মদিনা মসজিদ, শিলং

স্থানাঙ্ক: ২৫°৩৪′০১″ উত্তর ৯১°৫২′৪১″ পূর্ব / ২৫.৫৬৭° উত্তর ৯১.৮৭৮° পূর্ব / 25.567; 91.878
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মদিনা মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানলাবান, শিলং, পূর্ব খাসি পাহাড়, মেঘালয়, ভারত প্রজাতন্ত্র
স্থানাঙ্ক২৫°৩৪′০১″ উত্তর ৯১°৫২′৪১″ পূর্ব / ২৫.৫৬৭° উত্তর ৯১.৮৭৮° পূর্ব / 25.567; 91.878
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামী স্থাপত্য
অর্থায়নেশিলং মুসলিম ইউনিয়ন
প্রতিষ্ঠার তারিখ১৮ অক্টোবর ২০১২ খ্রীঃ (২ কাতি ১৪১৯ বাং)
বিনির্দেশ
ধারণক্ষমতা২০০০
প্রস্থ৬১ ফুট
উচ্চতা (সর্বোচ্চ)১২১ ফুট
গম্বুজসমূহ৫ (১ বড়, ৪ ছোট)
মিনার

মদিনা মসজিদ (আরবি: مسجد المدينة شيلونغ) শিলং, মেঘালয়ের একটি চার তলা মসজিদ। নির্মাণ কাজ শেষ করতে দেড় বছর সময় লেগেছে এবং এটি ভারতের একমাত্র কাচের মসজিদ। এটি মেঘালয়ের বৃহত্তম মুসলিম সম্প্রদায়ের খেদমৎ করে। সংলগ্ন মেহেরবা এতিমখানা, ইসলামী কুতুবখানা ও তথ্যকেন্দ্র, এবং ইসলামিক থিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট মারকাজের সাথে মিলে এটি মেঘালয়ের বৃহত্তম মসজিদ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি, যেখানে ২ হাজারেরও বেশি মুসল্লিয়ানকে জামাত নামাজের এন্তেজাম করা হয়েছে।

মদিনা মসজিদ, কাঁচের গম্বুজ এবং কাঁচের মিনারের একটি মনোমুগ্ধকর এবং জাঁকজমকপূর্ণ ইমারত।[১] মসজিদটি শিলং মুসলিম ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সাঈদুল্লাহ নংরম এমএলএ উন্মুক্ত করেছিলেন এবং তাঁর সাথে রাজনীতিবিদরা সালমান খুর্শীদ, শামীম আখতার এবং ভিনসেন্ট পাল উদ্বোধন করেছিলেন।

গঠন[সম্পাদনা]

মদিনা মসজিদ ভারতের বিরল স্থাপত্যের বিস্ময় কারণ এতে কাঁচের একটি আকর্ষণীয় এবং চকচকে কাঠামো রয়েছে। এর ১২১ ফুট উচ্চতা এবং ৬১ ফুট প্রস্থের সাথে, এটি ইস্তাম্বুলের নীল মসজিদের বাদে একমাত্র সবুজ মসজিদ হওয়ার জন্য সবাইকে অবাক করে। মসজিদটির চারতলা ভবনটিতে একটি এতিমখানা, একটি কুতুবখানা এবং একটি ইসলামিক ইনস্টিটিউটও রয়েছে। মসজিদ এবং সংলগ্ন ইদগাহ একটি জামাত নামাজের জন্য ৮ হাজার মুসল্লিয়ানদের জন্য জায়গা দিতে পারে।[২] মসজিদে বেশ কিছু গাছপালা সহ একটি বড় বাগানও রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে, এটি ইসলামী তালিম এবং রূহানিয়াতের কেন্দ্র হিসাবে দুনিয়ায় ক্রমবর্ধমান তাত্পর্য জমা করেছে।[১]

মসজিদে মহিলারা[সম্পাদনা]

মদিনা মসজিদের ধারণক্ষমতা প্রায় ২ হাজার মহিলা মুসল্লিয়ানদের নামাজ পড়ার জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।[১]

নামাজ[সম্পাদনা]

এই মসজিদটি স্থানীয় মোসলমান মিল্লতের ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার সময় উদযাপনের স্থান। পোন্ডা বাস স্ট্যান্ডে রিকশা পাওয়া যায় যা আপনাকে সাফা মসজিদের জায়গায়ও নিয়ে যেতে পারে। এখানে প্রচুর মোসলমান তাদের ঈদ যথাযথভাবে উদযাপন করে এবং প্রায়শই আনন্দ করতে দেখা যায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]