সোন হুং মিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সোন হুং মিন
২০১৮ সালে সোন দক্ষিণ কোরিয়ায়
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম সোন হুং মিন
জন্ম (1992-07-08) ৮ জুলাই ১৯৯২ (বয়স ৩১)[১]
জন্ম স্থান ছুনচন, দক্ষিণ কোরিয়া
উচ্চতা ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি)[২]
মাঠে অবস্থান উইঙ্গার / ফরোয়ার্ড
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
টটেনহ্যাম হটস্পার
জার্সি নম্বর
যুব পর্যায়
২০০৮ এফসি সিউলl
২০০৮-২০১০ হ্যামবার্গার এসভি
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
২০১০ হ্যামবার্গার এসভি (১)
২০১০-২০১৩ হ্যামবার্গার এসভি ৭৩ (২০)
২০১৩-২০১৫ বায়ার লেভারকুসেন ৬২ (২১)
২০১৫– টটেনহ্যাম হটস্পার ১৯৭ (৭০)
জাতীয় দল
২০০৮-২০০৯ দক্ষিণ কোরিয়া অনূর্ধ্ব-১৭ ১৮ (৭)
১০১৬ দক্ষিণ কোরিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ (২)
২০১০– দক্ষিণ কোরিয়া ৯১ (২৭)
অর্জন ও সম্মাননা
 দক্ষিণ কোরিয়া-এর প্রতিনিধিত্বকারী
Men's football
AFC Asian Cup
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান 2011 Qatar Team
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান 2015 Australia Team
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ০৪:২৩, ২৪ মে ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক।
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৮:৫০, ১৩ জুন ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক।
টটেনহ্যামের একটি ম্যাচে সোন

সোন হুং মিন ( হাঙ্গুল: 손흥민; হাঞ্জা:孫興慜; জন্ম ৮ জুলাই ১৯৯২) একজন দক্ষিণ কোরিয়ান পেশাদার ফুটবলার যিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার এবং দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং উইঙ্গারফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেন।

ক্লাব ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

হ্যামবার্গার[সম্পাদনা]

২০০৮ সালে ১৬ বছর বয়সী সোন হুং মিন দোংবাক হাই স্কুল ছেড়ে হ্যামবার্গার একাডেমিতে যোগ দেয়।[৩] ২০০৯-১০ মৌসুমে তিনি হ্যামবার্গারের হয়ে ৬ ম্যাচে ১ গোল করেন। [৪]

২০১০-১১ প্রাক-মৌসুমে তিনি দলের হয়ে ৯ গোল করেন এবং প্রথম ক্লাবের সাথে অফিশিয়াল চুক্তি করেন।[৫] আগস্টে চেলসির বিপক্ষে গোলের পর পায়ের ইনজুরির জন্য ২ মাস খেলার বাইরে চলে যান। ২০১০ সালের ৩০ অক্টোবরে ফিরে এফসি কোণের বিপক্ষে প্রথম লিগ গোল করেন। সোন ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০১০-১১ মৌসুমে সব টুর্নামেন্টে ১৪ ম্যাচ খেলে ৩ গোল করেন। ২০১১-১২ মৌসুমে জ্বরের জন্য প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেনি, তবে পরবর্তী ৩ ম্যাচে ২ গোল করেন। সেই মৌসুমে তিনি ক্লাবের হয়ে ৩০ ম্যাচে ৫ গোল করেন।

২০১২-১৩ মৌসুমে ৯ ফ্রেবুয়ারিতে সোন বুরুশিয়া ডর্ট্মুন্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন, ম্যাচটিতে হ্যামবার্গার ৪-১ গোলে জয়লাভ করে। ডর্ট্মুন্ডের বিপক্ষে চমৎকার পার্ফমেন্সের সুবাদে "বি ফার্মার" উপাধী পান। ১৪ এপ্রিলে সনের জোড়া গোলে মেইঞ্জ ০৫ এর বিপক্ষে ২-১ গোলে জ্যলাভ করে হ্যামবার্গার। তিনি ৩৪ ম্যাচে ১২ গোল করে মৌসুম শেষ করে।[৪]

বায়ার লেভারকুসেন[সম্পাদনা]

