যশোর জিলা স্কুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°০৯′৪৬″ উত্তর ৮৯°১২′২২″ পূর্ব / ২৩.১৬২৮° উত্তর ৮৯.২০৬২° পূর্ব / 23.1628; 89.2062
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
{{Infobox school
{{Infobox school
| name = যশোর জিলা স্কুল
| name = যশোর জিলা স্কুল
| image = Jessore Zila School.jpg
| image = যশোরজিলাস্কুল-লোগো.png
| image_size =
| image_size =
| alt =
| alt =
৬২ নং লাইন: ৬২ নং লাইন:


'''যশোর জিলা স্কুল''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[যশোর জেলা|যশোর জেলায়]] অবস্থিত একটি সরকারী বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৩৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। এটি যশোর জেলাসহ সমগ্র বাংলার প্রাচীনতম বিদ্যালয়সমূহের অন্যতম। [[২০০০]] সালের হিসাবে এই বিদ্যালয়ে ১৪৫০ জন ছাত্র প্রভাতী ও দিবা শাখায় অধ্যয়ন করতো।<ref name="bpedia">[http://banglapedia.search.com.bd/HT/J_0096.htm বাংলাপিডিয়াতে যশোর জিলা স্কুল]।</ref> যশোর জেলা স্কুলের প্রখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে আছেন [[মুহম্মদ শহীদুল্লাহ|ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ]] এবং কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার।
'''যশোর জিলা স্কুল''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[যশোর জেলা|যশোর জেলায়]] অবস্থিত একটি সরকারী বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৩৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। এটি যশোর জেলাসহ সমগ্র বাংলার প্রাচীনতম বিদ্যালয়সমূহের অন্যতম। [[২০০০]] সালের হিসাবে এই বিদ্যালয়ে ১৪৫০ জন ছাত্র প্রভাতী ও দিবা শাখায় অধ্যয়ন করতো।<ref name="bpedia">[http://banglapedia.search.com.bd/HT/J_0096.htm বাংলাপিডিয়াতে যশোর জিলা স্কুল]।</ref> যশোর জেলা স্কুলের প্রখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে আছেন [[মুহম্মদ শহীদুল্লাহ|ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ]] এবং কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার।
[[File:Jessore Zila School.jpg|thumb|যশোর জিলা স্কুল]]

== ইতিহাস ==
== ইতিহাস ==
এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৩৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। আর জিলা স্কুল নামকরণ হয় ১৮৭২ সালে। স্কুল শুরু হয়েছিল ১৩২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। প্রথমে এটি স্থানীয় রানীর বাংলো বাড়িতে শুরু হয়েছিল, পরবর্তীতে এই স্কুলটি যশোর এর খড়কীতে ৭.৮ একর জমি অনুদান পায় এবং সেখানে স্থায়ীভাবে শুরু হয় স্কুলের কার্যক্রম। ১৯৭১ সালে স্কুলটি রাজাকাররা, পাক হানাদার বাহিনির সহায়তায় স্কুলের আসবাব পত্র, মূল্যবান দলিল দস্তাবেজ সব পুড়িয়ে ফেলে।
এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৩৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। আর জিলা স্কুল নামকরণ হয় ১৮৭২ সালে। স্কুল শুরু হয়েছিল ১৩২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। প্রথমে এটি স্থানীয় রানীর বাংলো বাড়িতে শুরু হয়েছিল, পরবর্তীতে এই স্কুলটি যশোর এর খড়কীতে ৭.৮ একর জমি অনুদান পায় এবং সেখানে স্থায়ীভাবে শুরু হয় স্কুলের কার্যক্রম। ১৯৭১ সালে স্কুলটি রাজাকাররা, পাক হানাদার বাহিনির সহায়তায় স্কুলের আসবাব পত্র, মূল্যবান দলিল দস্তাবেজ সব পুড়িয়ে ফেলে।

১১:৪৮, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

যশোর জিলা স্কুল
অবস্থান
,
স্থানাঙ্ক
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনসরকারী
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৩৮ (1838)
বিদ্যালয় জেলাযশোর জেলা
ইআইআইএন১১৫৯৫৮ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
শিক্ষার্থী সংখ্যা২০০০ এর উপরে
শ্রেণী৩-১০
ভাষাবাংলা
ক্যাম্পাসের ধরনআয়তাকার
ওয়েবসাইটjessorezillaschool.com

যশোর জিলা স্কুল বাংলাদেশের যশোর জেলায় অবস্থিত একটি সরকারী বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৩৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। এটি যশোর জেলাসহ সমগ্র বাংলার প্রাচীনতম বিদ্যালয়সমূহের অন্যতম। ২০০০ সালের হিসাবে এই বিদ্যালয়ে ১৪৫০ জন ছাত্র প্রভাতী ও দিবা শাখায় অধ্যয়ন করতো।[১] যশোর জেলা স্কুলের প্রখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে আছেন ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এবং কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার।

