২০১৯–২০ বুন্দেসলিগা
মৌসুম | ২০১৯–২০ |
---|---|
তারিখ | ১৬ আগস্ট ২০১৯ – ২৭ জুন ২০২০ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ২৯তম বুন্দেসলিগা শিরোপা ৩০তম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ পাডারবর্ন |
চ্যাম্পিয়নস লীগ | বায়ার্ন মিউনিখ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড আরবি লাইপৎসিশ বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ |
ইউরোপা লীগ | বায়ার লেভারকুজেন ভলফসবুর্গ ১৮৯৯ হফেনহাইম |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৯৮২ (ম্যাচ প্রতি ৩.২১টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | রবের্ত লেভানদোভস্কি (৩৪টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | আরবি লাইপৎসিশ ৮–০ মাইনৎস (১৯ নভেম্বর ২০১৯) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং |
|
দীর্ঘতম টানা জয় | ১৩ ম্যাচ[১] বায়ার্ন মিউনিখ |
দীর্ঘতম টানা অপরাজিত | ২০ ম্যাচ[১] বায়ার্ন মিউনিখ |
দীর্ঘতম টানা জয়বিহীন | ১৬ ম্যাচ[১] শালকে |
দীর্ঘতম টানা পরাজয় | ৫ ম্যাচ[১] ভেয়ার্ডার ব্রেমেন হের্টা পাডারবর্ন ফ্রাঙ্কফুর্ট |
সর্বোচ্চ উপস্থিতি | ৮১,৩৬৫[১] বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বনাম আউগসবুর্গ |
সর্বনিম্ন উপস্থিতি | ১৪,২১৭[১] পাডারবর্ন বনাম মাইনৎস |
উপস্থিতি | ৯১,১২,৯৫০ (ম্যাচ প্রতি ২৯,৭৮১ জন) |
← ২০১৮–১৯ ২০২০–২১ → |
২০১৯–২০ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৫৭তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০১৯ সালের ১৬ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০২০ সালের ২৭শে জুন তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[২][৩] বায়ার্ন মিউনিখের পোলীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রবের্ত লেভানদোভস্কি এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৪]
এই মৌসুমে বদলি খেলোয়াড়ের সংখ্যা সাত থেকে নয়-এ উন্নীত করা হয়েছিল।[৫] ২০২০ সালের ১৩ই মার্চ তারিখে, জার্মানিতে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে ডিএফএল বুন্দেসলিগা এবং ২০১৯–২০ ২. বুন্দেসলিগা স্থগিত ঘোষণা করেছিল।[৬] জার্মান সরকারের সাথে পরামর্শের পরে, এই লীগটি ২০২০ সালের ১৬ই মে তারিখে দর্শকহীনভাবে পুনরায় শুরু করা হয়েছিল।[৭] স্থগিতের কারণে, ২৭শে জুনের চূড়ান্ত ম্যাচের দিনটি ১৯৭১–৭২ মৌসুমের পর (যেটি একদিন পর ১৯৭২ সালের ২৮শে জুন তারিখে শেষ হয়েছিল) বুন্দেসলিগা মৌসুম শেষ হওয়া দ্বিতীয় সর্বশেষ তারিখ ছিল।[৮]
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৮–১৯ মৌসুমে ৭৮ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ২৮তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।[৯]
এই মৌসুমে ৮২ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ২৯তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৩০তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল।[১০] বায়ার্ন মিউনিখের পোলীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রবের্ত লেভানদোভস্কি ৩৪ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
[সম্পাদনা]প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুইটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
দল
[সম্পাদনা]২০১৮–১৯ মৌসুম শেষে হানোফার এবং নুর্নবার্গ মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে কলন এবং পাডারবর্ন বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাব হিসেবে স্টুটগার্ট ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব ইউনিয়ন বার্লিনের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, উক্ত প্লে-অফে জয়লাভ করে ইউনিয়ন বার্লিন বুন্দেসলিগার এই মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | স্টেডিয়াম | ধারণক্ষমতা |
---|---|---|---|
আউগসবুর্গ | আউগসবুর্গ | ডব্লিউডব্লিউকে এরিনা | ৩০,৬৬০[১১] |
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৪,৬৪৯[১২] |
