ধুতি

ধুতি ভারতে পুরুষদের একটি ঐতিহ্যবাহী পোশাক। ভারতের বিভিন্ন ভাষায় এটি ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত: যেমন হিন্দীতে ধোতি, অসমিয়াতে সুরিয়া, তামিলে ভাইত্তি বা ভেসতি, মরাঠিতে ধুতার, পাঞ্জাবিতে লাছা আর তেলুগুতে পানছা। এটি সাধারণত সেলাইবিহীন ৭ হাত লম্বা চতুষ্কোণ একখণ্ড কাপড়, কোমর ও পা জড়িয়ে থাকে এবং কোমরের কাছে গিঁট দিয়ে রাখা হয়।
উত্তর ভারতে ধুতি কুর্তা সহযোগে পরিধান করা হয় এবং এই সজ্জাকে পূর্বাঞ্চলের লোকেরা সাধারণভাবে ধুতি-কোর্তা বা ধুতি-পাঞ্জাবিও বলে থাকে। লুঙ্গি ও ধুতির মত একটি পোশাক, তবে তা সাধারণ দৈনন্দিন ব্যবহারে পরা হয়।
ভারতীয় সংস্কৃতিতে নারীদের যেমন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শাড়ির পরিধান করার প্রথা আছে তেমনই পুরুষদের ধুতি পরার প্রথা আছে। তাই শাড়ির পুংলিঙ্গ বা পুরুষ প্রতিরূপ হিসেবে ধুতিকে চিহ্নিত করা হয়।[১] পীতাম্বর হল একটি হলুদ সিল্কের ধুতি যা শুভ অনুষ্ঠানে পরা হয়।[২][৩] ধুতিতে সাধারণত একটি পাঁচ গজের কাপড় থাকে। তবে এটিকে আধুনিক প্রিস্টিচ করা "ধুতি প্যান্ট" -এর সাথে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। ধুতি প্যান্ট পরার প্রবণতা আজকাল শিশুদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এবং সাধারণ হয়ে উঠেছে।[৪][৫][৬]
ধুতি শব্দটি সংস্কৃত ধৌতি শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ "শুদ্ধ করা" বা "ধৌত করা"।[৭] এই শব্দের মাধ্যমে পরিষ্কার পোশাককে বোঝায় যা প্রতিদিনের পোশাক হিসাবে পরিধান করা হয়।[৮] প্রাচীন অন্তরিয়া পরিধেয় বর্তমানে বিবর্তিত হয়ে ধুতির আকার নিয়েছে।[৮] ধুতি দৃঢ়ভাবে পরিধান করার জন্য উভয় পায়ে মোড়ানো হয়। সাধারণত চাষি ও যুদ্ধকলা অনুশীলনকারীরা এইভাবে ধুতি পরেন।[৯][১০]
অনেক রক্ষণশীল জৈন পুরুষ যখন পূজার জন্য দেরাসার বা বাসদীতে যান, তখন তারা পঞ্চা পরিধান করেন যা ধুতির এক প্রকারভেদ। জৈনরা বিশ্বাস করে সেলাইবিহীন পোশাক "দূষণের জন্য কম প্রবেশযোগ্য" এবং তাই অন্যান্য পোশাকের তুলনায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের তারা এই ধরনের ধুতিজাতীয় পোশাক বেশি পরিধান করে।[১১]
মহর্ষি মহেশ যোগী সাদা সিল্কের ধুতি পরার জন্য পরিচিত ছিলেন।[১২]
ধুতি জাতিগতভাবে পাঞ্জাব অঞ্চলের শিখ কৃষক, পালোয়ান এবং মেষপালকদের দ্বারা পরিধান করা হত কিন্তু পাঞ্জাব সুবাহ আন্দোলনের প্রচলিত আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কারণে এটির পরিধান নিষেধ করা হয়।[১৩][১৪]
১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত দক্ষিণ ক্যানারিজ খ্রিস্টান পুরুষরা চার্চের বিবাহ এবং অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানেও ধুতি পরতেন কিন্তু পরে এই পরিধান পরিবর্তন হয় এবং তারপর থেকে হবু বর কালো স্যুট এবং টাই পরিধান করে।[১৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Avasthi, Vivek (১৪ জানুয়ারি ২০২০)। "Sarees for women, dhoti for men: Officer's dress code for Kashi temple irks minister"। The Federal (English ভাষায়)। ৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২১।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ Henry, Baden Powell (১৮৭২)। Hand-book of the Economic Products of the Punjab (etc.): Forming ... to the hand-book of the economic products of the Punjab (ইংরেজি ভাষায়)। Engineering College Press। পৃ. ৬৫, ৬৭।
- ↑ Birdwood, George Christopher Molesworth (১৮৮৪)। The Industrial Arts of India (ইংরেজি ভাষায়)। Chapman and Hall। পৃ. ৩৬৩।
- ↑ "Doting Upon the Return of Dhoti Pants"।
- ↑ "Latest Fashion, Trends and Style for Dhoti Kurta for Girls"। ১৬ মে ২০২২।
- ↑ "What are dhoti pants"।
- ↑ "Sanskrit - Asien.net"।
- 1 2 Govind Sadashiv Ghurye (1951) Indian Costume
- ↑ Indian Costume by Govind Sadashiv Ghurye 1966
- ↑ Ancient Indian Costume By Roshen Alkazi 1996
- ↑ Cort, John E (২০০১)। Jains in the World: Religious Values and Ideology in India। Oxford University Press। পৃ. ২২১। ডিওআই:10.1093/0195132343.001.0001। আইএসবিএন ৯৭৮০১৯৫১৩২৩৪২।
- ↑ Koppel, Lily (৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Maharishi Mahesh Yogi, a Guide On the Beatles' Spiritual Path, Dies"। New York Times। পৃ. C.১০।
- ↑ Brard, Gurnam Singh Sidhu (২০০৭)। East of Indus: My Memories of Old Punjab। আইএসবিএন ৯৭৮৮১৭০১০৩৬০৮।
- ↑ Lamba, Krishan Gopal (১৯৯৯)। Dynamics of Punjabi Suba Movement। আইএসবিএন ৯৭৮৮১৭৬২৯১২৯৩।
- ↑ Silva, Severine; Fuchs, Stephen (১৯৬৫)। "The Marriage Customs of the Christians in South Canara, India"। Asian Folklore Studies। ২৪ (2): ১–৫২। ডিওআই:10.2307/1177555। জেস্টোর 1177555।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]| এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |