অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Xqbot (আলোচনা | অবদান)
HiW-Bot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.2) (বট যোগ করছে: gn:Antigua ha Barbuda
১৯২ নং লাইন: ১৯২ নং লাইন:
[[gd:Antigua agus Barbuda]]
[[gd:Antigua agus Barbuda]]
[[gl:Antiga e Barbuda - Antigua and Barbuda]]
[[gl:Antiga e Barbuda - Antigua and Barbuda]]
[[gn:Antigua ha Barbuda]]
[[gv:Antigua as Barbuda]]
[[gv:Antigua as Barbuda]]
[[he:אנטיגואה וברבודה]]
[[he:אנטיגואה וברבודה]]

২০:০৭, ২৫ আগস্ট ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা
Antigua and Barbuda জাতীয় পতাকা
পতাকা
নীতিবাক্য: Each Endeavouring, All Achieving

Antigua and Barbuda অবস্থান
রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
সেন্ট জন্‌স
সরকারি ভাষাইংরেজি
জাতীয়তাসূচক বিশেষণঅ্যান্টিগান, বার্বুডান
সরকারসংসদীয় গণতন্ত্র এবং ফেডারেল সাংবিধানিক রাজতন্ত্র
যুক্তরাজ্যের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ
লুইস লেক-ট্যাক
বল্ডউইন স্পেনসার
স্বাধীনতা 
• তারিখ
১লা নভেম্বর, ১৯৮১
আয়তন
• মোট
৪৪২ কিমি (১৭১ মা) (১৯৫তম)
• পানি (%)
সামান্য
জনসংখ্যা
• ২০০৯ আনুমানিক
৮৫,৬৩২[১] (১৯৮তম)
• ঘনত্ব
১৯৩.৭৩/কিমি (৫০১.৮/বর্গমাইল) (৫৭)
জিডিপি (পিপিপি)২০০৮ আনুমানিক
• মোট
১.৬৩৯ বিলিয়ন[২] (১৮৯তম)
• মাথাপিছু
$১৯,৪০০[২] (৬৪তম)
মানব উন্নয়ন সূচক (২০০৭)বৃদ্ধি ০.৮৬৮
ত্রুটি: মানব উন্নয়ন সূচক-এর মান অকার্যকর · ৪৭তম
মুদ্রাপূর্ব ক্যারিবীয় ডলার (XCD)
সময় অঞ্চলইউটিসি-৪ (AST)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি-৩ (ADT)
কলিং কোড১২৬৮
ইন্টারনেট টিএলডি.ag
  1. ঈশ্বর রহ্মা কর রানীকে সরকারীভাবে জাতীয় সঙ্গীত হলেও কেবলমাত্র রাজকীয় ও উপরাজকীয় উপলক্ষ্যেই ব্যবহার করা হয়।

অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা (ইংরেজি: Antigua and Barbuda অ্যান্টীগা অ্যান্ড্‌ বার্বিঊডা, মূলতঃ স্পেনীয় Antigua y Barbuda আন্তিউয়া ই বার্বুদ়া অর্থাৎ "প্রাচীন ও দেড়েল") ক্যারিবীয় সাগরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। রাষ্ট্রটি মূলত লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের মধ্যভাগে অবস্থিত তিনটি প্রতিবেশী দ্বীপ অ্যান্টিগুয়া, বার্বুডা এবং রেডন্ডা নিয়ে গঠিত। দ্বীপগুলি বিষুবরেখা থেকে প্রায় ১৭ ডিগ্রি উত্তরে অবস্থিত।

ক্যারিবীয় দেশগুলির মধ্যে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা তুলনামূলকভাবে অর্থনৈতিকভাবে বেশি সমৃদ্ধ। দ্বীপগুলিতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক বেড়াতে আসেন, এবং দেশটির অর্থনীতি পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। অ্যান্টিগুয়ার সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য বিখ্যাত। দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে পরিভ্রমণকারী বিলাসভ্রমণ জাহাজগুলি প্রায়ই অ্যান্টিগুয়াতে নোঙর ফেলে। বার্বুডা ও অ্যান্টিগুয়ার আশেপাশে প্রচুর প্রবাল প্রাচীর ও ডুবে যাওয়া জাহাজের অবশেষ আছে, ফলে এখানে পানিতে ঝাঁপ দেয়া ও ডুবসাঁতার কাটা বিনোদনের অন্যতম উপায়।

ক্রিস্টোফার কলম্বাস যখন ১৪৯৩ সালে দ্বিতীয়বার আমেরিকা মহাদেশ সফরে যান, তখন ইউরোপীয়রা প্রথম এই দ্বীপগুলি আবিষ্কার করে। ১৬৩২ সাল থেকে ১৯৮১ সালে স্বাধীনতা লাভের আগ পর্যন্ত দ্বীপগুলি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ আফ্রিকা থেকে আনা দাস ও তাদের বংশধর। এদেরকে তুলাআখের প্ল্যান্টেশনে কাজ করানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। দ্বীপগুলির সংস্কৃতিতে আফ্রিকান, পশ্চিম ভারতীয় এবং ব্রিটিশ প্রভাবের মিশ্রণ ঘটেছে।

