দিলীপ লিয়ানাগে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দিলীপ লিয়ানাগে
දුලිප් ලියනගේ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামদিলীপ কপিলা লিয়ানাগে
জন্ম৬ জুন, ১৯৭২
কালুতারা, শ্রীলঙ্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৩)
২ সেপ্টেম্বর ১৯৯২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট২৯ আগস্ট ২০০১ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৬৭)
৪ ডিসেম্বর ১৯৯২ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই৩০ অক্টোবর ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১৬
রানের সংখ্যা ৬৯ ১৪৪
ব্যাটিং গড় ৭.৬৬ ১৬.০০
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ২৩ ৪৩
বল করেছে ১৩৫৫ ৬৪২
উইকেট ১৭ ১০
বোলিং গড় ৩৯.১৭ ৫১.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৪/৫৬ ৩/৪৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ৬/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ এপ্রিল ২০২০

দিলীপ কপিলা লিয়ানাগে (সিংহলি: දුලිප් ලියනගේ; জন্ম: ৬ জুন, ১৯৭২) কালুতারা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ২০০১ সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বার্গার রিক্রিয়েশন ক্লাব ও কোল্টস ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে ব্যাটিং করতেন দিলীপ লিয়ানাগে

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

কালুতারা বিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেছেন তিনি।

১৯৯১-৯২ মৌসুম থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দিলীপ লিয়ানাগে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন ও পেস বোলিংয়ে বেশ শ্রম দিতেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পরও ঘরোয়া ক্রিকেটে আধিপত্য বজায় অব্যাহত রাখেন। কলম্বোভিত্তিক কোল্টস ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে আক্রমণাত্মক অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ফলশ্রুতিতে, ২০০৩ সালে হংকং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিক্সেস প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্ব করেন ও অধিনায়ক/ব্যবস্থাপক হিসেবে মনোনীত হন।

২০০৬-০৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়াভিত্তিক ইস্ট ইভানহো সেন্টস ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে কোচ/খেলোয়াড় হিসেবে চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এরপর, প্রেস্টন ড্রুইডস ক্রিকেট ক্লাবে একই দায়িত্ব পালন করছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে নয়টিমাত্র টেস্ট ও ষোলটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন দিলীপ লিয়ানাগে। ২৮ আগস্ট, ১৯৯২ তারিখে কলম্বোয় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৯ আগস্ট, ২০০১ তারিখে একই মাঠে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯২ সালে বিখ্যাত ক্রিকেট তারকা মুত্তিয়া মুরালিধরনের সাথে কলম্বোয় একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় দিলীপ লিয়ানাগে’র। নিজস্ব তৃতীয় বলে টম মুডি’র উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান। এরপর, অ্যালান বর্ডারডেভিড বুনের উইকেট পেয়েছিলেন।

পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে অংশ নেন। সিরিজটি শ্রীলঙ্কান স্পিনারদের দাপট ছিল। তাসত্ত্বেও, সাত উইকেট নিয়ে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। কিন্তু, আঘাতের কারণে শুরুরদিকের প্রতিশ্রুতিশীলতা আর ধরে রাখতে পারেননি। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমের গ্রীষ্মে ভারতের বিপক্ষে উইকেট শূন্য অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। পোর্ট অব স্পেনে এ সফরের একমাত্র ওডিআইয়ে কুমার ধর্মসেনা’র সাথে ৮ম উইকেটে ৯১ রান তুলে শ্রীলঙ্কার পক্ষে নতুন সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়েন।[১][২]

দলের বাইরে অবস্থান করার পর ১৯৯৭ সালে বিস্ময়করভাবে পুনরায় তাকে দলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ পর্যায়ে বেশ কয়েকটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন। দলে ফিরে সাতটি ওডিআইয়ে অংশ নেন। তবে, পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত উইলস চারদেশীয় প্রতিযোগিতায় আবারও আঘাতের কবলে পড়েন।

কোল্টস ক্লাবের পক্ষে সুন্দর ক্রীড়ানৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ পুনরায় তাকে জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনা হয়। আগস্ট, ২০০১ সালে ভারত গমন করেন। কলম্বোয় নিজস্ব সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

অবসর[সম্পাদনা]

ইসিবিঅস্ট্রেলিয়া থেকে দ্বিতীয় স্তরের কোচ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন। ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া ও প্যারেড কলেজে কোচ হিসেবে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। বর্তমানে, মেলবোর্নে ডিএলসিএ নামীয় নিজস্ব একাডেমি পরিচালনা করছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Only ODI: West Indies v Sri Lanka at Port of Spain, Jun 6, 1997 | Cricket Scorecard | ESPN Cricinfo"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২৮ 
  2. "Cricket Records | Records | Sri Lanka | One-Day Internationals | Highest partnerships by wicket | ESPN Cricinfo"Cricinfo। ২০১৬-১১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২৮ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]