বিষয়বস্তুতে চলুন

হুজুরিপাড়া ইউনিয়ন

হুজুরিপাড়া
ইউনিয়ন
হুজুরিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়।
হুজুরিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়।
হুজুরিপাড়া রাজশাহী বিভাগ-এ অবস্থিত
হুজুরিপাড়া
হুজুরিপাড়া
হুজুরিপাড়া বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
হুজুরিপাড়া
হুজুরিপাড়া
বাংলাদেশে হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°২৭′১১″ উত্তর ৮৮°৩৩′৫৮″ পূর্ব / ২৪.৪৫৩০৬° উত্তর ৮৮.৫৬৬১১° পূর্ব / 24.45306; 88.56611 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলারাজশাহী জেলা
উপজেলাপবা উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সরকার
  চেয়ারম্যানমো: আখতার ফারুক
আয়তন
  মোট১০.৯৮ বর্গকিমি (৪.২৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১[])
  মোট১৬,২০২
  জনঘনত্ব১,৫০০/বর্গকিমি (৩,৮০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটhujuriparaup.rajshahi.gov.bd
মানচিত্র
মানচিত্র

হুজুরিপাড়া ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।


ঘি পাড়া

[সম্পাদনা]

ঘি পাড়া (ইংরেজি: Ghee Para) বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার একটি ছোট কিন্তু হৃদয়স্পর্শী গ্রাম। এই গ্রামের মানুষ পরিশ্রমী, শান্তিপ্রিয় এবং গ্রামীণ ঐতিহ্যে বিশ্বাসী। এখানে নেই আধুনিকতার ঝলক, কিন্তু আছে এক অনন্য সরলতা আর আন্তরিকতা।

অবস্থান

[সম্পাদনা]

ঘি পাড়া পবা উপজেলার অন্তর্গত ২নং হুজুরি পাড়া ইউনিয়নের সন্নিকটে অবস্থিত। গ্রামে প্রবেশ করতে হলে যেতে হয় দারুশা বাজারের পথ ধরে, যা পার হলে পৌঁছাতে হয় বিখ্যাত মরমরিয়া হাটে। এই হাটে সাম্প্রতিক সময়ে রাজহাঁসের মাংস অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং আশপাশের গ্রাম থেকে অনেক মানুষ এখানে এসে হাঁসের মাংস খেতে ভিড় করছে।

ধর্মীয় অবস্থা ও মসজিদ

[সম্পাদনা]

এই গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই, যেমন — প্রাথমিক বিদ্যালয় বা মাদ্রাসা, তবে ধর্মীয় জীবনের প্রতি মানুষের আনুগত্য প্রবল। ঘি পাড়ায় দুইটি মসজিদ রয়েছে:

  1. ঘি পাড়া উত্তরপাড়া জামে মসজিদ — এই মসজিদ হানাফী মতবাদের অনুসারীদের দ্বারা পরিচালিত, এবং গ্রামে বেশি সংখ্যক মুসল্লি এখানেই নামাজ আদায় করে।
  2. দক্ষিণপাড়া আহলে হাদীস মসজিদ — এই মসজিদটি মূলত আহলে হাদীস মতবাদের মানুষদের জন্য নির্মিত, তবে আশেপাশের হানাফী মুসল্লিদের অংশগ্রহণও এখানে দেখা যায়।

গ্রামে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা মিলাদ মাহফিল তেমন হয় না, তবে নামাজ এবং ধর্মীয় নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে পালন করা হয়।

সংস্কৃতি ও বিনোদন

[সম্পাদনা]

বর্তমানে গ্রামে ঐতিহ্যবাহী কোনো খেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রচলিত নেই, তবে ভবিষ্যতে লাঠিখেলা ও গ্রামীণ মেলা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। গ্রামের ছোট-বড় সবাই ধর্মীয় অনুশাসনে চলতে অভ্যস্ত এবং সাধারণ জীবনযাপনেই সন্তুষ্ট।

বিশেষ স্থান

[সম্পাদনা]

গ্রামে একটি গোরস্থান রয়েছে যা সম্প্রতি নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামের সাধারণ, গরিব মানুষরা মিলে চাঁদা তুলে এটি গড়ে তুলেছে। গোরস্থানের নাম:

“ঘি পাড়া জান্নাতুল বাকি শান্তি নিবাসন গোরস্থান”

এই গোরস্থান শুধু একটি সমাধিক্ষেত্র নয়, এটি এই গ্রামের ঐক্য, ধর্মীয় সচেতনতা এবং ভালোবাসার প্রতীক। নামটি শান্তি এবং পবিত্রতার এক অপূর্ব মিলন ঘটায়।

সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি

[সম্পাদনা]

ঘি পাড়া একটি ছোট গ্রাম হলেও এর মানুষের মন বড়। তারা গরিব হলেও আত্মমর্যাদাশীল। কেউ বিত্তবান না হলেও, ধর্মীয় মূল্যবোধ, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং নির্লোভ জীবনের অনুপম উদাহরণ এই গ্রাম।


অবস্থান ও আয়তন

[সম্পাদনা]

হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের আয়তন ১০.৯৮ বর্গ কিলোমিটার। হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের পূর্বে নওহাটা পৌরসভা অবস্থিত। পশ্চিম দিকে দর্শনপাড়া ইউনিয়ন[]

প্রশাসনিক এলাকা

[সম্পাদনা]

এখানে গ্রামের সংখ্যা ৩৪ টি, মৌজার সংখ্যা ১৩ টি এবং হাট/বাজার সংখ্যা ০২ টি। এই ইউনিয়নের গ্রামগুলোর নাম হচ্ছেঃ কৈকুড়ি, শরিষাকুড়ি, দারুশা পশ্চিমপাড়া, দারুশা হাটপাড়া, দারুশা দিঘিপাড়া, বেজুড়া সল্লাপাড়া, কর্ণহার, কর্ণহার গুচ্ছগ্রাম, বাতাশমোল্লা, সরমংলা, কুমড়াপুকুর, বেজুড়া, মোল্লাডাইং, ডাংগেরহাট, শিশাপাড়া, সাহাপুর, রাধানগর, বরমত্তরপাড়া, গোধাপাড়া, আফিপাড়া, নেপালপাড়া, দেবেরপাড়া, সায়ের পুকুর, করমজা, তুরাপুর, উত্তর লক্ষিপুর, তেঁতুলিয়া, ঘিপাড়া, ঠাকুরপাড়া, মালিগাছা, ধর্মহাটা, হুজরীপাড়া, কবিরাজপাড়া ও বাজিতপুর।[]

জনসংখ্যার উপাত্ত

[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ১৬২০২ জন (প্রায়)।[] এই ইউনিয়নে মোট ৬৫৮৪টি পরিবার আছে।

শিক্ষা

[সম্পাদনা]

হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার হচ্ছে ৩৭%। বাংলাদেশর সাক্ষরতার হারহান ৩২.৪%। শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কলেজঃ ০২টি, উচ্চ বিদ্যালয়ঃ ০৪টি, মাদ্রাসা- ০৩টি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ০৪টি এবং বে-সরকারী রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয় আছে ০১টি।[]

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

নদীসমূহ

[সম্পাদনা]

হুজরীপাড়া ইউনিয়নে একটি খাল রয়েছে। এটি হুজরীপাড়া ইউনিয়নের কুমড়াপুকুর গ্রাম থেকে দর্শনপাড়া ইউনিয়নের কিছু অংশ জুড়ে প্রবাহিত হয়ে দুয়ারী নদীতে মিলিত হয়েছে। পদ্মা নদীর উপচে পড়া পানি এ খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে থাকে। খাল টির আনুমানিক দৈর্ঘ্য ৭.০০ কি:মি:। এ খাল টিতে প্রায় সারা বছরই পানি পাওয়া যায়। এ খালে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ উৎপাদন হয় এবং কৃষকেরা খালের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে কৃষিজাত ফসল উৎপাদনে উন্নতি সাধন করে। অত্র ইউনিয়নে কোন নদ-নদী নাই।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. আদমশুমারী ২০১১ প্রতিবেদন।
  2. 1 2 3 4 5 "এক নজরে ১নং হুজুরিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ"। hujuriparaup.rajshahi.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]