ইতিহাস

প্রাথমিক বসতি

অ্যান্টিগা ও বারবুডার প্রথম অধিবাসী ছিলো সিবোনেই (Ciboney বা Siboney) গোত্রীয় মানুষেরা। এরা প্রাচীন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আরাওয়াক (Arawak) গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত ছিলো। এদের বসবাসের শুরু হয়েছিলো আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২৪০০ অব্দ থেকে। তবে ঐতিহাসিক ভিত্তি অনুসারে ৩৫ সাল থেকে ১১০০ সাল পর্যন্ত আরাওয়াকদের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৪৯৩ সালে যখন ক্রিস্টোফার কলম্বাস এন্টিগুয়ায় যান তখন সেখানে ছিলো ক্যারিব (Carib) গোত্রের বসবাস। কলম্বাস তার দ্বিতীয় অভিযানের সময় এই দ্বীপে যান এবং এর নামকরণ করেন সান্তা মারিয়া ডি লা এন্টিগুয়া। এটি ছিলো স্পেনের সেভিলে অবস্থিত একটি চার্চের নাম। এই দ্বীপে তিনি বেশিদিন থাকেননি। এই ভ্রমণের পর থেকেই স্পেনীয় ও ফরাসিরা এখানে উপনিবেশ স্থাপনের জন্য যুদ্ধ শুরু করে এবং তাদের সাথে যুগপৎ যুদ্ধ হয় ক্যারিবদের।

উপনিবেশিক যুগ

১৬৩২ সালে এই দ্বীপে ইংরেজ উপনিবেশ স্থাপিত হয়। ১৯৮১ সালে এই অঞ্চল স্বাধীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এন্টিগুয়া এবং এর অধীনস্ত বারবুডারোডান্ডা সহ অন্যান্য বেশ কিছু অঞ্চল ইংরেজদের অধিনেই থেকে যায়। অবশ্য ১৬৬৬ সালে অতি স্বল্প সময়ের জন্য এখানে ফরাসি আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। ১৬৭৪ সালে স্যার ক্রিস্টোফার কডরিংটন এই অঞ্চলে প্রথম ইক্ষু চাষ শুরু করেন। এই আধিপত্যের কারণেই বারবুডা অঞ্চলটি কডরিংটন পরিবারের কাছে ইজারা দেয়া হয়। উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে আবার এই অঞ্চল সরাসরি ব্রিটিশ রাজের অন্তর্ভুক্ত হয়। কডরিংটন পরিবারই বারবুডা অঞ্চলের জঙ্গলসমূহ পরিষ্কার করে তাকে ইক্ষু চাষের উপযুক্ত করে তোলে যার ফলে সেখানে ক্রিতদাসদের জন্য পৃথক প্রদেশ গড়ে উঠে। এন্টিগুয়ার জমি সাফ করার জন্যই সেখানে প্রচুর ক্রিতদাস নিয়োগ করা হয়েছিলো। আর এন্টিগুয়ার এই ক্রিতদাসরাই বারবুডায় আরাদা প্রদেশ গড়ে তোলে।

ইক্ষু চাষের উপযোগী উর্বর ভূমি ছাড়াও AJERITO /আরেকটি কারণে এন্টিগুয়ার সুখ্যাতি ছিলো। তা হলো এর গভীর প্রাকৃতিক পোতাশ্রয়সমূহ। দ্বীপটির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত সেন্ট জন্‌স এবং ফ্যালমাউথ উপকূলে ছিলো পোতাশ্রয়গুলো অবস্থান। এখানে ইংরেজ জাহাজগুলো নিরাপদে অবস্থান করতে পারতো। ১৮শ ও উনবিংশ শতাব্দীতে এই পোতাশ্রয়গুলোকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো দূর্গ গড়ে উঠে যার কয়েকটি এখনও ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে রয়েছে সেন্ট জন্‌সে অবস্থিত শার্লি হাইট্‌স এবং নিলসন ডকইয়ার্ড

বিখ্যাত ইংরেজ নৌ কমান্ডার হোরাশিও নিলসন যুবক অবস্থায় প্রায় তিন বছর এন্টিগুয়ায় কাজ করেন। একটি ফরাসি নৌবহরকে পশ্চাদ্ধাবন করতে গিয়ে ১৮০৫ সালে তিনি পুনরায় এই দ্বীপে যান। ট্রাফালগার যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার পর তার এই পশ্চাদ্ধাবন শেষ হয়। ইংল্যান্ডের রাজা উইলিয়াম ৪-ও ১৭৮০-র দশকে নৌবাহিনীর একজন প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে এন্টিগুয়ায় ছিলেন।