ইউনিয়ন বার্লিন | বার্লিন | আল্টে ফোরস্টারাই | ২২,০১২[১৩] |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৪২,১০০[১৪] |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | সিগনাল ইডুনা পার্ক | ৮১,৩৬৫[১৫] |
ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ডুসেলডর্ফ | মার্কুর স্পিয়েল-আরেনা | ৫৪,৬০০[১৬] |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | কোমারৎসব্যাংক আরেনা | ৫১,৫০০[১৭] |
ফ্রাইবুর্গ | ফ্রাইবুর্গ ইম ব্রাইসগাউ | শোয়ারৎসভাল্ড স্টেডিয়াম | ২৪,০০০[১৮] |
১৮৯৯ হফেনহাইম | সিনশাইম | প্রিজিরো এরিনা | ৩০,১৫০[১৯] |
কলন | কোলন | রাইন এনার্গি স্টেডিয়াম | ৪৯,৬৯৮[২০] |
আরবি লাইপৎসিশ | লাইপৎসিশ | রেড বুল এরিনা | ৪২,৫৫৮[২১] |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | বেএরিনা | ৩০,২১০[২২] |
মাইনৎস | মাইনৎস | ওপেল এরিনা | ৩৪,০০০[২৩] |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বরুসিয়া পার্ক | ৫৯,৭২৪[২৪] |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | আলিয়ানৎস আরেনা | ৭৫,০০০[২৫] |
পাডারবর্ন | পাডারবর্ন | বেন্টেলার এরিনা | ১৫,০০০[২৬] |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | আরেনা আউফশালকে | ৬২,২৭১[২৭] |
ভলফসবুর্গ | ভলফসবুর্গ | ফক্সভাগেন আরেনা | ৩০,০০০[২৮] |
পয়েন্ট তালিকা
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২৬ | ৪ | ৪ | ১০০ | ৩২ | +৬৮ | ৮২ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ২১ | ৬ | ৭ | ৮৪ | ৪১ | +৪৩ | ৬৯ | |
৩ | আরবি লাইপৎসিশ | ৩৪ | ১৮ | ১২ | ৪ | ৮১ | ৩৭ | +৪৪ | ৬৬ | |
৪ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ২০ | ৫ | ৯ | ৬৬ | ৪০ | +২৬ | ৬৫ | |
৫ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১৯ | ৬ | ৯ | ৬১ | ৪৪ | +১৭ | ৬৩ | ইউরোপা লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৬ | ১৮৯৯ হফেনহাইম | ৩৪ | ১৫ | ৭ | ১২ | ৫৩ | ৫৩ | ০ | ৫২ | |
৭ | ভলফসবুর্গ | ৩৪ | ১৩ | ১০ | ১১ | ৪৮ | ৪৬ | +২ | ৪৯ | ইউরোপা লীগের দ্বিতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৮ | ফ্রাইবুর্গ | ৩৪ | ১৩ | ৯ | ১২ | ৪৮ | ৪৭ | +১ | ৪৮ | |
৯ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১৩ | ৬ | ১৫ | ৫৯ | ৬০ | −১ | ৪৫ | |
১০ | হের্টা | ৩৪ | ১১ | ৮ | ১৫ | ৪৮ | ৫৯ | −১১ | ৪১ | |
১১ | ইউনিয়ন বার্লিন | ৩৪ | ১২ | ৫ | ১৭ | ৪১ | ৫৮ | −১৭ | ৪১ | |
১২ | শালকে | ৩৪ | ৯ | ১২ | ১৩ | ৩৮ | ৫৮ | −২০ | ৩৯ | |
১৩ | মাইনৎস | ৩৪ | ১১ | ৪ | ১৯ | ৪৪ | ৬৫ | −২১ | ৩৭ | |
১৪ | কলন | ৩৪ | ১০ | ৬ | ১৮ | ৫১ | ৬৯ | −১৮ | ৩৬ | |
১৫ | আউগসবুর্গ | ৩৪ | ৯ | ৯ | ১৬ | ৪৫ | ৬৩ | −১৮ | ৩৬ | |
১৬ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন (O) | ৩৪ | ৮ | ৭ | ১৯ | ৪২ | ৬৯ | −২৭ | ৩১ | অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ |
১৭ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ (R) | ৩৪ | ৬ | ১২ | ১৬ | ৩৬ | ৬৭ | −৩১ | ৩০ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৮ | পাডারবর্ন (R) | ৩৪ | ৪ | ৮ | ২২ | ৩৭ | ৭৪ | −৩৭ | ২০ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল; ৪) হেড-টু-হেড পয়েন্ট; ৫) হেড-টু-হেড গোল পার্থক্য; ৬) হেড-টু-হেড অ্যাওয়ে গোল; ৭) অ্যাওয়ে গোল; ৮) প্লে-অফ।[২৯]
(C) চ্যাম্পিয়ন; (O) প্লে-অফ বিজয়ী; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ ক খ ২০১৯–২০ ডিএফবি-পোকালের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা ইউরোপা লীগে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি ষষ্ঠ স্থান অধিকারী ক্লাব ১৮৯৯ হফেনহাইমকে প্রদান করা হয়েছিল এবং উয়েফা ইউরোপা লীগে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি সপ্তম স্থান অধিকারী ক্লাব ভলফসবুর্গকে প্রদান করা হয়েছিল।
ফলাফল
[সম্পাদনা]পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]
শীর্ষ গোলদাতা[সম্পাদনা]
|
সর্বাধিক অ্যাসিস্ট[সম্পাদনা]
|
হ্যাট্রিক[সম্পাদনা]
পুরস্কার[সম্পাদনা]এই মৌসুম শেষে নিম্নলিখিত পুরস্কারগুলো প্রদান করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
|