১৯৯৭–৯৮ বুন্দেসলিগা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বুন্দেসলিগা
মৌসুম১৯৯৭–৯৮
তারিখ১ আগস্ট ১৯৯৭ – ৯ মে ১৯৯৮
চ্যাম্পিয়নকাইজারস্লাউটার্ন
২য় বুন্দেসলিগা শিরোপা
৪র্থ জার্মান শিরোপা
অবনমনকার্লস্রুহার
কলন
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড
চ্যাম্পিয়নস লীগকাইজারস্লাউটার্ন
বায়ার্ন মিউনিখ
কাপ উইনার্স কাপডুসবুর্গ
উয়েফা কাপবায়ার লেভারকুজেন
স্টুটগার্ট
শালকে
ইন্টারটোটো কাপহান্সা রস্টক
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন
মোট খেলা৩০৬
মোট গোলসংখ্যা৮৫৩ (ম্যাচ প্রতি ২.৭৯টি)
শীর্ষ গোলদাতাজার্মানি উলফ কির্স্টেন (২২টি গোল)
সবচেয়ে বড় হোম জয়লেভারকুজেন ৬–১ কার্লস্রুহার (২৩ আগস্ট ১৯৯৭)
লেভারকুজেন ৬–১ স্টুটগার্ট (২১ ডিসেম্বর ১৯৯৭)
লেভারকুজেন ৫–০ হামবুর্গার (১৮ এপ্রিল ১৯৯৮)
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয়৯ ম্যাচ
সর্বোচ্চ স্কোরিংডুসবুর্গ ৪–৫ বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ (৩১ অক্টোবর ১৯৯৭)

১৯৯৭–৯৮ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৩৫তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৯৭ সালের ১লা আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৯৮ সালের ৯ই মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১][২] বায়ার লেভারকুজেনের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় উলফ কির্স্টেন এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]

বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৯৬–৯৭ মৌসুমে ৭১ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১৩তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।[৪]

এই মৌসুমে ৬৮ পয়েন্ট অর্জন করে কাইজারস্লাউটার্ন ২য় বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৪র্থ বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বায়ার লেভারকুজেনের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় উলফ কির্স্টেন ২২ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।

প্রতিযোগিতার ধরন[সম্পাদনা]

প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল।

দল[সম্পাদনা]

১৯৯৬–৯৭ মৌসুম শেষে ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ, ফ্রাইবুর্গ এবং জাংকট পাওলি মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে কাইজারস্লাউটার্ন, ভলফসবুর্গ এবং হের্টা বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।

ক্লাব অবস্থান মাঠ[৫] ধারণক্ষমতা[৫]
হের্টা বার্লিন বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম ৭৬,০০০
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড বিলেফেল্ড আলম স্টেডিয়াম ২২,৫১২
বোখুম বোখুম রুর স্টেডিয়াম ৩৬,৩৪৪
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ব্রেমেন ভেজার স্টেডিয়াম ৩৬,০০০
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ডর্টমুন্ড ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম ৫৫,০০০
ডুসবুর্গ ডুসবুর্গ ভেডাউস্টাডিওন ৩০,১২৮
হামবুর্গার হামবুর্গ ফক্সপার্কস্টাডিওন ৬২,০০০
কাইজারস্লাউটার্ন কাইজারস্লাউটার্ন ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম ৩৮,৫০০
কার্লস্রুহার কার্লস্রুহে ভিল্ডপার্কস্টাডিওন ৩৩,৮০০
কলন কোলন মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম ৫৫,০০০
বায়ার লেভারকুজেন লেভারকুজেন বেএরিনা ২২,৫০০
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ মনশেনগ্লাডবাখ বোকেলবার্গস্টাডিওন ৩৪,৫০০
১৮৬০ মিউনিখ মিউনিখ মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম ৬৩,০০০
বায়ার্ন মিউনিখ মিউনিখ বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম ৬৩,০০০
হান্সা রস্টক রস্টক অস্টসি স্টেডিয়াম ২৫,৮৫০
শালকে গেলজেনকির্খেন পার্ক স্টেডিয়াম ৭০,০০০
স্টুটগার্ট স্টুটগার্ট গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম ৫৩,৭০০
ভলফসবুর্গ ভলফসবুর্গ ভিএফএল স্টেডিয়াম আম এলস্টারভেগ ২১,৬০০

পয়েন্ট তালিকা[সম্পাদনা]

অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন
কাইজারস্লাউটার্ন (C) ৩৪ ১৯ ১১ ৬৩ ৩৯ +২৪ ৬৮ চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ
বায়ার্ন মিউনিখ ৩৪ ১৯ ৬৯ ৩৭ +৩২ ৬৬ চ্যাম্পিয়নস লীগের দ্বিতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ
বায়ার লেভারকুজেন ৩৪ ১৪ ১৩ ৬৬ ৩৯ +২৭ ৫৫ উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ
স্টুটগার্ট ৩৪ ১৪ ১০ ১০ ৫৫ ৪৯ +৬ ৫২
শালকে ৩৪ ১৩ ১৩ ৩৮ ৩২ +৬ ৫২
হান্সা রস্টক ৩৪ ১৪ ১১ ৫৪ ৪৬ +৮ ৫১ ইন্টারটোটো কাপের তৃতীয় পর্বে উত্তীর্ণ
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ৩৪ ১৪ ১২ ৪৩ ৪৭ −৪ ৫০ ইন্টারটোটো কাপের দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণ
ডুসবুর্গ ৩৪ ১১ ১১ ১২ ৪৩ ৪৪ −১ ৪৪ কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক]
হামবুর্গার ৩৪ ১১ ১১ ১২ ৩৮ ৪৬ −৮ ৪৪
১০ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৩৪ ১১ ১০ ১৩ ৫৭ ৫৫ +২ ৪৩
১১ হের্টা ৩৪ ১২ ১৫ ৪১ ৫৩ −১২ ৪৩
১২ বোখুম ৩৪ ১১ ১৫ ৪১ ৪৯ −৮ ৪১
১৩ ১৮৬০ মিউনিখ ৩৪ ১১ ১৫ ৪৩ ৫৪ −১১ ৪১
১৪ ভলফসবুর্গ ৩৪ ১১ ১৭ ৩৮ ৫৪ −১৬ ৩৯
১৫ বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৩৪ ১১ ১৪ ৫৪ ৫৯ −৫ ৩৮
১৬ কার্লস্রুহার (R) ৩৪ ১১ ১৪ ৪৮ ৬০ −১২ ৩৮ ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত
১৭ কলন (R) ৩৪ ১০ ১৮ ৪৯ ৬৪ −১৫ ৩৬
১৮ আরমিনিয়া বিলেফেল্ড (R) ৩৪ ১৮ ৪৩ ৫৬ −১৩ ৩২
উৎস: জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
  1. ১৯৯৭–৯৮ ডিএফবি-পোকালের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে উত্তীর্ণ হওয়ায় কাপ উইনার্স কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি ডুসবুর্গকে প্রদান করা হয়েছিল।

ফলাফল[সম্পাদনা]

স্বাগতিক \ সফরকারী BSC DSC BOC SVW BVB DUI HSV FCK KSC KOE B04 BMG M60 FCB ROS S04 VFB WOB
হের্টা ১–১ ২–২ ০–২ ১–১ ১–৩ ০–২ ২–০ ৩–১ ১–০ ২–২ ২–২ ২–০ ২–১ ১–১ ১–৪ ৩–০ ১–০
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড ১–৩ ০–২ ৩–০ ৩–১ ৩–৩ ০–৩ ২–২ ২–১ ২–১ ২–১ ৩–১ ১–১ ৪–৪ ০–১ ১–১ ২–১ ০–১
বোখুম ২–১ ১–০ ০–১ ২–১ ০–০ ০–০ ১–৩ ৩–৩ ২–১ ০–০ ৩–১ ১–০ ২–৩ ১–৩ ৩–০ ০–২ ২–১
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ০–২ ২–১ ১–০ ২–১ ২–২ ০–০ ১–১ ২–৪ ৩–০ ২–১ ১–০ ৩–৩ ০–৩ ১–১ ২–১ ২–২ ৩–১
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৩–০ ৩–২ ৫–২ ২–২ ৩–০ ০–১ ২–২ ২–২ ৩–০ ০–১ ১–২ ২–৩ ০–২ ৩–২ ২–২ ৩–১ ২–১
ডুসবুর্গ ০–১ ২–১ ২–০ ২–১ ০–০ ৩–০ ১–১ ১–০ ২–২ ১–১ ৪–৫ ০–২ ০–০ ০–১ ১–০ ০–৩ ২–২
হামবুর্গার ১–১ ২–০ ২–১ ২–১ ১–৩ ১–০ ১–১ ৩–১ ২–১ ০–১ ২–২ ১–২ ০–২ ০–১ ১–১ ০–০ ১–২
কাইজারস্লাউটার্ন ১–০ ৩–১ ৩–০ ১–৩ ১–১ ১–০ ২–১ ০–০ ৩–২ ০–৩ ৩–২ ১–০ ২–০ ৪–৩ ৩–০ ৪–৩ ৪–০
কার্লস্রুহার ০–২ ৩–১ ১–১ ৩–১ ০–১ ১–২ ০–১ ২–৪ ৩–১ ১–১ ২–৫ ০–০ ১–১ ৩–০ ০–০ ৪–২ ২–১
কলন ২–০ ৩–৫ ২–১ ২–০ ৪–২ ৩–২ ১–২ ০–০ ০–১ ২–২ ৩–২ ২–৩ ১–৩ ০–০ ০–২ ৪–২ ৫–৩
বায়ার লেভারকুজেন ০–১ ০–০ ৩–২ ৪–১ ২–২ ২–১ ৫–০ ১–১ ৬–১ ৪–০ ১–১ ২–২ ৪–২ ১–১ ০–০ ৬–১ ২–১
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৪–২ ০–০ ২–১ ০–০ ১–১ ০–৩ ১–১ ১–৩ ১–১ ৪–১ ২–২ ৫–১ ১–১ ৫–২ ০–১ ০–০ ০–২
১৮৬০ মিউনিখ ৩–১ ১–০ ০–২ ০–১ ৪–২ ০–১ ১–১ ১–৩ ২–২ ১–০ ৩–৪ ২–০ ২–২ ০–১ ১–০ ১–৩ ২–১
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–০ ১–০ ০–০ ২–০ ৪–০ ৩–০ ৩–০ ০–১ ১–১ ০–২ ২–১ ৩–২ ৩–১ ২–০ ১–১ ৩–৩ ৫–২
হান্সা রস্টক ৪–০ ২–১ ২–২ ১–২ ৩–১ ২–১ ২–১ ২–২ ৪–২ ১–২ ১–২ ২–০ ৩–০ ১–৩ ৪–১ ১–১ ০–১
শালকে ১–০ ২–১ ২–০ ০–১ ১–০ ১–১ ২–২ ১–১ ২–০ ১–০ ২–১ ২–০ ২–০ ১–০ ০–০ ৩–৪ ১–১
স্টুটগার্ট ৪–১ ১–০ ২–০ ১–০ ০–০ ১–১ ৫–২ ০–১ ৩–০ ১–১ ১–০ ৩–০ ১–১ ০–৩ ২–১ ০–০ ২–১
ভলফসবুর্গ ২–১ ২–০ ০–২ ১–০ ১–৪ ০–২ ১–১ ২–১ ১–২ ১–১ ১–০ ০–২ ১–০ ২–৩ ১–১ ০–০ ১–০
উৎস: জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
রং: নীল = স্বাগতিক দল বিজয়ী; হলুদ = ড্র; লাল = সফরকারী দল বিজয়ী।

শীর্ষ গোলদাতা[সম্পাদনা]

অবস্থান খেলোয়াড় ক্লাব গোল
জার্মানি উলফ কির্স্টেন বায়ার লেভারকুজেন ২২
জার্মানি ওলাফ মার্শাল কাইজারস্লাউটার্ন ২১
সুইজারল্যান্ড স্তেফান শাপুইজা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১৪
জার্মানি মাইকেল প্রিৎস হের্টা
জার্মানি ফ্রেডি বোবিচ স্টুটগার্ট ১৩
জার্মানি কার্স্টেন ইয়ানকার বায়ার্ন মিউনিখ
সুইডেন ইয়র্গেন পিতেরসন বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ
অস্ট্রিয়া টনি পলস্টার কলন
জার্মানি রয় প্রাগার ভলফসবুর্গ
১০ জার্মানি বার্নাহার্ড ভিঙ্কলার ১৮৬০ মিউনিখ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Schedule Round 1"। DFB। ৩১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "Archive 1997/1998 Round 34"। DFB। ৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "FC Schalke 04 - Bayer Leverkusen 2:1 (Bundesliga 1997/1998, 1. Round)"worldfootball.net। ৮ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২২ 
  4. "MSV Duisburg - FC Bayern: Live Score, Stream and H2H results 05/02/1998."Tribuna.com। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৮ 
  5. Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]