১৮৩৪ সালে এই দ্বীপে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়। কিন্তু এরপরও দাসদের অবস্থার বিশেষ কোন উন্নতি সাধিত হয়নি। বিশেষ করে চিনির কারখানাসমূহে তাদের কঠোর আগের মতোই অক্রান্ত পরীশ্রম করতে হতো। এছাড়া মুক্তিপ্রাপ্ত দাসদের জন্য কোন জমি অবশিষ্ট ছিলো না, আর জমির মালিকরা তাদেরে সাথে আগের মতোই ব্যবহার করতো। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠে। শ্রমিকরা মূলত তাদের নিম্ন মজুরি এবং জীবনযাত্রার নিম্ন মানের তা প্রচার করে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৩৯ সালে সেখানে প্রথম শ্রমিক আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে।

অ্যান্টিগা লেবার পার্টি

১৯৪৩ সালে চলতি ম্রমিক আন্দোলনের সভাপতি নির্বাচিত হন ভার কর্নওয়াল বার্ড। তিনি অন্যান্য শ্রমিক দল ও সংঘসমূহকে এক্রতিত করে এন্টিগুয়া লেবার পার্টি (এএলপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে এই দল প্রথমবারের মত অনেকগুলো আসন লাভ করে। এরপর প্রায় কয়েক দশক ধরে বার্ড ও তার পরিবার এন্টিগুয়ার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে।

১৯৬৭ সালে এন্টিগুয়া যুক্তরাজ্যের একটি সহযোগী শক্তির মর্যাদা রাভ করে যার ফলে সেখানে সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীন স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮১ সালে নভেম্বর মাসে এন্টিগুয়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়, এর সাথে বারবুডাকে একত্রিত করে এন্টিগুয়া ও বারবুডা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় যদিও বারবুডাবাসীরা নিজেদের আলাদা রাষ্ট্রের দাবী করেছিল। বারবুডাবাসীদের দাবীর মর্যাদা রক্ষার জন্য বারবুডাকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অভ্যন্তরীন স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা দেয়া হয়। তার পরও বারবুডাবাসীর আন্দোলন থেমে থাকেনি। এখনও স্বাধীনতার তাবীই বারবুডার রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয়। যাহোক, এই রাষ্ট্রটি কমনওয়েল্‌থ অফ ন্যাশন্‌স-এর সদস্য।

স্বাধীন অ্যান্টিগা ও বারবুডা

স্বাধীনতার পর বার্ড দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে অবসর নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এই পদে বহাল ছিলেন। তার পর প্রধানমন্ত্রী হন বার্ডের ছেলে লেস্টার বার্ড। রেস্টার বার্ড দেশটির অর্থনৈতিক পরিবর্তনে দক্ষ চালকের ভূমিকা পালন করেন। তবে এর সাথে বার্ড পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসতে থাকে। ১৯৯০ সারে একটি আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচারানকারী চক্রের সাথে লেস্টার বার্ডের ভাই ভার বার্ড জুনিয়রের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়। ১৯৯৬ সালে আরেক ভাই আইভর বার্ড কোকেইন ব্যবসার দায়ে আটক হন। একই সময় লেস্টারের অর্থমন্ত্রীকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়। তার প্রতি অভিযোগ ছিলো যে, তিনি আমদানিকৃত একটি ভিন্টেজ রোল্‌স-রয়েস গাড়ির জন্য রাষ্ট্রকে সম্পূর্ণ রাজস্ব দেন নি। এছাড়া উপকূলবর্তী ব্যাংকসমূহকে পুনর্গঠন করার কথা বরা হয়। দাবী উঠে এই ব্যাংকসমূহে অর্থলগ্নি চলছে। ১৯৯৭ সালে অর্থলগ্নির দায়ে ৫ টি রাশিয়ান মালিকানাধীন ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হয়।

এধরণের নানা অভিযোগ সত্ত্বেও বার্ডের লেবার পার্টি ১৯৯৯ সারে আবার নির্বাচিত হয়। বার্ড মন্ত্রনালয়ে কিছু পরিবর্তন আনেন। এর মধ্যে রয়েছে তার ভাইবার বার্ড জুনিয়র যে ১৯৯০ সারেই সরকারী দপ্তর থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিলো। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ পার্টি আইনসবায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এর ফলে এন্টিগুয়া ও বারবুডায় লেবার পার্টির যুগের অবসান হয়। লেস্টার বার্ড হেরে যান এবং ইউপিপি'র বাল্ডউইন স্পেন্সার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

রাজনীতি

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

ভূগোল

অর্থনীতি

জনসংখ্যা

সংস্কৃতি

আরও দেখুন


তথ্যসূত্র

  1. সিআইএ পৃথিবী ফেক্টবুক: অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা
  2. "Antigua and Barbuda"। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-০১ 


বহিঃসংযোগ