যশোর জিলা স্কুল

ইতিহাস

এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৩৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। আর জিলা স্কুল নামকরণ হয় ১৮৭২ সালে। স্কুল শুরু হয়েছিল ১৩২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। প্রথমে এটি স্থানীয় রানীর বাংলো বাড়িতে শুরু হয়েছিল, পরবর্তীতে এই স্কুলটি যশোর এর খড়কীতে ৭.৮ একর জমি অনুদান পায় এবং সেখানে স্থায়ীভাবে শুরু হয় স্কুলের কার্যক্রম। ১৯৭১ সালে স্কুলটি রাজাকাররা, পাক হানাদার বাহিনির সহায়তায় স্কুলের আসবাব পত্র, মূল্যবান দলিল দস্তাবেজ সব পুড়িয়ে ফেলে। ১৮৭৪ সালে এখানে পার্সিয়ান ভাষাতে শিক্ষা প্রদান, পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে উর্দুতে শিক্ষাদান করা হত, অ-বাঙালি শিক্ষার্থীদের জন্য। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এই স্কুল টিকে পাইলট প্রোজেক্ট এর অন্তর্ভুক্ত করেন ১৯৬৩ সালের মাঝামাঝি পর্যায়ে। এবং এই বছরেই বিজ্ঞান শাখা চালু হয়। বাণিজ্য শাখা খোলা হয় ১৯৬৫ সালে এবং মানবিক শাখা খোলা হয় ১৯৭০ সালে।

জিলা স্কুলের প্রথম প্রধানশিক্ষক ছিলেন মিঃ জে স্মিথ। এছাড়া এখানে উপমহাদেশের বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ এই স্কুল এ শিক্ষকতা করেছেন। যেমন- ডঃ মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার, আনিস সিদ্দিকি,জিল্লুর রহমান সিদ্দিকি, সিরাজুদ্দিন হোসেন,প্রফেসর মোহম্মদ মনিরুজ্জামান, এবং কমরেড আব্দুল হক।

কার্যক্রম

বর্তমানে যশোর জিলা স্কুল এর দুইটা শিফট খোলা , প্রভাতী, এবং দিবা শিফট। বিদ্যালয়ের মাঝে অবস্থান করছে যশোর শহরের অন্যতম বড় অডিটোরিয়াম, এছাড়া বিদ্যালয়ের ৯ টি প্রসাসনিক ভবন আছে, দুইটা পুকুর, একটি বৃহৎ খেলার মাঠ, দুইটা গ্যারেজ,একটি মসজিদ, এবং প্রায় দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী এবং পঞ্চাশের অধিক শিক্ষক এখানে পাঠদান করেন।যশোর জিলা স্কুল এর গ্রন্থশালা তে প্রায় ৫০০০ এর অধিক বই এবং বেশ কিছু মূল্যবান নথিপত্র, ইতিহাসের দলিল সংরক্ষিত আছে। সম্প্রতি যশোর জিলা স্কুল এর মধ্যে, সরকারি প্রাথমিক স্তর এর বই এর সংরক্ষনশালা তৈরি করা হয়েছে।বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম.গোলাম আযম।

খ্যাতনামা শিক্ষার্থী

  • বিচারপতি লতিফুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা
  • প্রফেসর ড. এম. শমশের আলী, পরমানু বিজ্ঞানী, গবেষক
  • রাধাগোবিন্দ চন্দ্র, জ্যোতিস্ক বিজ্ঞানী।
  • প্রফেসর শরীফ হোসেন : বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক ও যশোর সরকারি এম, এম কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
  • প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান : বিশিষ্ট সাহিত্যিক, গীতিকার, কবি, গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান।
  • মেজর জেনালের আব্দুল মান্নান সিদ্দিকী বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা ও গণপ্রজাতান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী।
  • ক্যাপ্টেন ডাঃ জীবন রতন ধর : ভাতর সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী
  • আব্দুল হক : বিশিষ্ট বামপন্থী রাজনীতিবিদ
  • শহীদ মশিয়ুর রহমান : বিশিষ্ট আইনজীবি ও রাজনীতিবিদ। পাকিস্তান সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী।
  • তরিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী।
  • অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও সম্পাদক
  • মোঃ রফিকউজ্জামান : স্বনামধন্য গীতিকার, চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য, সংলাপ ও কাহিনী রচয়িতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, বেতার টিভির নাট্যকার, প্রযোজক, অভিনেতা, উপস্থাপক ও রেডিও বাংলাদেশের প্রাক্তন পরিচালক।
  • খালেদুর রহমান টিটো : বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি প্রাক্তন মন্ত্রী।
  • রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি।
  • কাজী রফিকুল আলম : অহছানিয়া মিশনের পরিচালক ও আহছানিয়া ক্যান্সার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা।
  • মোঃ মানিরুজ্জামান : শিল্প দপ্তরের প্রাক্তন সচিব।
  • শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন : বিশিষ্ট সাংবাদিক।
  • মোঃ আলমগীর সিদ্দিকী : প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ।
  • দিদার ইসলাম, কুইক রেডিও’র আবিষ্কারক।
  • সালাউদ্দীন লাভলু : বিশিষ্ট নাট্যাভিনেতা ও নাট্য পরিচালক।
  • আজিজুল হাকিম : বিশিষ্ট নাট্যাভিনেতা।
  • মহাত্মা শিশির কুমার ঘোষ - খ্যাতনামা সাংবাদিক ও বাংলা নবজাগরনের ব্যক্তিত্ব
  • মথুরানাথ বসু, সমাজসেবক
  • শাহ মোহাম্মদ ফারুক, বিজ্ঞানী, গবেষক

তথ্যসূত্র