বিষয়বস্তুতে চলুন

ফরিদপুর জিলা স্কুল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফরিদপুর জিলা স্কুল
ঠিকানা
মানচিত্র

,
৭৮০০

স্থানাঙ্ক২৩°৩৬′৩২″ উত্তর ৮৯°৫০′৩৮″ পূর্ব / ২৩.৬০৮৯১৯° উত্তর ৮৯.৮৪৩৭৮৩° পূর্ব / 23.608919; 89.843783
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনমাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি
নীতিবাক্যএকতা, ঈমান, শৃঙ্খলা
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৪০ (1840)
বিদ্যালয় বোর্ডঢাকা
বিদ্যালয় জেলাফরিদপুর
ইআইআইএন১০৮৭৩২ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
অধ্যক্ষপ্রীতিলতা সরকার
লিঙ্গবালক বিদ্যালয়
শিক্ষার্থী সংখ্যাআনু. ১৫০০
শ্রেণি৪র্থ–১০ম
ভাষাবাংলা
ক্যাম্পাসের ধরনশহুরে
ক্রীড়াক্রিকেট, ফুটবল
ওয়েবসাইটfaridpurzillaschool.edu.bd

ফরিদপুর জিলা স্কুল বাংলাদেশের ফরিদপুরে অবস্থিত একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৮৪০ সালে তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এডগার এফ লুথার 'ইংলিশ সেমিনারি স্কুল' নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৮৫১ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার এ বিদ্যালয়টির ব্যয়ভার ও পরিচালনার দায়িত্ব নেয় ও তখন থেকে নাম হয় 'ফরিদপুর জিলা স্কুল'। বর্তমানে ফরিদপুর জিলা স্কুলে প্রভাতী ও দিবা দুটি শাখায় চতুর্থ শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৮৪০ সালে ব্রিটিশ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এডগারএফ লুথার ইংলিশ সেমিনারি স্কুল নামে ফরিদপুরে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৮৫১ সালে এটির জাতীয়করণ হয় ও ব্রিটিশ সরকার বিদ্যালয় পরিচালনার খরচ ও দায়িত্বগ্রহণ করে। সেসময় বিদ্যালয়ের নতুন নাম ফরিদপুর জিলা স্কুল রাখা হয়। এস ফ্রানকয়েস লেফেবরা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বহু গুনী ব্যক্তিত্ব এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।

অবকাঠামো

[সম্পাদনা]

ফরিদপুরের শহরের মুজিব সড়কের পাশে ১১ একর জমির উপর বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ে একটি তিনতলা প্রশাসনিক ভবনসহ মোট ৮টি পৃথক ভবন রয়েছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোর মধ্যে আছে ১টি ছাত্রাবাস, ১টি ব্যায়মাগার, ১টি মসজিদ, ৩টি খেলার মাঠ, ১টি বাস্কেট বল চত্বর ও ২টি পুকুর।

শিক্ষা কার্যক্রম

[সম্পাদনা]

১৯৯০ সাল থেকে ফরিদপুর জিলা স্কুলে প্রভাতী ও দিবা দুইটি শাখায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র সংখ্যা ১৫০০ এবং শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫০ জন। এ ছাড়া অফিস সহকারী, এমএলএস ও নৈশ প্রহরী মিলে ১০ জন প্রশাসনিক কর্মচারীর রয়েছে। বিদ্যালয়ে ছাত্রদের সুযোগ-সুবিধার মধ্যে আছে গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ও ল্যাবরেটরি। স্কুল গ্রন্থাগারে গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার এবং কম্পিউটারের সংখ্যা ১০টি।

শিক্ষার্থীদের পোশাক

[সম্পাদনা]

স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাক হল আকাশী বা নীল শার্ট, নেভি ব্লু প্যান্ট ও সাদা জুতো। শার্ট ফুল হাতা গ্রহণযোগ্য। শার্টের পকেটের উপর স্কুলের লোগো থাকা এবং গলায় ঝুলানো ফিতাযুক্ত আইডি কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়া শীতকালে নীল রঙের সোয়েটারও ইউনিফরমের অন্তর্ভুক্ত।

সহশিক্ষা কার্যক্রম

[সম্পাদনা]

জিলা স্কুলের সহশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেঃ

উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী

[সম্পাদনা]
  • জসীম উদ্‌দীন - পল্লীকবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক
  • আ.ন.ম বজলুর রশীদ - বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, কবি, ঔপন্যাসিক
  • অম্বিকাচরণ মজুমদার - রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং সমাজসেবী
  • জলধর সেন - লেখক, সাংবাদিক এবং পরিব্রাজক
  • এটিএম সামছুল হুদা - বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার
  • কাজী দীন মোহাম্মদ - বাংলাদেশী চিকিৎসক ও অধ্যাপক; পরিচালক জাতীয় স্নায়ুরোগ ইন্সটিটিউট।
  • সুফি মোতাহার হোসেন - কবি, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন
  • হাসনাত আব্দুল হাই - কথাসাহিত্যিক, রাস্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসাবে একুশে পদক (১৯৯৬), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৭)সহ দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
  • হাবীবুল্লাহ সিরাজী - কবি ও লেখক, তিনি একুশে পদক (২০১৬), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯১)সহ দেশ-বিদেশের নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
  • রফিকুল ইসলাম - বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • আনিস উদ দৌলা - বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা, এসিআই গ্রুপ এর কর্ণধার
  • মাহমুদুন্নবী - বিখ্যাত বাংলাদেশী কন্ঠশিল্পী
  • মুস্তফা মনোয়ার - আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পকলার শিক্ষক, নাট্য নির্মাতা এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, পেয়েছেন একুশে পদকসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি।
  • রিয়াজ - বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]