ভুটানের বৈদেশিক সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভুটানের বৈদেশিক সম্পর্ক বলতে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্ককে বুঝানো হয়ে থাকে। বিশ্বের ৫২টি রাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।[১][২]

১৯৭১ সালে ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতিসংঘে যোগদানের মাধ্যমে ভুটান তার বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে শুরু করে, যদিও তখনও পর্যন্ত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কোনো স্থায়ী সদস্য দেশের সাথে তার কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি। ১৯৮১ সালে ভুটান ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড এবং বিশ্বব্যাংকে যোগদান করার পর ১৯৮২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনেস্কোর সদস্য পদ লাভ করে। দেশটি সার্কের একটি সক্রিয় সদস্যও। বর্তমানে ভুটান ৪৫টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য।[৩]

২০০৮ সাল থেকে কার্যকর হওয়া ভুটানের সংবিধানের ২০ নং অনুচ্ছেদের আওতায় ভুটানের বৈদেশিক সম্পর্ক ড্রুক গ্যালোপের অধীনে ন্যস্ত যাতে পরামর্শক হিসাবে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রীর সমন্বয়ে গঠিত নির্বাহী পরিষদ।[৪]

যেসকল দেশের সাথে ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে[সম্পাদনা]

ভুটানের বৈদেশিক সম্পর্ক

ভুটান ষোলটি ইউরোপিয়ান জাতির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করেঃ অ্যান্ডোরা, অস্ট্রিয়া, আর্মেনিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবুর্গ, হল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন (২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারিতে স্থাপিত[৫]), সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড - জাপানের সাথে যোাারর ভুটানের উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করার জন্য "ভুটানের সুহৃদ" দল গঠন করেছে। অন্যান্য ইইউ রাষ্ট্রসমূহ যাদের সাথে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই ভুটানের (যেমনঃ ফ্রান্স এবং জার্মানি) তাদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে ইইউ, যেটি যেকোন একটি দেশের সাথে ইতিমধ্যে স্থাপিত কূটনৈতিক সম্পর্ক হলে তা বজায় রাখে।

বাংলাদেশ, ভারত, জাপান, নেপাল, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও ভুটান আরো আঠারোটি এশিয়ান জাতির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখেঃ আফগানিস্তান, আজারবাইজান, বাহরাইন, মায়ানমার; ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভিয়েতনাম. ভুটান আরো কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে চারটি আফ্রিকান জাতিঃ মিশর, মরিশাস, মরক্কো এবং সোয়াজিল্যান্ড; ছয়টি আমেরিকান জাতিঃ আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কানাডা, কলম্বিয়া, কোস্টারিকাকিউবা এবং দুটি ওশেনিয়ান জাতিঃ অস্ট্রেলিয়া এবং ফিজির সাথে।[৬] অন্যান্য দেশ যেমনঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য, যাদের ভুটানের সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তারা নয়াদিল্লীতে অবস্থিত নিজ নিজ দূতাবাসের এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘ থাকা ভুটানের স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখে। থিম্পুতে যুক্তরাজ্যের একজন অনারারি কনস্যুল রেসিডেন্ট আছে।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bhutan Bilateral relations ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে Bhutan Ministry of Foreign Affairs
  2. "Establishment of diplomatic relations between the Kingdom of Bhutan and the Kingdom of Spain – Ministry of Foreign Affairs"mfa.gov.bt। ২০১৬-১০-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-২৩ 
  3. "Foreign Relation and Trade"Bhutan Portal onlineGovernment of Bhutan। ২০১১-০৪-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৯ 
  4. "Constitution of the Kingdom of Bhutan (English)" (পিডিএফ)। Government of Bhutan। ২০০৮-০৭-১৮। ২০১১-০৭-০৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-১৩ 
  5. Dorji, Gyalsten K (২০১১-০২-১৫)। "Bhutan establishes ties with Spain"Kuensel। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "COLOMBIA Y EL REINO DE BUTÁN ESTABLECEN RELACIONES DIPLOMÁTICAS"Cancilleria de Colombia। ২০১৩-০১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১২-২২ 
  7. "Overseas Embassies and Consulates of Bhutan"Go Abroad.com। ২০০৯-০৩-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]