বিষয়বস্তুতে চলুন

রাজস্থানি পাঠান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রাজস্থানি পাঠান
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
রাজস্থান, ভারত
ভাষা
রাজস্থানিইংরেজিউর্দু
ধর্ম
ইসলাম (১০০%)
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী
পশতুন জাতি

রাজস্থানি পাঠান হল ভারতের রাজস্থান রাজ্যে বসবাসকারী একটি পাঠান/পশতুন সম্প্রদায়। []

ইতিহাস এবং উৎস

[সম্পাদনা]

রাজস্থানি পাঠান সম্প্রদায়টি পশতুন (পাঠান) সৈন্য এবং দুঃসাহসিকদের বংশধর যারা রাজস্থানে বিভিন্ন রাজপুত রাজপুত্রদের সেনাবাহিনীতে কাজ করার জন্য এসেছিল। যদিও টঙ্ক রাজ্যের রাজত্ব ১৮১৭ সালে একজন ইউসুফজাই পাঠান আমির খান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং রাজপুতানার একমাত্র অ- হিন্দু রাজ্য ছিল এটি। এই সম্প্রদায়টিকে কখনও কখনও টঙ্কিয়া পাঠান হিসাবে উল্লেখ করা হয়। টঙ্ক ১৯৪৮ সালে ভারতীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের ব্যর্থতার ফলে রোহিলখণ্ড অঞ্চল থেকে রোহিলা পাঠানদের আগমন ঘটে। টঙ্ক জেলা ছাড়াও দুঙ্গারপুর, প্রতাপগড়, বাঁশওয়াড়া, আজমীর, জয়পুর, ভরতপুর এবং উদয়পুর জেলাতেও এদের দেখা যায়। তাদের তিনটি মহকুমা রয়েছে, যাথা- স্বাতী, বুনেরি এবং বাগোদি। রাজস্থানি পাঠানদের অধিকাংশই ইউসুফজাই উপজাতির অন্তর্গত। তারা অনেক আগেই পশতু ভাষা ছেড়ে দিয়েছে, এবং বর্তমানে হিন্দুস্তানি ও পাশাপাশি রাজস্থানীর বিভিন্ন উপভাষায় কথা বলে। []

রাজস্থানি পাঠানদের ঐতিহ্যগত পেশা ছিল রাজপুতানায় বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করা। এখন অনেকেই রাজ্য পুলিশ, সরকারি কেরাণি এবং পরিবহন শিল্পে নিযুক্ত আছেন। কেউ কেউ জমি চাষাবাদ করে, বিশেষ করে টঙ্ক জেলায় এটির দেখা মিলে বেশি। তারা সম্পূর্ণরূপে অন্তঃগোত্রীয় বিবাহিত, খুব কম রাজস্থানি পাঠানই নিজের সম্প্রদায়ের বাইরে বিয়ে করে। []

প্রতিটি পাঠান বসতির নিজস্ব সম্প্রদায় পরিষদ আছে, যা জামাত নামে পরিচিত। জামায়াতের প্রধান ঐতিহাসিকভাবে স্থানীয়ভাবে বিশিষ্ট পরিবার থেকে নির্বাচিত হলেও বর্তমানে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হচ্ছেন। কোন বিষয় যদি সামগ্রিকভাবে পাঠান সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে বিভিন্ন স্থানীয় জামায়াতের সদস্যরা একত্রিত হয়। রাজস্থানি পাঠানরা সম্পূর্ণ সুন্নি মুসলিম, এবং রাজস্থানে সক্রিয় একটি সংস্কারবাদী দেওবন্দী সংগঠন তাবলিঘি জামাতের দ্বারা তারা বেশ প্রভাবিত হয়েছে। []

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. People of India Rajasthan Volume XXXVIII Part Two edited by B.K Lavania, D. K Samanta, S K Mandal & N.N Vyas pages 747 to 749 Popular Prakashan