২০১৩ সালের ১৩ জুনে বায়ার লেভাকুসেন ১০ মিলিয়ন ইউরোতে সনকে কিনে নেয়, যা তাকে ক্লাবটির ইতিহাসের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়ে পরিণত করে । সোন ৫ বছরের চুক্তি করেন।[৬] সোন খুব দ্রুত ক্লাবের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেন এবং প্রাক মৌসুমের ৩ ম্যাচে ৩ গোল করেন।[৭] ২০১৩ সালের ৯ নভেম্বরে হ্যামবার্গারের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করে দলকে ৫-৩ গোলে জেতান।[৮] ২০১৩-১৪ মৌসুমে ৪৩ ম্যাচে ১২ গোল করেন। [৪]

২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে উলসবার্গের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করলেও ৪-৫ গোলে ম্যাচটি হারেন। সে ২০১৪-১৫ মৌসুমে ৪২ ম্যাচে ১৭ গোল করেন।

সোন ২০১৫-১৬ মৌসুমে লেভারকুসেনের হয়ে একটি লিগ ম্যাচ ও একটি চ্যাম্পিয়েন্স লিগ বাছাই ম্যাচ খেলেন।

টটেনহ্যাম হটস্পার[সম্পাদনা]

২০১৫-১৬ মৌসুম[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের ২৮ আগস্টে সোন প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারে ২২ মিলিয়ন পাউন্ড (৩০ মিলিয়ন ইউরো) এর বিনিময়ে ৫ বছরের চুক্তিতে যোগ দেন।[৯] যা তাকে সবচেয়ে এশিয়ান ফুটবলারে পরিনত করে, ২০০১ সাল থেকে এই রেকর্ডটি ধরে রেখেছিলো জাপানি ফুটবলার হিদেতশি নাকাতা, তাকে পার্মা ২৫ মিলিয়ন ইউরোতে রোমা থেকে কেনে।

১৩ সেপ্টেম্বরে সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়, ম্যাচের ৬২ মিনিটে মাঠে নামেন, ম্যাচটিতে ১-০ গোলে জয়লাভ করে টটেনহ্যাম[১০]। ২০১৫-১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরে উয়েফা ইউরোপা লিগে প্রথম ম্যাচে কারাবাগের বিপক্ষে সনের জোড়া গোলে ৩-১ গোলে জয়লাভ করে টটেনহ্যাম। এর তিন দিন পর ঘরের মাঠে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে নিজের প্রথম প্রিমিয়ার লিগ গোল করেন। ২ মে'তে চেলসির বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একটি গোল করে, তবে ২য় হাফে চেলসি গোল করে ম্যাচটি ড্র করলে লেস্টার সিটি লিগ শিরোপা জিতে যায়।[১১]

২০১৬-১৭ মৌসুম[সম্পাদনা]

২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে সোন স্টোক সিটির বিপক্ষে ২ গোল এবং একটি এসিস্ট করে দলকে ৪-০ গোলে জেতায়। ১৪ অক্টোবরে প্রথম কোরিয়ান ও প্রথম এশিয়ান হিসেবে 'প্রিমিয়ার লিগ প্লেয়ার অফ দ্যা মান্থ ' নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ১২ মার্চে সোন স্পার্সের হয়ে প্রথম হ্যাট্রিক করেন, এফএ কাপের ম্যাচটিতে মিলোয়ালকে ৬-০ গোলে হারায় টটেনহ্যাম। ১ এপ্রিলে একটি গোল দিয়ে বার্নলির বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পায়। এপ্রিলে আবার 'প্রিমিয়ার লিগ প্লেয়ার অফ দ্যা মান্থ' নির্বাচিত হন। সেই মৌসুমে সব ম্যাচ মিলিয়ে ২১ গোল করেন। [১২]

২০১৭-১৮ মৌসুম[সম্পাদনা]

