণ ),অ্যাসপেক্ট অফ ইন্ডিয়ান কালচার অ্যান্ড সোসাইটি : এসেজ ইন ফেলিসিটেশান অফ প্রফেসর নির্মলকুমার বোস, (কলকাতা, ১৯৭২)
  • (সংস্করণ ), কালচারাল প্রোফাইল অফ ক্যালকাটা (কলকাতা,১৯৭২)
  • (সংস্করণ , রিসার্চ প্রোগ্রাম্স অন কালচারাল অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড আলায়েড ডিসিপ্লিন্স (কলকাতা,১৯৭০)
  • (সংস্করণ ),এথনিক গ্রুপ্স, ভিলেজেস অ্যান্ড টাউন্স অফ পরগনা বরাভূম : রিপোর্ট অফ এ সার্ভে ( বিমানকুমার দাশগুপ্ত এবং হেমেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সাথে যৌথ সম্পাদনায়) (কলকাতা, ১৯৬৬)
  • (সংস্করণ), লেভেলস অফ এ ইকোনমিক ইনিশিয়েটিভ অ্যান্ড এথনিক গ্রুপ্স ইন পরগনা বরাভূম ( ১৯৬৪)

১৯২১ খ্রিস্টাব্দে শরৎচন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নৃতাত্ত্বিক পত্রিকা ম্যান ইন ইন্ডিয়া নির্মলকুমার বসুর পর তিনি সম্পাদনা করেন। নির্মলকুমার সম্পর্কে তাঁর লেখা গ্রন্থ- নির্মলকুমার বসু: স্কলার ওয়ান্ডারার্স । (বাংলা অনুবাদ- নির্মলকুমার বসু: প্রাজ্ঞ পরিব্রাজক)

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

  • ভারতীয় সামন্তবাদ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1.   অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয়  খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি   ২০১৯ পৃষ্ঠা ৪৫৮,৪৫৯ আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬
  2. Surajit Sinha Archive. Abhijit Guha.
  3. "Indian Princely States: Susanga"। ২৫ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  4. Patha Bhavan, Calcutta ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে. pathabhavan.org.
  5. Historical Anthropology of Surajit Sinha by Anjan Ghosh. JIAS.
  6. Guha, Abhijit। "Space Time and Ethnicity: Field Study among the Bhumij of Barabhum by Surajit Sinha" 
  7. Sinha, Surajit (এপ্রিল ১৯৬৬)। "Religion in an affluent society"Current Anthropology7 (2): 189–195। এসটুসিআইডি 143485789জেস্টোর 2740027ডিওআই:10.1086/200693 
  8. "A creeping Insularity – Santiniketan still has a living link with its founders"। The Telegraph (Kolkata) 12 April 2008। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ 
  9. Sinha, Surajit। "India: A Western apprentice"Ancestors and Heirs (ইংরেজি ভাষায়): 275–282। 
  10. Guha, Abhijit (১৯৭১)। "In there an Indian tradition in Social/Cultural Anthropology: Retrospect and Prospects by Surajit Sinha"Journal of the Indian Anthropological Society6: 1–14। 
  11. "How Surajit Sinha viewed Indian Anthropology? Strengths and Limitations"ResearchGate (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২০ 
  12. "Sinha, Surajit 1926–"। ১১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