মনিহার
মনিহার (উর্দু: مَنِہار) হল একটি মুসলিম সম্প্রদায়, প্রধানত উত্তর ভারতে বিদ্যমান।[১]
ইতিহাস ও উৎপত্তি
[সম্পাদনা]মনিহার শব্দটি নর থেকে এসেছে (হিন্দি: मणि), যার অর্থ উর্দুতে 'রত্ন' এবং এজেন্টিভ প্রত্যয় -হার। সংস্কৃতে মনিহার শব্দের অর্থ মানি ধরনশ্য (मणि को धारण करने वाला अर्थात शिव)। তারা মনিহার সিদ্দিকী (শেখ সিদ্দিকী) ও সওদাগর নামেও পরিচিত।
মনিহার সম্প্রদায়গুলি প্রধানত গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে দেখা যায়।[২] তাদের প্রধান গোষ্ঠী হল বাচ্চল, ভাদৌরিয়া, চাঁদচি, কাচ্চোইয়ানা, খলরি, তালওয়ার, তুর্ক, উজবেক, পারমার, বানজারা, রণঞ্জয় ও রাইকওয়ার।[১] এই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে কয়েকটি হল আঞ্চলিক গোষ্ঠী, আর কিছু অন্যান্য সম্প্রদায়ের উৎপত্তিকে প্রতিফলিত করে, যেমন কাচওয়াহা ও পারমার। মণিহার সম্প্রদায়ে সিদ্দিক উপাধিটি প্রায়শই দেখা যায় যদিও তারা নিজেদেরকে শেখ সিদ্দিকী বলে মনে করে। মনিহারের একাংশ মুসলিম রাজপুত হতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতি: ভারত
[সম্পাদনা]মণিহাররা সুন্নি হানাফি মুসলমান এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য কারিগর সম্প্রদায়ের মতো মোটামুটি প্রচলিত ধারা মেনে চলে।
উত্তর প্রদেশ
[সম্পাদনা]উত্তর প্রদেশের মনিহারে একটি ঐতিহ্যবাহী সম্প্রদায় পরিষদ রয়েছে, যা সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদের সমাধান করে। তারা একটি অন্তঃবিবাহিত সম্প্রদায় যাদের সমরূপ জ্ঞাতি ও ক্রস-জ্ঞাতি বিবাহের জন্য অগ্রাধিকার রয়েছে।[১]
রাজস্থান
[সম্পাদনা]রাজস্থানে মনিহারদের ঝুনঝুনু, জয়পুর, সিকার, চুরু ও আজমির জেলায় দেখা যায়। তারা চুড়ি প্রস্তুতকারক এবং কার্পট বা সিলিং মোমের ব্যবসায়ী। রাজস্থানের মনিহার সম্প্রদায় রাজস্থানীর শেখাবতী উপভাষায় কথা বলে। তারা গোত্র বহির্বিবাহের একটি ব্যবস্থা বজায় রেখে অন্তঃবিবাহিত সম্প্রদায়।[৩] তারা তিনটি আঞ্চলিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত, শিশগর, শেখাওয়াটি ও পাদিয়া, যা আরও কয়েকটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত। শেখ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের একটি প্রাক-বিখ্যাত গোষ্ঠী।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ Singh, K. S.; Hasan, Amir (২০০৫)। "Part II"। People of India: Uttar Pradesh। Anthropological Survey of India; Manohar Publishing। পৃষ্ঠা 936−937। আইএসবিএন 9788173041143।
- ↑ Singh, K. S. (১৯৯৮)। People of India: India's communities। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 2185।
- ↑ Lavania, B.K; Samanta, D. K (১৯৯৮)। "Part II"। People of India: Rajasthan। Published by Ramdas G. Bhatkal for Popular Prakashan। পৃষ্ঠা 617−643। আইএসবিএন 978-8171547692।