প্রাণী ভাইরাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

প্রাণী ভাইরাস হল এমন কিছু বিশেষ ধরণের ভাইরাস বা বিষাণু[১] যা প্রাণীকূলকে সংক্রামিত করে। এই ভাইরাসসমূহ সাধারণত বাধ্যতামূলক অন্তঃকোষীয় পরজীবী যাদের জিনোম হিসাবে ডিএনএ বা আরএনএ থাকে এবং একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিন আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে। অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অণুজীব প্রাণীদেহের জীবিত কোষের (সেলুলার জীবন) ভিতরেই প্রবলভাবে বংশবৃদ্ধি করে থাকে, যার ফলস্বরূপ প্রাণীদের মধ্যে উত্তরণ ঘটে নানাবিধ সংক্রমণের। এইধরণের ভাইরাস-সঞ্চালনার মাধ্যমে মূলত প্রতিটি প্রাণী, এছাড়াও উদ্ভিদ, ব্যাকটেরিয়া, সায়ানোব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি জীবদেহের সজীব কোষে ভাইরাস সক্রিয় অবস্থায় অবস্থান করেও সেই সেই প্রজাতিকে সংক্রামিত করতে পারে। প্রাণীদেহের কোনো অংশে, অঙ্গে বা কোষে সংক্রমণ বিভিন্ন ধরনের সংঘটকের দ্বারা ভাইরাস, ভিরয়েড, প্রিয়ন, ব্যাকটেরিয়া, নেমাটোড (নানাবিধ প্রকারের কৃমি), পিঁপড়া, আর্থ্রোপড যেমন উকুন, এঁটুল, মাছি এবং বিভিন্ন প্রকার ছত্রাক সংঘটিত হয় — এবং তৈরী হয় বিষক্রিয়া যা প্রাণসংশয় ঘটানোর ক্ষমতা রাখে।[২][৩][৪][৫][৬] উল্লেখ্য একই ভাইরাস উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়কে সংক্রমিত করতে পারে না। তবে এপ্রসঙ্গে অতি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল — প্রত্যেকটি জীবিত প্রাণী ও উদ্ভিদেরই নির্দিষ্ট প্রজাতির মধ্যে নিজস্ব নির্দিষ্ট ভাইরাসের উপস্থিতি বিদ্যমান, যা প্রায়শই শুধুমাত্র সেই প্রজাতিকে সংক্রামিত করে থাকে।[৭][৮][৯]

নিপা ভাইরাস (বাদুড়-বাহিত সংক্রমণ) — অন্যতম একটি প্রাণঘাতী প্রাণী ভাইরাস — কিভাবে প্রাণীদেহে ছড়ায় তার শৃঙ্খল চিত্র

গবেষণা অনুযায়ী প্রায় ৭৫০ থেকে ততোধিক প্রজাতির ভাইরাস বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন পরিমন্ডলে শনাক্ত করা হয়েছে যা প্রায় সবরকমের মেরুদণ্ডী প্রাণীকে সংক্রমিত করে থাকে। পোলিও, করোনা, হাম, মাম্প্‌স বা পনসিকা, হারপিস, জলাতঙ্ক, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস বি, বার্ড ফ্লু এরকম হাজারো ভাইরাস-ঘটিত রোগের উপদ্রব দেখা যায়। জুনোটিক রোগ হল ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ যা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। জুনোটিক রোগ বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। অ্যাস্ট্রোভাইরাস, রেবিস ভাইরাস, রোটাভাইরাস এবং রিফ্ট ভ্যালি ভাইরাস বহুপ্রজাতির ভাইরাস।

মেরুদণ্ডী প্রাণী[সম্পাদনা]