সোন ২০১৭-১৮ মৌসুমে ১৩ সেপ্টেম্বরে উয়েফা চ্যাম্পিয়েন্স লিগে বুরশিয়া ডর্ট্মুন্ডের বিপক্ষে মৌসুমের ১ম গোল করেন, যেটায় ৩-১ গোলে জয়লাভ করে স্পার্স।[১৩] লিভারপুলকে ৪-১ গোলে পরাজিত করা ম্যাচটিতে মৌসুমে নিজের প্রথম লিগ গোল করেন।[১৪] ৫ নভেম্বরে সোনের করা একমাত্র গোলে ক্রিস্টাল প্যালেসকে হারায় স্পার্স।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বরে সোন ২০১১ এএফসি এশিয়ান কাপে জাতীয় দলে জায়গা পান।[১৫] ৩০ ডিসেম্বরে সিরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে অভিষেক হয়।[১৬] এশিয়ান কাপে ভারতের বিপক্ষে নিজের প্রথম গোল করেন, ম্যাচটিতে ৪-১ গোলে জয়লাভ করে দক্ষিণ কোরিয়া।[১৭] ২০১৩ সালের ২৩ মার্চে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে ৮১ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে ৯৬ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন।

২০১৪ সালের জুনে সোন ২০১৪ বিশ্বকাপের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় সুযোগ পান।[১৮] বিশ্বকাপে আলজেরিয়ার বিপক্ষে একটি গোল করেন। সোন ২০১৫ সালে অস্টেলিয়ায় এএফসি এশিয়ান কাপে সুযোগ পান। কোয়ার্টার ফাইনালে সনের জোড়া গোলে উজবেকিস্তানকে ২-০ গোলে হারায় কোরিয়া। ফাইনালে ২-১ গোলে হেরে যায় কোরিয়া।

২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সোনের হ্যাট্রিকে লাওসকে ৮-০ গোলে হারায় কোরিয়া।[১৯]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

সোনের বাবা সোন উং-জং সাবেক ফুটবলার এবং দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় দলের কোচ ছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Son Heung-Min"11v11.com। AFS Enterprises। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  2. "Profile @ Rio2016.com"। 2016 Summer Olympics। ৬ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৬ 
  3. Pröpping, Andreas (6 October 2008). "Abenteuer in einer anderen Welt" (in German). Hamburger Abendblatt. Retrieved 21 January 2011.
  4. "Heung-Min Son". Kicker (in German). Retrieved 24 August 2015.
  5. "Son ist Vehs Sturmjuwel". Hamburger Morgenpost (in German). Hamburg. 11 July 2010. Retrieved 21 January 2011.
  6. Philip Quinn (14 June 2013). "Bayer Leverkusen sign Heung Min Son from Hamburg". SB Nation. Retrieved 19 September 2016.
  7. "Werkself fail to press home advantage". Bayer 04 Leverkusen. 23 July 2013.
  8. "Son shines as Leverkusen put five past Hamburg".
  9. "Tottenham sign Heung-Min Son from Bayer Leverkusen". Sky Sports. 28 August 2015. Retrieved 28 August 2015.
  10. Chowdhury, Saj (13 September 2015). "Sunderland 0–1 Tottenham". BBC Sport. Retrieved 13 September 2015.
  11. Usry, Rob. "Heung-Min Son doubles Tottenham's lead over Chelsea". Retrieved 2016-05-02.
  12. Benge, James (18 May 2017). "Heung-min Son, Harry Kane and Dele Alli set new Tottenham goal record". Evening Standard.
  13. Usry, Rob (13 September 2017). "WATCH: Son Heung-Min takes on all of Borussia Dortmund's defense, scores amazing solo goal". SBNATION.
  14. Wilson, Jonathan (22 October 2017). "Son Heung-min the perfect example of how Mauricio Pochettino uses his different weapons to devastating effect". The Independent. Jump up ^
  15. "Son of SV Hamburg tapped to Asian Cup team". The Korea Herald. Seoul. 24 December 2010. Retrieved 23 January 2015.
  16. "S. Korea beats Syria in tune-up for Asian Cup". Yonhap News. 30 December 2010. Retrieved 23 January 2015.
  17. "South Korea march into Asian Cup quarter-finals with 4–1 defeat of India in their final Group C game". Fox Sports. 19 January 2011. Retrieved 23 January 2015.
  18. "South Korea World Cup 2014 squad". The Daily Telegraph. London. 2 June 2014. Retrieved 23 June 2014.
  19. "Son Heung-Min nets hat trick for South Korea, Shinji Kagawa seals Japan win". ESPN FC. 3 September 2015. Retrieved 3 September 2015.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]