সাহারা মরুভূমি
সাহারা(আরবি: الصحراء الكبرى, aṣ-ṣaḥrāʼ al-kubrá, উচ্চারণ: আস্সাহ্রাʼ আল্-কুব্রা, ‘মহান মরুভূমি’) বিশ্বের বৃহত্তম গরম মরুভূমি এবং অ্যান্টার্কটিকা ও আর্কটিকের পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মরুভূমি।[১]
বিস্তৃতি[সম্পাদনা]
মিশর, মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, চাদ, সুদান, নাইজার, মালি প্রভৃতি দেশ পর্যন্ত সাহারা মরুভূমি বিস্তৃত।
খনিজ পদার্থ[সম্পাদনা]
সাহারার লিবিয়া ও আলজেরিয়া অংশে প্রচুর তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া গেছে। তা ছাড়া এই মরুভূমিতে তামা, লোহা, ফসফেট ইত্যাদি অনেক খনিজ দ্রব্যও আছে।
আবহাওয়া[সম্পাদনা]
অত্যন্ত উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায়। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০ সেমি-র বেশি হয় না। দিনে প্রচন্ড গরম ও রাতে ঠান্ডা(প্রায় ৪°সে.)। কখনো কখনো পাহাড়ের চূড়ায় বরফও জমে থাকতে দেখা যায়। শীতকাল থেকে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সে. থেকে ৪৩ ডিগ্রী সে. পর্যন্ত ওঠানামা করে। লিবিয়ার আল-আজিজিয়া পৃথিবীর উষ্ণতম স্থান।
অধিবাসী[সম্পাদনা]
অধিকাংশই যাযাবর। তারা ছাগল, ভেড়া, ও উট পালন করে এবং জলের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। খেজুর, গম, বার্লি ইত্যাদি চাষ করে। স্থানীয় তুয়ারেগ জাতির মানুষেরা বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।
গাছপালা[সম্পাদনা]
মরুভূমির কোনো কোনো জায়গায় ঘাস, গুল্ম ও ছোট গাছ জন্মে। পানির সন্ধানে গাছ গুলোর মূল মাটির খুব গভীরে পৌঁছায় এবং অনেক ক্ষেত্রেই বাতাস থেকে পাতার মাধ্যমে পানি গ্রহণ করে। আর্টেজীয় কূপের সাহায্যে জলসেচ করে কৃষিকাজ করা হয়। এখান কার মানুষ রা যাযাবর
পশুপাখী[সম্পাদনা]
সাপ, গিরগিটি ও খেঁকশিয়ালের মত প্রাণী বাস করে। যাযাবর ও পণ্যবাহকেরা যাতায়াতের জন্য উট ব্যবহার করে।একে 'মরুভূমির জাহাজ' বলা হয়। ৭০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৯০ প্রজাতির পাখি, ১০০ প্রজাতির সরীসৃপ আর কিছু আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর বসবাস সাহারায়। [২]
পূর্বাবস্থা[সম্পাদনা]
১০,০০০ বছর আগে সাহারার আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত আর্দ্র ও শীতল ছিল, বেশ কিছু হ্রদ ও ছোট নদীর অবস্থানের প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে শুষ্ক মরুভূমি, এমন কিছু অঞ্চলের পাহাড়ের গুহায় আদিম মানুষের বসবাসের চিহ্ন (গুহাচিত্র ও পাথরের যন্ত্রপাতি) পাওয়া গেছে যা থেকে বোঝা যায় ঐ এলাকা থেকে এক সময়ে সহজে পানির নাগাল পাওয়া যেত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এই এলাকায় হাতি জিরাফ ও অন্যান্য প্রাণী বাস করত।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Largest Desert in the World"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ http://www.desertusa.com/du_sahara_life.html
আফ্রিকা বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পুর্ণ, আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।