মানুষ ও অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীরা (ভার্টিব্রেটস) তাদের জীবদ্দশায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। সচরাচর মানুষের শরীরের অভ্যন্তরে অনুজীব বাহকের মাধ্যমেই রোগের বিস্তার ঘটে থাকে।[১০] তবে কখনও কখনও অন্য বেশকিছু প্রাণীদের থেকেও মানুষের মধ্যে রোগ সংক্রমিত হয়।[১১][১২] যে সব রোগে মূলত বিভিন্ন পশু-পাখি আক্রান্ত হয়, কিন্তু অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের মাঝেও তা সংক্রমিত হয়ে থাকে সেই সব রোগকে 'জুনোটিক রোগ' বলা হয়। পৃথিবীর অনেক দেশেই বিশেষ কোনো সময়ে পশু-পাখি থেকে রোগ মানবশরীরে প্রবেশ করে। তবে স্থান ও পরিবেশভেদে ভাইরাসগুলির মধ্যেও তারতম্য চোখে পড়ে। কিছু কিছু ভাইরাস প্রাথমিকভাবে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটানোর পরে অন্য কিছু প্রাণীকে সংক্রামিত করে। ভাইরাস-ঘটিত সংক্রমণ অধ্যয়নের দুটি ক্ষেত্র বিরাজমান।[১৩][১৪] প্রথমটি হল মেডিকেল বা ক্লিনিক্যাল ভাইরোলজি, যেটি সবথেকে বেশি আলোচিত, চর্চিত ও গবেষণা-প্রবণ।[১৫] অপরটি হল ভেটেরিনারি ভাইরোলজি, যা প্রাণি চিকিৎসাবিজ্ঞান-এর অন্তর্ভুক্ত। বিভিন্ন ভাইরাস শরীরের সমস্ত অঙ্গ এবং টিস্যুকে সংক্রামিত করতে পারে এবং এর ফলাফলগুলি হালকা বা কোন উপসর্গ থেকে শুরু করে প্রাণঘাতী কোনো রোগের প্রকোপকে পর্যন্ত ত্বরান্বিত করতে পারে। মানুষ স্বাভাবিকভাবে উদ্ভিদ বা পোকামাকড়ের ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে না, তবে তারা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীর ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের জন্য যথেষ্ট পরিমানে সংবেদনশীল। এগুলিকে ভাইরাল জুনোজ বা জুনোটিক সংক্রমণ বলা হয়। এগুলোর কিছু উদাহরণ যেমন — জলাতঙ্ক, হলুদ জ্বর এবং পাপতাচি জ্বর। আবার ভারতবাংলাদেশ এই দুই পড়শি রাষ্ট্রে মাংকিপক্স অত্যন্ত আলোচিত একটি প্রাণী ভাইরাস-ঘটিত রোগ যা বাঁদরবসন্ত ভাইরাস (এমপিএক্সভি) দ্বারা সৃষ্ট। এই রোগ মানুষ সহ বেশকিছু মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো ঋতুতে দেখা দেয়।[১৬][১৭][১৮][১৯]

১৯৩৮ সালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ডং দ্বীপে মাইক্সোমাটোসিস ট্রায়ালের সময় একটি জলপূর্ণ বড় গর্তের চারপাশে তৃষ্ণার্ত অসংখ্য খরগোশ

যে ভাইরাসগুলি অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীকে সংক্রামিত করে সেগুলি প্রধানত বাস্তুতন্ত্রে মানুষের সংস্পর্শে আসে। গরু, ভেড়া, মহিষ, ছাগলের মত গবাদি পশুর দেহে বাস করা বিভিন্ন রোগজীবাণুর ফলে পা-ও-মুখসংক্রান্ত রোগব্যাধি এবং ব্লুটং-এর মতো রোগেরও সৃষ্টি হয়।[২০] জার্সি এবং গার্নসি জাতের গবাদি পশুগুলি পক্স বা জলবসন্তের মত ভাইরাসের জন্য বিশেষভাবে সংবেদনশীল, যার লক্ষণগুলি ব্যাপক, মারাত্মক রকমের ত্বকের ক্ষত দ্বারা এগুলিকে চিহ্নিত করা হয়। বেশিরভাগ মানুষ মাইক্সোমাটোসিসের বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন, যা খরগোশের দেহে সংক্রমিত একটি মারাত্মক পক্স জাতীয় ভাইরাসদ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ বা একধরণের মারণব্যাধি। যদি একবার সংক্রমিত হয় তাহলে কেবলমাত্র বারো দিনের মধ্যে খরগোশের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই ভাইরাসটি কিন্তু কৃত্রিম। ১৯৫০ সালে একে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আনা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল সমসাময়িক খরগোশের দ্রুত ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা। ওই অঞ্চলে খরগোশের তেমন কোনো আগ্রাসী প্রাকৃতিক শিকারী ছিলনা। ফলে ব্যাপক হারে এদের বংশবৃদ্ধি শুরু হয়েছিল। তাই সেসময় মনুষ্য-দ্বারা তৈরী হওয়া এই সংক্রমণটি ৯৯.৮ শতাংশ খরগোশকে মেরে ফেলেছিল।[২১] কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে অস্ট্রেলীয় খরগোশের দেহে ভাইরাস প্রতিরোধী 'রোগ-প্রতিরোধক' ব্যবস্থার উৎপত্তি হতে থাকে। যার জন্য খরগোশের আবারও উত্তরোত্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

মানুষের সঙ্গী যেসমস্ত প্রাণী এই পরিবেশে রয়েছে, যারা সরাসরি মানব-মিথস্ক্রিয়ায় যুক্ত, যেমন বিড়াল, কুকুর এবং ঘোড়া, এদেরও যদি নিয়মিত টিকা বা প্রতিষেধক না দেওয়া হয় তবে গুরুতর ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে, এমনকি হতে পারে মৃত্যুও। ক্যানাইন পারভোভাইরাস ২ একটি ছোট ডিএনএ ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট, এবং এর দ্বারা উৎপন্ন ও ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ প্রায়ই কুকুরছানাদের মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে ফেলে।[২২] ১৯৭০-এর দশকে পারভোভাইরাসের আবির্ভাব সংক্রামক রোগের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল। রোগটি সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং হাজার হাজার কুকুর সংক্রমণে মারা যায়। বিড়ালদের মধ্যে প্রথম দেখা যায় ফেলিনে পাঁলেকোপেনিয়া নামক একধরণের ভাইরাসের উপস্থিতি। বিড়াল মূলত প্যানেলিউকোপেনিয়ার ভেক্টর, কিন্তু ধীরে ধীরে এর মিউটেশন ঘটে উৎপন্ন হয় ভাইরাল ক্যাপসিড প্রোটিন-যুক্ত সিভিপি২-এর।[২৩] মাত্র দুটি অ্যামিনো অ্যাসিড পরিবর্তিত হয়েছিল যা এটিকে প্রজাতির বাধা অতিক্রম করতে দেয়, এবং কুকুর, বিড়ালের বিপরীতে, এই রোগের সেসময় কিন্তু কোনো প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল না। ক্যানাইন ডিস্টেম্পার ভাইরাস হামের ভাইরাসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এবং কুকুরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাল রোগ। রোগটি (এটিকে প্রথম ১৭৬০ সালে বর্ণনা করেছিলেন, গুটিবসন্তের টিকাদানের পথপ্রদর্শক এডওয়ার্ড জেনার; যা ইতিহাসে প্রথম সফলভাবে তৈরি টিকা) ব্যাপক পরিমানে সংক্রামক, কিন্তু টিকাপ্রদান একেও দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। ১৯৯০-এর দশকে, হাজার হাজার আফ্রিকান সিংহ সংক্রমণের কারণে মারা গিয়েছিল। এই ভাইরাস আবার তাদের শরীরে এসেছিল বন্য কুকুরদের থেকে।অবশ্য হায়েনাও এই রোগে আগে ভুগেছিল।

সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীও ভাইরাল সংক্রমণের জন্য সংবেদনশীল। ১৯৮৮ এবং ২০০২ সালে, হাজার হাজার হারবার সীল ইউরোপে হামের মতো একধরণের ফোসিন ডিস্টেম্পার (ফোসিন মরবিলিভাইরাস) ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ও মৃত্যমুখে পর্যবসিত হয়েছিল।[২৪] বৈকাল হ্রদের এবং বাল্টিক ও উত্তর সাগরের তীরে সীল গোষ্ঠী সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল। তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত গবেষকরা এই রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব রেকর্ডও করেছিল। সংক্রমণ ক্যানাইন ডিস্টেম্পারের অনুরূপ; শ্বাসকষ্টের দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রাণী মারা যায় এবং গর্ভপাতের মাত্রাও বেড়ে যায়।[২৫] ক্যালিসিভাইরাস, হারপিসভাইরাস, অ্যাডেনোভাইরাস এবং পারভোভাইরাস সহ অন্যান্য অনেক ভাইরাস সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীগোষ্ঠীতেও ছড়িয়ে পড়ে, পাশাপাশি বাড়িয়ে দেয় মৃত্যুহারও।[২৬]

মিষ্টি ও লবনাক্ত দু-ধরণের জলে বাস করা মাছেরও ভাইরাস আছে। এরা বিশেষ করে র‍্যাবডো ভাইরাস সংক্রমণের মুখে পড়ে। এটা আবার জলাতঙ্ক ভাইরাসের সাথে কিছুটা সম্পর্কিত। অন্তত নয় ধরনের র‍্যাবডোভাইরাস মূলত স্যালমন, পাইক, পার্চ, সমুদ্র খাদ, কার্প এবং কড সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের শরীরে মারণ রোগ সৃষ্টি করে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যানিমিয়া, আভ্যন্তরীণ রক্তপাত ঘটা, অলসতা এবং মৃত্যুর হার যা জলের তাপমাত্রা দ্বারা প্রভাবিত হয়। হ্যাচারি বা মৎসপালন কেন্দ্রে প্রায়ই ১৫—১৮°সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে এইধরণের রোগ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবপর হয়।[২৭] সমস্ত মেরুদণ্ডী প্রাণীর মতো, মাছ হারপিস নামক একপ্রকার জটিল ভাইরাস-ঘটিত রোগে ভোগে। এই পুরাতন গোত্রের ভাইরাসগুলি মাছের সাথেই সহ-বিকশিত হয়ে এসেছে। এই ভাইরাস ঘটিত রোগগুলির মূল বৈশিষ্ট হল এগুলো সাধারণত প্রজাতি-নির্দিষ্ট।[২৮] মাছে, এইধরণের ভাইরাস ক্যান্সারযুক্ত টিউমার এবং ক্যান্সার কোষগুলির বৃদ্ধি ঘটায়, যাকে 'হাইপারপ্লাসিয়া' বলে।[২৯]

