কো জে চেয়ল
![]() | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কো জে চেয়ল | ||
জন্ম | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ | ||
জন্ম স্থান | দক্ষিণ চাঙচেঙ, দক্ষিণ কোরিয়া | ||
উচ্চতা | ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মিডফিল্ডার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | এফসি আগর্সবার্গ | ||
জার্সি নম্বর | ১৯ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৭-২০১০ | জেজু ইউনাইটেড | ৭০ | (৭) |
২০১১-২০১৪ | উলসবার্গ | ৩২ | (০) |
২০১২-২০১৩ | → উলসবার্গ (লোন) | ৩৬ | (৮) |
২০১৪-২০১৫ | মেইঞ্জ জিরো ফাইভ | ৩৯ | (৬) |
২০১৫- | আগর্সবার্গ | ৩৫ | (৯) |
জাতীয় দল | |||
২০০৭-২০০৯ | দক্ষিণ কোরিয়া অনূর্ধ্ব-২০ | ১৬ | (৫) |
২০০৯-২০১২ | দক্ষিণ কোরিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ | ১৬ | (৫) |
২০০৮– | দক্ষিণ কোরিয়া | ৫৭ | (১৮) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
কো জে চেয়ল (কোরীয়: 구자철; জন্ম ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯) একজন দক্ষিণ কোরিয়ান মিডফিল্ডার, যিনি বুন্দেসলিগায় এফসি আর্গসবার্গ এর হয়ে খেলেন এবং দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া বিমান বাহিনির দুত হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৩ সালের ২৪ জুন কো তার থেকে ৩ বছরের বড় জেজু নামক মহিলাকে শেরাটন গ্র্যান্ড অয়েল্কারহিল হোটেলে বিয়ে করেন।
ক্লাব ক্যারিয়ার
[সম্পাদনা]কো ১০ বছর বয়সে তার স্কুল দলের হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন। প্রথমে ডিফেন্ডার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৬ সালে তিনি বোইন হাই স্কুল ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন, কো একটি টুর্নামেন্টে তার স্কুল দলকে নেতৃত্ব দেন। ঐ টুর্নামেন্টে চমৎকার খেলে রানার্স-আপ করান দলকে। টুর্নামেন্ট চলাকালে তিনি জেজু ইউনাইটেডের কোচ জুং হায় সেয়ং এর নজরে পড়েন।
জেজু ইউনাইটেড
[সম্পাদনা]২০০৭ সালে কে-লিগের ড্রাফটে জেজু ইউনাইটেডে যোগ দেয়। তিনি ১ম দুই বছর ইনজুরির কারণে জেজু ইউনাইটেডের হয়ে ভালো খেলতে পারেনি। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে কো ইংলিশ ক্লাব ব্র্যাকবার্ন রোভার্সের ট্রায়ালে আমন্ত্রিত হন, কিন্তু ট্রায়ালে উর্ত্তীন হতে পারেননি। ২০১০ সালে জেজু ইউনাইটেডের হয়ে সেরা মৌসুম কাটান, সেবার তার ক্লাব রানার্স-আপ হয়। তিনি ঐ মৌসুমে ব্যক্তিগত বেশ কয়েকটি পুরস্কার জেতেন। 'ফ্যান্টাস্টিক প্লেয়ার পুরস্কার' এবং 'টপ এসিস্ট পুরস্কার' জিতে দলের প্রথম একাদশে জায়গা করে নেন।
ভিএফএল উলসবার্গ
[সম্পাদনা]২০১১ সালের ৩০ জানুয়ারিতে কো শীতকালীন দলবদলে জার্মান ক্লাব উলসবার্গে ৩ বছরের চুক্তিতে যোগ দেন। ২০১১ সালের ১২ অক্টোবরে হ্যামবার্গার এসভি'র বিপক্ষে অভিষেক হয়, ঐ ম্যাচে ৬৪ মিনিটে তিনি বদলি হিসেবে খেলেন এবং ১-০ গোলে হেরে যান।
আগর্সবার্গ (লোন)
[সম্পাদনা]২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারিতে লিগ প্রতিদন্ধি এফসি আগর্সবার্গে যোগ দেন। লোনে খেলা চলাকালীন ৫ টি গোল দেন। তার চমৎকার পার্ফরমেন্সে আগর্সবার্গ তাদের প্রথম বুন্দেসলিগায় অবনমন এড়াতে সক্ষম হয়।
২য় মৌসুমে তিনি বেশ কয়েকবার ইনজুরিতে পড়েন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ডিএফবি-পোকাল কাপে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-০ গোলে পরাজিত হন। ঐ ম্যাচে তিনি ফরাসি ফুটবলার ফ্রাঙ্ক রিবেরির সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। একটি ফ্রি কিকের সময়ে রিবেরির কাছে এগিয়ে আসেন এবং রিবেরির মুখ স্পর্শ করেন, এতে রিবেরি মেজাজ হারিয়ে তাকে থাপ্পড় মেরে বসেন। এই ঘটনায় রেফারি থরস্টেন কিংহোফার রিবেরিকে হলুদ কার্ড দেখায়। এই ঘটনার জন্য বায়ার্ন মিউনিখের কোচ ইয়ুর্প হেয়ঙ্কেস দুইজনকেই দায়ী করেন।
মেইঞ্জ জিরো ফাইভ
[সম্পাদনা]২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারিতে কো জে চেয়ল সাড়ে ৪ বছরের চুক্তিতে জার্মান ক্লাব মেইঞ্জ জিরো ফাইভে যোগ দেয়। এসসি ফেইবার্গের বিপক্ষে তার ১ম গোলের সুবাদে ২-০ গোলে জয় পায় মেইঞ্জ জিরো ফাইভ।
