২০১৬ মহিলাদের টুয়েন্টি২০ এশিয়া কাপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মহিলাদের টুয়েন্টি২০ এশিয়া কাপ
তত্ত্বাবধায়কএশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল
ক্রিকেটের ধরন২০-ওভার
প্রতিযোগিতার ধরনগ্রুপ পর্বসহ ফাইনাল
আয়োজক থাইল্যান্ড
বিজয়ী ভারত (৬ষ্ঠ শিরোপা)
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা
খেলার সংখ্যা১৬
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ভারত মিতালী রাজ
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীভারত মিতালী রাজ (২২০)
সর্বাধিক উইকেটধারীপাকিস্তান সানা মীর (১২)

২০১৬ মহিলাদের টুয়েন্টি২০ এশিয়া কাপ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত এসিসি মহিলাদের এশিয়া কাপের ষষ্ঠ আসর। এছাড়াও, দ্বিতীয় আসর হিসেবে ২০-ওভারের প্রতিযোগিতা আকারে আয়োজন করা হয়েছে।[১] ২৬ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংককের এশিয়ান টেকনোলজি ইনস্টিটিউট মাঠটার্ডথাই ক্রিকেট মাঠে ছয় দল অংশ নিয়েছে।[২]

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ স্বাগতিক থাইল্যান্ড - এ ছয় দলের সমন্বয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শেষ দুই দল মহিলাদের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য এশিয়ার বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে।[৩] বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক (টি২০আই) মর্যাদাপ্রাপ্ত যা টি২০আইয়ের মর্যাদা পাবে। তবে, নেপাল ও থাইল্যান্ডের খেলাগুলো এ মর্যাদার বাইরে থাকবে।

ভারত দল প্রতিযোগিতায় অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়। ফাইনালে পাকিস্তানকে ১৭ হারায় তারা।

দলীয় সদস্য[সম্পাদনা]

 বাংলাদেশ[৪]  ভারত[৫]    নেপাল[৬]
  • রুবিনা ছেত্রি (অঃ)
  • সুভা আলে
  • ইন্দু বর্মা
  • রেশমি চাউলাগাইন
  • করুণা ভাণ্ডারী
  • সরস্বতী কুমারী
  • সারিতা মাগার
  • সীতা রাণা মাগার
  • জ্যোতি পাণ্ডে
  • নীরা রাজোপাধ্যায়
  • শবনম রাই
  • বোহারা রোশানী
  • কাজল শ্রেষ্ঠা
  • নারি থাপা
 পাকিস্তান[৭]  শ্রীলঙ্কা[৮]  থাইল্যান্ড[৯]
  • সোরনারিন তিপ্পোচ (অঃ)
  • নাট্য বুচাথাম
  • নারুমল চাইয়াই
  • নাট্টকান চান্তাম
  • রোসনান কানোহ
  • নান্নাপাত কোচারোয়েনকাই
  • সুল্লেপর্ন লাওমি
  • সূর্য্য লাতেহ
  • ওংপাকা লিংপ্রসার্ত
  • রত্নাপর্ন পাদুংলার্দ
  • শাগুফতা পারভীন
  • সিরিনত্রা সায়েংসাকাওরাত
  • সাইনামিন সাইনিয়া
  • রত্তনা স্যাংসোমা
  • চানিদা সুত্তিরুয়াং

পয়েন্ট তালিকা[সম্পাদনা]

দল
খেলা জয় পরাজয় টাই ফহ বিপি পয়েন্ট এনআরআর
 ভারত ১০ +২.৭২৩
 পাকিস্তান +১.৫৪০
 শ্রীলঙ্কা +১.০৩৭
 বাংলাদেশ +০.১৩৫
 থাইল্যান্ড –১.৭৯৭
   নেপাল –৩.৫৮২

     ফাইনালে উত্তীর্ণ
উৎস: ইএসপিএন

খেলার বিবরণ[সম্পাদনা]

১ম খেলা[সম্পাদনা]

২৬ নভেম্বর
স্কোরকার্ড
ভারত 
১১৮/৬ (২০ ওভার)
 বাংলাদেশ
৫৪ (১৮.২ ওভার)
শায়লা শারমিন ১৮ (৩৬)
পুনম যাদব ৩/১৩ (৩ ওভার)
  • বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ভারতের পক্ষে মানসী যোশী’র টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে।
  • বাংলাদেশ মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে সর্বনিম্ন রান সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে। চারদিন পরই পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৪ রান তুলে এ রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে।[১০]

২য় খেলা[সম্পাদনা]

২৬ নভেম্বর
স্কোরকার্ড
নেপাল   
৪৭ (১৮.১ ওভার)
 পাকিস্তান
৪৮/১ (১০ ওভার)
রুবিনা ছেত্রি ১১ (৩৩)
আনাম আমিন ২/৭ (৩ ওভার)
সানা মীর ২/৭ (৩ ওভার)
আয়েশা জাফর ২৬ (৩৫)
শবনম রাই ০/৯ (২ ওভার)
  • নেপাল টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

৩য় খেলা[সম্পাদনা]

২৭ নভেম্বর
স্কোরকার্ড
থাইল্যান্ড 
৬৯/৫ (২০ ওভার)
 ভারত
৭০/১ (১১.১ ওভার)
রত্নাপর্ন পাদুংলার্দ ২০ (৪৬)
মানসী যোশী ২/৮ (৩ ওভার)
  • থাইল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

৪র্থ খেলা[সম্পাদনা]

২৭ নভেম্বর
স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা 
১১২/৮ (২০ ওভার)
 পাকিস্তান
১১৩/২ (১৮.২ ওভার)
  • শ্রীলঙ্কা টস জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

৫ম খেলা[সম্পাদনা]

২৮ নভেম্বর
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ 
৮৮/৬ (২০ ওভার)
 থাইল্যান্ড
৫৩ (১৮.৩ ওভার)
সানজিদা ইসলাম ৩৮ (৪৮)
সালিপর্ন লাওমি ৩/১৮ (৪ ওভার)
নত্তাকান চান্তাম ২১ (২৩)
পান্না ঘোষ ৪/৯ (৪ ওভার)
  • থাইল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

৬ষ্ঠ খেলা[সম্পাদনা]

২৮ নভেম্বর
স্কোরকার্ড
নেপাল   
২৩ (১৬.২ ওভার)
 শ্রীলঙ্কা
২৪/২ (৪.৩ ওভার)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

৭ম খেলা[সম্পাদনা]

২৯ নভেম্বর
স্কোরকার্ড
পাকিস্তান 
৯৭/৭ (২০ ওভার)
 ভারত
৯৮/৫ (১৯.২ ওভার)
নাইন আবিদি ৩৭* (৪১)
একতা বিশট ৩/২০ (৪ ওভার)
মিতালী রাজ ৩৬ (৫৭)
নিদা দার ২/১১ (৪ ওভার)
  • ভারত টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

৮ম খেলা[সম্পাদনা]

২৯ নভেম্বর
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ 
১৩৩/৪ (২০ ওভার)
   নেপাল
৪১ (১৭.৩ ওভার)
  • বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

৯ম খেলা[সম্পাদনা]

৩০ নভেম্বর
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ 
৪৪ (১৫.৩ ওভার)
 পাকিস্তান
৪৫/১ (৯.৫ ওভার)
জাহানারা আলম ১২* (৮)
সানা মীর ৩/৫ (৩ ওভার)
  • বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • বাংলাদেশ নিজেদের গড়া মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়ে। চারদিন পূর্বেই দলটি ভারতের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রান তুলেছিল।[১০]

১০ম খেলা[সম্পাদনা]

৩০ নভেম্বর
স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা 
১২০/৬ (২০ ওভার)
 থাইল্যান্ড
৪৫/৯ (২০ ওভার)
হাসিনি পেরেরা ৫৫ (৫৯)
সাইনামিন সাইনিয়া ৩/২৬ (৪ ওভার)
চানিদা সুত্তিরুয়াং ১০ (১২)
ইনোকা রাণাবীরা ৩/৪ (৪ ওভার)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

১১শ খেলা[সম্পাদনা]

১ ডিসেম্বর
স্কোরকার্ড
নেপাল   
৬৩ (১৯.৫ ওভার)
 থাইল্যান্ড
৬৫/২ (১৬ ওভার)
থাইল্যান্ড ৮ উইকেটে বিজয়ী
এশিয়ান টেকনোলজি ইনস্টিটিউট মাঠ, ব্যাংকক
আম্পায়ার: বাতুমালাই রামানি (মালয়েশিয়া) ও অশ্বিনী কুমার রাণা (থাইল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: সিরিন্ত্রা সায়েংসাকাওরাত (থাইল্যান্ড)
  • নেপাল টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

১২শ খেলা[সম্পাদনা]

১ ডিসেম্বর
স্কোরকার্ড
ভারত 
১২১/৪ (২০ ওভার)
 শ্রীলঙ্কা
৬৯/৯ (২০ ওভার)
  • ভারত টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

১৩শ খেলা[সম্পাদনা]

২ ডিসেম্বর
স্কোরকার্ড
ভারত 
১২০/৫ (২০ ওভার)
   নেপাল
২১ (১৬.৩ ওভার)
শিখা পাণ্ডে ৩৯* (৩২)
রুবিনা ছেত্রি ২/২১ (৪ ওভার)
সারিতা মাগার ৬ (২১)
পুনম যাদব ৩/৯ (৩ ওভার)
  • নেপাল টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

১৪শ খেলা[সম্পাদনা]

৩ ডিসেম্বর
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ 
৯৩/৩ (২০ ওভার)
 শ্রীলঙ্কা
৯৭/৩ (১৯ ওভার)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

১৫শ খেলা[সম্পাদনা]

৩ ডিসেম্বর
স্কোরকার্ড
থাইল্যান্ড 
৫১ (১৮.২ ওভার)
 পাকিস্তান
৫২/৫ (১১.৪ ওভার)
নেত্তাকান চান্তাম ১৩ (২৮)
সানা মীর ৪/৯ (৪ ওভার)
আসমাভিয়া ইকবাল ২৪ (২৫)
সুলেপর্ন লাওমি ৩/৯ (৩ ওভার)
  • থাইল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ফাইনাল[সম্পাদনা]

৪ ডিসেম্বর
স্কোরকার্ড
ভারত 
১২১/৫ (২০ ওভার)
পাকিস্তান 
১৪০৪/৬ (২০ ওভার)
মিতালী রাজ ৭৩* (৬৫)
আনাম আমিন ২/২৪ (৪ ওভার)
বিসমাহ মারুফ ২৫ (২৬)
একতা বিশট ২/২২ (৪ ওভার)
  • ভারত টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

সর্বাধিক রান[সম্পাদনা]

শীর্ষ পাঁচজন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকা রান সংগ্রহ ও ব্যাটিং গড় অনুযায়ী সাজানো হয়েছে।

খেলোয়াড় দল রান ইনিংস গড় সর্বোচ্চ ১০০ ৫০
মিতালী রাজ  ভারত ২২০ ১১০.০০ ৭৩*
জাভেরিয়া খান  পাকিস্তান ১২৮ ৬৪.০০ ৫৬*
চামারি আতাপাত্তু  শ্রীলঙ্কা ১১১ ২২.২০ ৩৯
সানজিদা ইসলাম  বাংলাদেশ ১১০ ২২.০০ ৩৮
হাসিনি পেরেরা  শ্রীলঙ্কা ৯৬ ৩২.০০ ৫৫

উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো

সর্বাধিক উইকেট[সম্পাদনা]

শীর্ষ পাঁচজন সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারীর তালিকা উইকেট লাভ ও বোলিং গড় অনুযায়ী সাজানো হয়েছে।

খেলোয়াড় দল ওভার উইকেট গড় ইকো এসআর বিবিআই
সানা মীর  পাকিস্তান ২২.০ ১২ ৭.৪১ ৪.০৪ ১১.০ ৪/৯
একতা বিশট  ভারত ১৬.২ ১০ ৫.২০ ৩.১৮ ৯.৮ ৩/৮
সুলিপর্ন লাওমি  থাইল্যান্ড ১৬.০ ৮.০০ ৪.০০ ১২.০ ৩/৯
আনাম আমিন  পাকিস্তান ২১.০ ৯.১২ ৩.৪৭ ১৫.৭ ২/৬
অনুজা পাতিল  ভারত ২২.৩ ৯.৬২ ৩.৪২ ১৬.৮ ২/০

উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Why is the cricket Women's Asia Cup such an important tournament for India?" 
  2. "ACC Women's Asia Cup 2016"ACC। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  3. Nepal qualify for Women's Asia Cup ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে International Cricket Council
  4. Bangladesh Women Squad / Players, ESPNcricinfo. Retrieved 26 November 2016.
  5. "India Women Squad"ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। ১৭ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৬ 
  6. Nepal Women Squad / Players, ESPNcricinfo. Retrieved 26 November 2016.
  7. "Pakistan Women Squad"ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। ১৭ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৬ 
  8. "Sri Lanka Women's squad"Sri Lanka Cricket। ১৬ নভেম্বর ২০১৬। ২২ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৬ 
  9. Thailand Women Squad / Players, ESPNcricinfo. Retrieved 26 November 2016.
  10. Records / Women's Twenty20 Internationals / Team records / Lowest innings totals, ESPNcricinfo. Retrieved 26 November 2016.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]