অমেরুদণ্ডী প্রাণী[সম্পাদনা]

ডানা বিকৃতি-মূলক একাধিক ভাইরাসে আক্রান্ত হয় মৌমাছিরা

অমেরুদণ্ডী প্রাণীরা বিভিন্ন ধরনের আরএনএ ভাইরাস শরীরে বহন করে থাকে, যেগুলির সম্ভাব্য সবধরনের এনক্যাপসিডেটেড জিনোম রয়েছে (পজিটিভ, নেগেটিভ এবং অ্যাম্বিসেন্স সিঙ্গেল স্ট্র্যান্ডেড আরএনএ জিনোম বা ডাবল স্ট্র্যান্ডেড আরএনএ জিনোম)। এই ভাইরাসগুলি ভিরিয়ন মরফলোজি এবং জিনোম গঠনে আপাতভাবে পৃথক। অমেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহে আরএনএ ভাইরাসগুলি বর্তমানে স্বীকৃত আরএনএ ভাইরাসের চারটির মধ্যে তিনটিতে উপস্থিত রয়েছে: মনোনেগাভাইরালেস, নিডোভাইরালেস এবং পিকর্নাভাইরালেস এবং ৩৭টি আরএনএ ভাইরাস গোত্রের মধ্যে ১০টি যেগুলির এখনও সেভাবে পৃথকীকরণ হয়নি। সবকটি অমেরুদণ্ডী আরএনএ ভাইরাসগুলিকে বর্তমান কিছু শ্রেণিবিভাগের ভিত্তিতে শনাক্তকরণ করে আন্তর্জাতিকভাবে গবেষণা ও বিশ্লেষণমূলক কাজে নিয়োজিত থাকে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অন ট্যাক্সোনমি অফ ভাইরাস বা আই.সি.টি.ভি।[৩০][৩১][৩২][৩৩]

অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে সন্ধিপদী বা আর্থ্রোপোডা হল বৃহত্তম গোষ্ঠী এবং এরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ভাইরাসের মাধ্যমে সংঘটিত সংক্রমণের প্রধান আধার। বিভিন্ন ধরণের ছোটো বড় পোকা বা কীট-পতঙ্গ একধরণের নির্দিষ্ট ভাইরাস (আই.এস.ভি)-এ আক্রান্ত হয়। এই ভাইরাস মেরুদণ্ডী এবং অমেরুদণ্ডী উভয় শ্রেণীর প্রাণীকূলকেই মারাত্মকভাবে সংক্রামিত করতে পারে। প্রাণীবিজ্ঞানীরা একে বিশেষ একটি নাম দিয়েছেন — আরবোভাইরাস বা 'আর্থ্রোপড-জনিত ভাইরাস'। অন্যদিকে কীটপতঙ্গ-নির্দিষ্ট কিছু বিশেষ গোত্রের ভাইরাসের উপস্থিতি পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই বিদ্যমান, যেগুলো মেরুদণ্ডী প্রাণীদের সংক্রামিত করতে চূড়ান্ত অক্ষম। মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহে কোনোকালেই এদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। স্তন্যপায়ী, এভিয়ান, আর উভচর প্রাণীদের কোষ ও অঙ্গের মধ্যে এইসব রোগের বিরোধী রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকভাবে রয়েছে।[৩৪] চার দশকেরও বেশি আগে প্রাণীবিজ্ঞানী ও গবেষক স্টোলার আর থমাস দুজনেই একত্রে আই.এস.ভি ভাইরাসকে 'ভাইরাস'-হিসেবে প্রথম উল্লেখ ও নথিভুক্ত করেছিলেন।[৩৫] এডিস ইজিপ্টি কোষ সংস্কৃতি থেকে এই ভাইরাসের উপস্থিতি বিচ্ছিন্ন ছিল যেখানে প্রচুর সংখ্যক সিনসিটিয়া পরিলক্ষিত হয়েছিল এবং ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়েছিল 'সেল ফিউজিং এজেন্ট ভাইরাস' (সিএফএভি)। বিভিন্ন মেরুদণ্ডী প্রাণীকোষে প্রতিরোধী ক্ষমতা বিস্তারের জন্য টিকাপ্রদান করা হয় তখন কোনও সাইটোপ্যাথিক প্রভাব (সিপিই) লক্ষ্য করা যায় না। এভাবেই টিকাদান দ্বারা এই ভাইরাস মেরুদণ্ডী প্রাণীদেহ-বিচ্ছিন্ন হয়, ফলে এগুলো এখন কেবলমাত্র পোকামাকড় বা অন্য যেকোনো অমেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহেই রোগ বা নেতিবাচকতা তৈরী করতে থাকে।

