মেলিনা মার্কুরি
মেলিনা মার্কুরি | |
---|---|
সংস্কৃতি মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৩ অক্টোবর ১৯৯৩ – ৬ মার্চ ১৯৯৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | আন্ড্রেয়াস পাপানড্রো |
পূর্বসূরী | ডোরা বাকোয়ান্নি |
উত্তরসূরী | থানোস মিক্রুৎসিকোস |
কাজের মেয়াদ ২১ অক্টোবর ১৯৮১ – ২ জুলাই ১৯৮৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | আন্ড্রেয়াস পাপানড্রো |
পূর্বসূরী | আন্ড্রেয়াস আন্ড্রিয়ানোপুলোস |
উত্তরসূরী | আন্না সারুদা-বেনাকি |
পিরিউস বি আসনের হেলেনিক সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০ নভেম্বর ১৯৭৭ – ৬ মার্চ ১৯৯৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মারিয়া আমালিয়া মার্কুরি ১৮ অক্টোবর ১৯২০ অ্যাথেন্স, গ্রিস |
মৃত্যু | ৬ মার্চ ১৯৯৪ আপার ইস্ট সাইড, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৩)
সমাধিস্থল | অ্যাথেন্সের ফার্স্ট সেমেটারি |
রাজনৈতিক দল | পিএএসওকে |
দাম্পত্য সঙ্গী | পানোস হারোকোপোস (বি. ১৯৪১; বিচ্ছেদ. ১৯৬২) জুল ডাসিন (বি. ১৯৬৬; মৃ. ১৯৯৪) |
পিতামাতা | স্টামাটিস মার্কুরিস আইরিন লাপ্পা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ন্যাশনাল থিয়েটার অব গ্রিস ড্রামা স্কুল |
পেশা | অভিনেত্রী, গায়িকা |
মারিয়া আমালিয়া "মেলিনা" মার্কুরি (গ্রিক: Μαρία Αμαλία "Μελίνα" Μερκούρη; ১৮ অক্টোবর ১৯২০ - ৬ মার্চ ১৯৯৪) ছিলেন একজন গ্রিক অভিনেত্রী, গায়িকা ও রাজনীতিবিদ।[১] তিনি নেভার অন সানডে (১৯৬০) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি অভিনয় জীবনে তিনটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও দুটি বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি পিএএসওকে দলের ও হেলেনিক সংসদের সদস্য ছিলেন। ১৯৮১ সালের অক্টোবরে মার্কুরি গ্রিসের প্রথম নারী সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী হন।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]মার্কুরি ১৯২০ সালের ১৮ই অক্টোবর গ্রিসের অ্যাথেন্সে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা স্টামাটিস মার্কুরিস ছিলেন সাবেক ক্যাভালরি কর্মকর্তা ও গ্রিক সংসদের সদস্য, এবং তার মাতা এরিনি লাপ্পা। মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি ন্যাশনাল থিয়েটার অব ড্রামা স্কুলে ভর্তি হন এবং ১৯৪৪ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। মার্কুরির প্রথম স্বামী পানোস হারোকোপোস ছিলেন ধনাঢ্য ভূস্বামী। তারা ১৯৪১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ১৯৬২ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]ন্যাশনাল থিয়েটার অব ড্রামা স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর মার্কিন গ্রিসের ন্যাশনাল থিয়েটারে যোগ দেন এবং ১৯৪৫ সালে ইউজিন ওনিলের মোর্নিং বিকামস্ ইলেক্ট্রা নাটকে ইলেক্ট্রা চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি কারোলোস কুনের নির্দেশনায় আর্ট থিয়েটারে টেনেসি উইলিয়ামসের আ স্ট্রিটকার নেমড ডিজায়ার মঞ্চনাটকে ব্লাঞ্চ ডোবোয়া চরিত্রে অভিনয় করে প্রথম আলোচিত সাফল্য অর্জন করেন। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত তিনি এই থিয়েটারে আলডোস হাক্সলি, আর্থার মিলার ও অঁদ্রে রুসাঁর নাটকে কাজ করেন।
মার্কুরি অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল মাইকেল কাকোয়ানিস পরিচালিত গ্রিক ভাষার স্টেলা (১৯৫৫)। চলচ্চিত্রটি ১৯৫৬ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ প্রশংসা লাভ করে, এবং সেখানে তিনি মার্কিন পরিচালক জুল ডাসিনের সাথে তার পরিচয় হয়। ডাসিনের সাথে পরে তিনি একাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেন এবং ১৯৬৬ সালে তার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ডাসিন পরিচালনায় মার্কুরি অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল হি হু মাস্ট ডাই (১৯৫৭)। এছাড়া তিনি ডাসিনের পরিচালনায় দ্য ল (১৯৫৯) চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি নেভার অন সানডে (১৯৬০) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২][৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ফ্লিন্ট, পিটার বি. (৭ মার্চ ১৯৯৪)। "Melina Mercouri, Actress and Politician, Is Dead"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ "The 33rd Academy Awards (1961) Nominees and Winners"। অস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Film in 1961 - BAFTA Awards"। বাফটা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে মেলিনা মার্কুরি (ইংরেজি)