ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Symoum Syfullah Priyo (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Symoum Syfullah Priyo (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:


== পটভূমি ==
== পটভূমি ==
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। যেহেতু বাংলাদেশ সংসদ অধিবেশনে ছিল না, সেক্ষেত্রে শেখ মুজিবের একজন ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ কর্তৃক একটি অধ্যাদেশের আকারে ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫ সালে এ আইনটি প্রণীত হয়। এবং শেখ মুজিবের হত্যাকান্ডের পর তিনিই দেশটির রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নং ৫০ নামে অভিহিত ছিল। পরে ১৯৭৯ সালে সংসদ কর্তৃক এটি অনুমোদন করা হয়। যার ফলে এটি একটি আনুষ্ঠানিক আইন হিসেবে অনুমোদন পায়। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই বাংলাদেশ সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর পর সংশোধিত আইনে এ আইনটি বাংলাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://web.dailyjanakantha.com/details/article/292673/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80/|শিরোনাম=ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সুবিধাভোগী|শেষাংশ=দৈনিক জনকণ্ঠ|প্রথমাংশ=|তারিখ=সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭|কর্ম=সংবাদপত্র|সংগ্রহের-তারিখ=মার্চ ০৮, ২০১৮|মাধ্যম=|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180327214538/http://web.dailyjanakantha.com/details/article/292673/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80/|আর্কাইভের-তারিখ=২৭ মার্চ ২০১৮|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। যেহেতু বাংলাদেশ সংসদ অধিবেশনে ছিল না, সেক্ষেত্রে শেখ মুজিবের একজন ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ কর্তৃক একটি অধ্যাদেশের আকারে ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫ সালে এ আইনটি প্রণীত হয়। এবং শেখ মুজিবের হত্যাকান্ডের পর তিনিই দেশটির রাষ্ট্রপতি হন। এটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নং ৫০ নামে অভিহিত ছিল। পরে ১৯৭৯ সালে সংসদ কর্তৃক এটি অনুমোদন করা হয়। যার ফলে এটি একটি আনুষ্ঠানিক আইন হিসেবে অনুমোদন পায়। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই বাংলাদেশ সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর পর সংশোধিত আইনে এ আইনটি বাংলাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://web.dailyjanakantha.com/details/article/292673/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80/|শিরোনাম=ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সুবিধাভোগী|শেষাংশ=দৈনিক জনকণ্ঠ|প্রথমাংশ=|তারিখ=সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭|কর্ম=সংবাদপত্র|সংগ্রহের-তারিখ=মার্চ ০৮, ২০১৮|মাধ্যম=|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180327214538/http://web.dailyjanakantha.com/details/article/292673/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80/|আর্কাইভের-তারিখ=২৭ মার্চ ২০১৮|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>


== বাতিল ==
== বাতিল ==

০৬:০৪, ২২ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনি ব্যবস্থা থেকে অনাক্রম্যতা বা শাস্তি এড়াবার ব্যবস্থা প্রদানের জন্য বাংলাদেশে “ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ” আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এ ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন।

কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ১৯৭৫

পটভূমি

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। যেহেতু বাংলাদেশ সংসদ অধিবেশনে ছিল না, সেক্ষেত্রে শেখ মুজিবের একজন ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ কর্তৃক একটি অধ্যাদেশের আকারে ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫ সালে এ আইনটি প্রণীত হয়। এবং শেখ মুজিবের হত্যাকান্ডের পর তিনিই দেশটির রাষ্ট্রপতি হন। এটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নং ৫০ নামে অভিহিত ছিল। পরে ১৯৭৯ সালে সংসদ কর্তৃক এটি অনুমোদন করা হয়। যার ফলে এটি একটি আনুষ্ঠানিক আইন হিসেবে অনুমোদন পায়। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই বাংলাদেশ সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর পর সংশোধিত আইনে এ আইনটি বাংলাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১]

বাতিল

শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর সপ্তম  জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেন। এটি শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের বিচারের পথ প্রশস্ত করেছিল। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংবিধানের ৫ম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ হাইকোর্ট

মুজিব হত্যাকাণ্ডের বিচার

দীর্ঘ ২১ বছর পরে আওয়ামীলীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য শুরু করে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের কাজ শুরু হয় ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের এর মাধ্যমে। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর তারিখে মামলার যাবতীয় কার্যক্রম শেষে পনেরো (১৫) জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। আসামি পক্ষের পনেরো জন উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পান। উক্ত আপিলে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং ৩ জনকে খালাস প্রদান করা হয়। তবে ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে এ মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পরে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভের পর আওয়ামীলীগ সরকার আবার এ বিচারকার্য চালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০০৯ সালে লিভ-টু-আপিল-এর মাধ্যমে এ বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আপিল শেষে বারো জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন মহামান্য আদালত। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি তারিখে এদের মধ্যে পাঁচ জনের ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বাকি ছয় জন এখনও বিভিন্ন দেশের আশ্রয়ে পলাতক। পলাতকদের মধ্যে একজন এরই মাঝে বিদেশের মাটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন।

শেখ মুজিবের ঘাতকদের তালিকা

১. লে. কর্নেল শরিফুল হক (ডালিম)

২. লে. কর্নেল আজিজ পাশা

৩. মেজর এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ

৪. মেজর বজলুল হুদা

৫. মেজর শাহরিয়ার রশিদ

৬. মেজর রাশেদ চৌধুরী

৭. মেজর নূর চৌধুরী

৮. মেজর শরিফুল হোসেন

৯. কর্নেল কিসমত হাশেম

১০. লে. খায়রুজ্জামান

১১. লে. নাজমুল হোসেন

১২. লে. আবদুল মাজেদ

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক জনকণ্ঠ (সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭)। "ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সুবিধাভোগী"সংবাদপত্র। ২৭ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ০৮, ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