অমেরুদণ্ডী প্রাণীদেহ লিম্ফোসাইট-ভিত্তিক অভিযোজিত ইমিউন সিস্টেম দ্বারা অ্যান্টিবডি বা রোগ-প্রতিরোধ করার বিশেষ ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনা যা মেরুদণ্ডযুক্ত প্রাণীদেহ ও কোষ অনায়াসে করে থাকে।[৩৬] ফাগোসাইটোসিস, যা মূলত কোষে পরজীবী সংক্রমন দমনের জন্য উৎপন্ন বিশেষ ধরণের অ্যান্টিবডি বা রোগ-প্রতিরোধী ক্ষমতা, কিন্তু অমেরুদণ্ডী প্রাণীদেহেই প্রথম তৈরী হয়,[৩৭] এবং অন্যান্য সহজাত ইমিউন প্রতিক্রিয়া ভাইরাস এবং অন্যান্য রোগজীবাণু প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলে। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের হিমোলিম্ফে অনেক দ্রবণীয় প্রতিরক্ষামূলক অণু থাকে, যেমন হেমোসায়ানিন, লেকটিন এবং প্রোটিন, যা এই প্রাণীদের নানারকমের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষাণুদের হাত থেকে রক্ষা করে।[৩৮]

এধরণের ভাইরাসের আকার[সম্পাদনা]

এই ইলেক্ট্রন মাইক্রোগ্রাফ চিত্রটি ভেড়া আর ছাগলের মধ্যে দেখা পাওয়া 'প্যারাপক্স অরফ ভাইরাস'-এর বেশ কয়েকটি মরফোলজিক রূপকে তুলে ধরেছে।

প্রাণী ভাইরাস কিন্তু ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, কেবলমাত্র অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেই এদের অবয়ব ও চলাফেরা প্রত্যক্ষ করা যায়। এরা প্রধানত গোলাকার, দণ্ডাকার, বর্তুলাকার, সূত্রাকার, আবার কখনো কখনো পাউরুটির ন্যায়, বহুভুজাক্রিতি, ও ব্যাঙ্গাচির আকারেরও হয়ে থাকে।[৩৯][৪০][৪১][৪২] কিছু ভাইরাসের আকার আবার ব্যাখ্যা করাও দুস্কর। ভাইরাসের দেহের নিউক্লিক অ্যাসিডের বহিস্থ প্রোটিন আবরণীকে 'ক্যাপসিড' বলে। ক্যাপসিড আবরণীর ক্ষুদ্র অসংখ্য সম আকারের নিয়মিত সজ্জিত উপ-এককগুলিকে 'ক্যাপসোমিয়ার' বলে।

প্রাণী ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রকারভেদ[সম্পাদনা]

প্রাণী ভাইরাস ঘটিত ব্যাধি বা জুনোটিক রোগগুলোকে প্রধান তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:

  • মানুষ ও প্রাণী উভয়ের জন্যে সমান ক্ষতিকর (যেমন — প্লেগ, রেবিস)
  • মানুষের জন্যে বিশেষ ক্ষতিকর নয় কিন্তু প্রাণীর জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর (যেমন — পাসতিউরোলোসিস)
  • প্রাণীর জন্যে তেমন ক্ষতিকর নয় কিন্তু মানুষের জন্যে খুবই ক্ষতিকর (যেমন — কিউ ফিভার, হাইডাটিডোসিস)।

আবার, জুনোটিক রোগ মানুষের মাঝে বিভিন্ন ভাবে/উপায়ে সংক্রমিত হয় যেমন:

  • সরাসরি সংস্পর্শ বা দংশনের মাধ্যমে
  • প্রাণিজ দ্রব্য বা প্রাণী উপজাত দ্রব্য অথবা প্রাণিজ বর্জ্যপদার্থের সাহায্যে
  • সন্ধিপদী (অরথ্রোপড) বাহক অথবা খাদ্য, পানীয় বা বাতাসের মাধ্যমে।

সচেতনতা[সম্পাদনা]