আগর্সবার্গ
[সম্পাদনা]২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট কো জে চেয়ল আগর্সবার্গে যোগ দেয়। ২০১৬ সালের ৬ মার্চ বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে হ্যাট্রিকের মাধ্যমে বুন্দেসলিগায় নিজের প্রথম হ্যাট্রিক করেন।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
[সম্পাদনা]২০১১ এএফসি এশিয়ান কাপে দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে খেলেন এবং টুর্নামেন্টে ৩য় স্থান অধিকার করে। টুর্নামেন্টে ৫ টি গোল এবং ৩ টি এসিস্ট করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।
২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় দলে সেন্টাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। টুর্নামেন্টের প্রত্যেকটি ম্যাচ খেলেন। তার দেয়া একটি গোলের সুবাদে আরেক এশিয়ান দল জাপানকে ২-০ গোলে হারিয়ে তামা জিতে নেয় দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবল দল সেবার অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথমবার তামা জিতে।
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়। তার দেয়া গোলের পরেও গ্রুপের ২য় ম্যাচে আলজেরিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলে পরাজিত হয় দক্ষিণ কোরিয়া। ২০১৫ এশিয়ান কাপের জন্য তিনি দক্ষিণ কোরিয়া দলে অন্তর্ভুক্ত হন। দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম ম্যাচেই ওমানকে ১-০ গোলে হারায় এবং কো জে চেয়ল 'ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ' নির্বাচিত হন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচে ইনজুরি হন বিধায় বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারেনি।
তথসুত্র
[সম্পাদনা]১. "Marco Fabian, Isco and the young stars who could emerge at the 2012 Olympics" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে. Goal.com. Retrieved 26 July 2012.
২. "Marco Fabian, Isco and the young stars who could emerge at the 2012 Olympics" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে
৩. "Wolfburg Sign Jeju United's Koo Ja Cheol After Impressive Asian Cup". goal.com. 31 January 2011. Retrieved 13 January 2013.
৪. "Footballer Koo Ja-cheol is married". Dong A.com. Retrieved 26 June 2013.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Koo Ja-cheol – K League stats at kleague.com
- Koo Ja-cheol – National Team Stats at KFA (Korean)
- Koo Ja-Cheol ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ জুন ২০১৬ তারিখে – FIFA competition record
- ESPN Soccernet profile[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- Koo Ja-cheol at National-Football-Teams.com
- দক্ষিণ কোরীয় ফুটবলার
- ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়
- বুন্দেসলিগার খেলোয়াড়
- ফুটবল ক্লাব আউগসবুর্গের খেলোয়াড়
- মাইনৎস ০৫-এর খেলোয়াড়
- ভিএফএল ভলফসবুর্গের খেলোয়াড়
- ফুটবলে অলিম্পিক পদক বিজয়ী
- এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জপদক বিজয়ী দক্ষিণ কোরীয়
- ২০১১ এএফসি এশিয়ান কাপের খেলোয়াড়
- কে লিগ ১-এর খেলোয়াড়
- দক্ষিণ কোরিয়ার অনূর্ধ্ব-২০ আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক যুব ফুটবলার
- দক্ষিণ কোরিয়ার অনূর্ধ্ব-২৩ আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- দক্ষিণ কোরিয়ার অলিম্পিক ফুটবলার
- আল খুর স্পোর্টস ক্লাবের খেলোয়াড়
- অলিম্পিক ব্রোঞ্জপদক বিজয়ী দক্ষিণ কোরীয়
- দক্ষিণ কোরীয় প্রবাসী ফুটবলার
- ১৯৮৯-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়
- ২০১৫ এএফসি এশিয়ান কাপের খেলোয়াড়
- কাতার স্টার্স লিগের খেলোয়াড়
- জার্মানিতে প্রবাসী ফুটবলার
- ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ফুটবলার
- ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পদক বিজয়ী
- ফুটবলে এশিয়ান গেমস পদক বিজয়ী
- ২০১০ এশিয়ান গেমসের ফুটবলার
- ২০১০ এশিয়ান গেমসের পদক বিজয়ী
- ২০১৯ এএফসি এশিয়ান কাপের খেলোয়াড়