প্রমিথিয়াম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
61 নিওডিমিয়ামপ্রমিথিয়ামসামারিয়াম
-

Pm

Np
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
নাম, প্রতীক, পারমাণবিক সংখ্যা প্রমিথিয়াম, Pm, 61
রাসায়নিক শ্রেণী lanthanides
Group, Period, Block n/a, 6, f
Appearance metallic
পারমাণবিক ভর [145](0) g/mol
ইলেক্ট্রন বিন্যাস [Xe] 4f5 6s2
প্রতি শক্তিস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা 2, 8, 18, 23, 8, 2
ভৌত বৈশিষ্ট্য
দশা কঠিন
ঘনত্ব (সাধারণ তাপ ও চাপে) 7.26 g/cm³
গলনাঙ্ক 1315 K
(1042 °C, 1908 °F)
স্ফুটনাঙ্ক 3273 K
(3000 °C, 5432 °F)
গলনের লীন তাপ 7.13 kJ/mol
বাষ্পীভবনের লীন তাপ 289 kJ/mol
পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য
কেলাসীয় গঠন hexagonal
জারণ অবস্থা 3
(mildly basic oxide)
তড়িৎ ঋণাত্মকতা ? 1.13 (পাউলিং স্কেল)
আয়নীকরণ শক্তি
(বিস্তারিত)
প্রথম: 540 কিলোজুল/মোল
দ্বিতীয়: 1050 কিলোজুল/মোল
তৃতীয়: 2150 কিলোজুল/মোল
পারমাণবিক ব্যাসার্ধ 185 pm
Atomic radius (calc.) 205 pm
অন্যান্য বৈশিষ্ট্য
Magnetic ordering no data
Electrical resistivity (r.t.) est. 0.75 µΩ·m
তাপ পরিবাহিতা (300 K) 17.9 W/(m·K)
Thermal expansion (r.t.) (α, poly)
est. 11 µm/(m·K)
ইয়ং এর গুণাঙ্ক (α form) est. 46 GPa
Shear modulus (α form) est. 18 GPa
Bulk modulus (α form) est. 33 GPa
Poisson ratio (α form) est. 0.28
সি এ এস নিবন্ধন সংখ্যা 7440-12-2
কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সমস্থানিক
প্রধান নিবন্ধ: promethiumের সমস্থানিক
iso NA half-life DM DE (MeV) DP
145Pm syn 17.7 y ε 0.163 145Nd
146Pm syn 5.53 y ε 1.472 146Nd
β- 1.542 146Sm
147Pm syn 2.6234 y β- 0.224 147Sm
References
প্রমেথিয়ামের ইলেক্ট্রন শেল

পর্যায় সারণীর ৬১ তম মৌলের নাম প্রমিথিয়াম (ইংরেজি: Promethium)। এই রাসায়ানিক মৌলের প্রতীক Pm। টেকনেসিয়ামের পরে ইহাই একমাত্র মৌল যার সকল আইসোটোপ তেজষ্ক্রিয় কিন্তু স্থির ধরনের। প্রমিথিয়াম ল্যান্থানাইড গোত্রের মৌল।

আবিষ্কার[সম্পাদনা]

প্রমিথিয়ামের বর্ণালী রেখা

১৯০২ সালের রসায়নবিদ বহুস্লাভ ব্রাউনার মতামত দেন নিয়োডাইমিয়াম (৬০) ও সামারিয়াম (৬২) মৌলদ্বয়ের মাঝে একটি মৌল থাকতে পারে। ১৯১৪ সালে হেনরি মোসলে আণবিক ভর নিয়ে গবেষণার সময় বক্তব্যটির সত্যতা নিশ্চিত করেন। ১৯২৬ সালে ইটালি ও মার্কিন গবেষক দল ৬১তম মৌলের অস্তিত্ব আবিষ্কারের কথা ঘোষণা দিলেও পরবর্তীকালে এই দাবি ভুল বলে প্রমাণিত হয়। ১৯৩৮ সালে ওহাইয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ে পারমাণবিক পরীক্ষার সময় নতুন ধরনের তেজষ্ক্রিয়তার সন্ধান লাভ করেন গবেষকরা। ১৯৪৫ সালে ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরোটারির গবেষণাতে প্রথমবারের মত প্রমিথিয়ামের সন্ধান পাওয়া যায় এবং নামকরণ করা হয়।

নামকরণ[সম্পাদনা]

প্রমিথিয়াম শব্দটি গ্রীক পুরাণের টাইন প্রমেথিউস থেকে নেয়া হয়েছে। প্রমেথিউস মানব জাতির জন্য মাউন্ট অলিম্পাস থেকে আগুন পৃথিবীতে চুরি করে নিয়ে আসে। এই আগুন মানব জাতির জন্য যেমন উপকারি তেমনি মানবসভ্যতা ধ্বংসেও ব্যবহার হয়। তেজষ্ক্রিয় মৌল প্রমিথিয়াম মানব সভ্যতার জন্য যেমন কাজে লাগে তেমন ক্ষতিকরও বটে। তাই এরুপ নামকরণ করা হয়।