বিশ্বজুড়ে প্রাণী ভাইরাস-ঘটিত যাবতীয় সংক্রামক রোগব্যাধির নিরসনে একমাত্র হাতিয়ার হল চিকিৎসা ও প্রতিষেধ-কে অবলম্বন করা। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেন ডাক্তার ও চিকিৎসা-বিজ্ঞানীরা, অপরিসীম অবদান রাখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা[৪৩] বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর এধরণের প্রাণী-ভাইরাস সৃষ্ট সংক্রামক ব্যাধিকে যথাসম্ভব নির্মূল করতে সচেতনতার প্রসারের দিকে গুরুত্ব প্রতিটি দেশ। এজন্যই ৬ জুলাই বিশ্ব জুনোসিস দিবস পালিত হয় প্রতিবছর।[৪৪][৪৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. 'ভাইরাস' — ডিএনএ, আরএনএ ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত অতি আণুবীক্ষণিক, অকোষীয় জৈব অণু
  2. Definition of "infection" from several medical dictionaries ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জুলাই ২০১৮ তারিখে — Retrieved on 2012-04-03
  3. "Utilizing antibiotics agents effectively will preserve present day medication"। News Ghana। ২১ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৫ 
  4. Alberto Signore (২০১৩)। "About inflammation and infection" (পিডিএফ)EJNMMI Research8 (3)। ১৮ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ 
  5. GBD 2013 Mortality and Causes of Death, Collaborators (১৭ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Global, regional, and national age-sex specific all-cause and cause-specific mortality for 240 causes of death, 1990-2013: a systematic analysis for the Global Burden of Disease Study 2013."Lancet385 (9963): 117–71। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(14)61682-2পিএমআইডি 25530442পিএমসি 4340604অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  6. "Infectious Disease, Internal Medicine"। Association of American Medical Colleges। ২০১৫-০২-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-২০Infectious disease is the subspecialty of internal medicine dealing with the diagnosis and treatment of communicable diseases of all types, in all organs, and in all ages of patients. 
  7. Belyi VA, Levine AJ, Skalka AM (২০১০)। "Sequences from ancestral single-stranded DNA viruses in vertebrate genomes: the parvoviridae and circoviridae are more than 40 to 50 million years old"Journal of Virology84 (23): 12458–62। ডিওআই:10.1128/JVI.01789-10পিএমআইডি 20861255পিএমসি 2976387অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  8. Philippe N, Legendre M, Doutre G, Couté Y, Poirot O, Lescot M, Arslan D, Seltzer V, Bertaux L, Bruley C, Garin J, Claverie JM, Abergel C (২০১৩)। "Pandoraviruses: amoeba viruses with genomes up to 2.5 Mb reaching that of parasitic eukaryotes"। Science341 (6143): 281–86। ডিওআই:10.1126/science.1239181পিএমআইডি 23869018বিবকোড:2013Sci...341..281P 
  9. Brandes, Nadav; Linial, Michal (২১ মে ২০১৬)। "Gene overlapping and size constraints in the viral world"Biology Direct11 (1): 26। ডিওআই:10.1186/s13062-016-0128-3পিএমআইডি 27209091পিএমসি 4875738অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  10. Murphy, p.ix
  11. Leppard, pp. 4–6
  12. Korsman NJ, van Zyl GU, Nutt L, Andersson MI, Preiser W (২০১২)। Virology: an illustrated colour text। Churchill Livingstone। পৃষ্ঠা 10–11। আইএসবিএন 9780443073670 
  13. Murphy, p.ix
  14. Leppard, pp. 4–6
  15. Korsman NJ, van Zyl GU, Nutt L, Andersson MI, Preiser W (২০১২)। Virology: an illustrated colour text। Churchill Livingstone। পৃষ্ঠা 10–11। আইএসবিএন 9780443073670 
  16. সুমন আলী (২৭ মে ২০২২)। "২০ দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত, প্রতিরোধে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?"bangla.thedailystar.net। ঢাকা। ২৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ 
  17. সুমন আলী (২১ মে ২০২২)। "মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও করণীয়"bangla.thedailystar.net। ঢাকা। ৩০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ 
  18. "About Monkeypox"CDC (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ মে ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৭ 
  19. "Signs and Symptoms Monkeypox"CDC (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ মে ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৭ 
  20. Goris N, Vandenbussche F, De Clercq K (২০০৮)। "Potential of antiviral therapy and prophylaxis for controlling RNA viral infections of livestock"। Antiviral Res.78 (1): 170–8। ডিওআই:10.1016/j.antiviral.2007.10.003পিএমআইডি 18035428 
  21. Kerr, P. J. (২০১২)। "Myxomatosis in Australia and Europe: A model for emerging infectious diseases"। Antiviral Research93 (3): 387–415। ডিওআই:10.1016/j.antiviral.2012.01.009পিএমআইডি 22333483 
  22. Carmichael L (২০০৫)। "An annotated historical account of canine parvovirus"। Journal of Veterinary Medicine, Series B52 (7–8): 303–11। ডিওআই:10.1111/j.1439-0450.2005.00868.xপিএমআইডি 16316389 
  23. Spitzer, A. L.; Parrish, C. R.; Maxwell, I. H. (১৯৯৭)। "Tropic determinant for canine parvovirus and feline panleukopenia virus functions through the capsid protein VP2"। The Journal of General Virology78 (4): 925–928। ডিওআই:10.1099/0022-1317-78-4-925অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 9129667 
  24. Hall, A. J., Jepson, P. D., Goodman, S. J. & Harkonen, T. "Phocine distemper virus in the North and European Seas — data and models, nature and nurture ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ জুন ২০২৩ তারিখে". Biol. Conserv. 131, 221–229 (2006)
  25. Murphy p. 426
  26. Suttle, C. A. (২০০৭)। "Marine viruses — major players in the global ecosystem"। Nature Reviews Microbiology5 (10): 801–812। এসটুসিআইডি 4658457ডিওআই:10.1038/nrmicro1750পিএমআইডি 17853907 
  27. Murphy pp. 442–443
  28. Murphy p. 324
  29. Murphy 325
  30. King, Andrew M.Q.; Lefkowitz, E.; Adams, M.J.; Carstens, E.B. (২০১২)। Virus Taxonomy Classification and Nomenclature of Viruses: Ninth Report of the International Committee on Taxonomy of Viruses। Elsevier। আইএসবিএন 978-0-12-384684-6। ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৭ 
  31. Fauquet, C.M.; Fargette, D. (২০০৫)। "International Committee on Taxonomy of Viruses and the 3,142 unassigned species"Virology Journal2: 64। ডিওআই:10.1186/1743-422X-2-64অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 16105179পিএমসি 1208960অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  32. Gibbs, A.J. (২০১৩)। "Viral taxonomy needs a spring clean; its exploration era is over"Virology Journal10: 254। ডিওআই:10.1186/1743-422X-10-254অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 23938184পিএমসি 3751428অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  33. "Banking Diverse Data – The Origins of ICTVdB"। ১৩ নভেম্বর ২০০৫। ১৩ নভেম্বর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৮ 
  34. Öhlund, Pontus; Lundén, Hanna; Blomström, Anne-Lie (২০১৯-০৪-০১)। "Insect-specific virus evolution and potential effects on vector competence"Virus Genes (ইংরেজি ভাষায়)। 55 (2): 127–137। আইএসএসএন 1572-994Xডিওআই:10.1007/s11262-018-01629-9পিএমআইডি 30632016পিএমসি 6458977অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  35. Stollar, Victor; Thomas, Virginia L. (এপ্রিল ১৯৭৫)। "An agent in the Aedes aegypti cell line (Peleg) which causes fusion of Aedes albopictus cells"। Virology64 (2): 367–377। ডিওআই:10.1016/0042-6822(75)90113-0পিএমআইডি 806166 
  36. Ulvila, J.; Vanha-Aho, L. M.; Rämet, M. (২০১১)। "Drosophila phagocytosis - still many unknowns under the surface"। APMIS119 (10): 651–662। এসটুসিআইডি 25041997ডিওআই:10.1111/j.1600-0463.2011.02792.xপিএমআইডি 21917002 
  37. "Ilya Mechnikov"। The Nobel Foundation। ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৮, ২০০৮ 
  38. Iwanaga, S.; Lee, B. L. (২০০৫)। "Recent advances in the innate immunity of invertebrate animals"। Journal of Biochemistry and Molecular Biology38 (2): 128–150। ডিওআই:10.5483/BMBRep.2005.38.2.128অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 15826490 
  39. Iyer LM, Balaji S, Koonin EV, Aravind L (এপ্রিল ২০০৬)। "Evolutionary genomics of nucleo-cytoplasmic large DNA viruses"Virus Research117 (1): 156–84। ডিওআই:10.1016/j.virusres.2006.01.009পিএমআইডি 16494962। ৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ 
  40. Sanjuán R, Nebot MR, Chirico N, Mansky LM, Belshaw R (অক্টোবর ২০১০)। "Viral mutation rates"Journal of Virology84 (19): 9733–48। ডিওআই:10.1128/JVI.00694-10পিএমআইডি 20660197পিএমসি 2937809অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  41. Krupovic M, Dolja VV, Koonin EV (জুলাই ২০১৯)। "Origin of viruses: primordial replicators recruiting capsids from hosts" (পিডিএফ)Nature Reviews. Microbiology17 (7): 449–58। এসটুসিআইডি 256744818 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1038/s41579-019-0205-6পিএমআইডি 31142823। ২৮ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ 
  42. McClintock B (জুন ১৯৫০)। "The origin and behavior of mutable loci in maize"Proceedings of the National Academy of Sciences of the United States of America36 (6): 344–55। ডিওআই:10.1073/pnas.36.6.344অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 15430309পিএমসি 1063197অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:1950PNAS...36..344M 
  43. "Milestones for health over 70 years"www.euro.who.int (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-১৭। ২০২০-০৪-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৭ 
  44. "আজ বিশ্ব জুনোসিস দিবস ! জেনে নিন বিস্তারিত"। ২০২৩-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০৬ 
  45. "জানেন কি এই জুনোসিস ডে কি? মানবদেহে ভাইরাস সংক্রমণের সাথে এর কি সম্পর্ক রয়েছে, জেনে নিন সকল তথ্য"। ২০২৩-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০৬ 

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  • Leppard, Keith; Nigel Dimmock; Easton, Andrew (২০০৭)। Introduction to Modern Virology। Blackwell Publishing Limited। আইএসবিএন 978-1-4051-3645-7 
  • Mahy B. W.J.; Van Regenmortel MHV, সম্পাদকগণ (২০০৯)। Desk Encyclopedia of General Virology। Oxford: Academic Press। আইএসবিএন 978-0-12-375146-1 
  • Murphy, FA; Gibbs, EPJ; Horzinek, MC; Studdart MJ (১৯৯৯)। Veterinary Virology। Boston: Academic Press। আইএসবিএন 978-0-12-511340-3 
  • King AM, Lefkowitz EJ, Mushegian AR, Adams MJ, Dutilh BE, Gorbalenya AE, Harrach B, Harrison RL, Junglen S, Knowles NJ, Kropinski AM, Krupovic M, Kuhn JH, Nibert ML, Rubino L, Sabanadzovic S, Sanfaçon H, Siddell SG, Simmonds P, Varsani A, Zerbini FM, Davison AJ (সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Changes to taxonomy and the International Code of Virus Classification and Nomenclature ratified by the International Committee Taxonomy of Viruses (2018)" (পিডিএফ)Archives of Virology163 (9): 2601। এসটুসিআইডি 21670772ডিওআই:10.1007/s00705-018-3847-1পিএমআইডি 29754305 
  • Bourhy H, Gubala AJ, Weir RP, Boyle DB (২০০৯)। Mahy BWJ, van Regenmortel MHV, সম্পাদকগণ। Desk Encyclopædia Animal and Bacterial Virology। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 23। আইএসবিএন 978-0-12-375144-7 
  • Rowlands DJ (২০০৯)। Mahy BWJ; van Regenmortel MHV, সম্পাদকগণ। Desk Encyclopædia Animal and Bacterial Virology। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 131–139। আইএসবিএন 978-0-12-375144-7 
  • Miarian C. Horzinek; Murphy, Frederick A.; Studdert, Michael J. (১৯৯৯)। Veterinary virology। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 563–568। আইএসবিএন 0-12-511340-4 
  • Brinton MA, Snijder EJ (২০০৯)। Mahy BWJ, van Regenmortel MHV, সম্পাদকগণ। Desk Encyclopedia Animal and Bacterial Virology। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 33–43। আইএসবিএন 978-0-12-375144-7 
  • Edward J Dubovi; MacLachlan NJ (২০১০)। Fenner's Veterinary Virology, Fourth Edition। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 395। আইএসবিএন 978-0-12-375158-4 
  • Glass RI, Bresee J, Jiang B, ও অন্যান্য (২০০১)। "Gastroenteritis viruses: an overview"। Gastroenteritis Viruses। Novartis Foundation Symposia। 238। পৃষ্ঠা 5–19; discussion 19–25। আইএসবিএন 978-0-470-84653-7ডিওআই:10.1002/0470846534.ch2পিএমআইডি 11444035 
  • Edward J Dubovi; MacLachlan NJ (২০১০)। Fenner's Veterinary Virology, Fourth Edition। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 365। আইএসবিএন 978-0-12-375158-4 
  • Edward J Dubovi; MacLachlan NJ (২০১০)। Fenner's Veterinary Virology, Fourth Edition। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 283। আইএসবিএন 978-0-12-375158-4 
  • Roy P. (২০০৯)। Mahy BWJ; van Regenmortel MHV, সম্পাদকগণ। Desk Encyclopedia Animal and Bacterial Virology। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 43–50। আইএসবিএন 978-0-12-375144-7 
  • Mankertz A. (২০০৯)। Mahy BWJ; van Regenmortel MHV, সম্পাদকগণ। Desk Encyclopedia Animal and Bacterial Virology। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 89–90। আইএসবিএন 978-0-12-375144-7 
  • "ICTV Master Species List 2018b.v2"International Committee on Taxonomy of Viruses (ICTV)। মার্চ ৩০, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৯ 
  • Edward J Dubovi; MacLachlan NJ (২০১০)। Fenner's Veterinary Virology, Fourth Edition। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 169–170। আইএসবিএন 978-0-12-375158-4 
  • Edward J Dubovi; MacLachlan NJ (২০১০)। Fenner's Veterinary Virology, Fourth Edition। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 243–274। আইএসবিএন 978-0-12-375158-4 
  • Swanepoel R, Burt FJ (২০০৯)। Mahy BWJ, van Regenmortel MHV, সম্পাদকগণ। Desk Encyclopedia Animal and Bacterial Virology। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 117–124। আইএসবিএন 978-0-12-375144-7 
  • Edward J Dubovi; MacLachlan NJ (২০১০)। Fenner's Veterinary Virology, Fourth Edition। Boston: Academic Press। পৃষ্ঠা 302। আইএসবিএন 978-0-12-375158-4 
  • Leppard, Keith; Nigel Dimmock; Easton, Andrew (২০০৭)। Introduction to Modern Virology। Blackwell Publishing Limited। পৃষ্ঠা 450আইএসবিএন 978-1-4051-3645-7 
  • Fenner, Frank J.; Gibbs, E. Paul J.; Murphy, Frederick A.; Rott, Rudolph; Studdert, Michael J.; White, David O. (১৯৯৩)। Veterinary Virology (2nd ed.)। Academic Press, Inc। আইএসবিএন 0-12-253056-X 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]