দোদ্দা গণেশ
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | দোদ্দানারাসিয়া গণেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক, ভারত | ৩০ জুন ১৯৭৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২১০) | ২ জানুয়ারি ১৯৯৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ এপ্রিল ১৯৯৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র ওডিআই (ক্যাপ ১০২) | ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪ - ২০০৫ | কর্ণাটক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
দোদ্দানারাসিয়া গণেশ (কন্নড়: ದೊಡ್ಡ ಗಣೇಶ್; জন্ম: ৩০ জুন, ১৯৭৩) মহীশূরের বেঙ্গালুরু এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন দোদ্দা গণেশ।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দোদ্দা গণেশের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দোদ্দা গণেশ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার ছিলেন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ঘরোয়া পর্যায়ে জাভাগাল শ্রীনাথ, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, অনিল কুম্বলে ও সুনীল জোশী’র ন্যায় জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় সমৃদ্ধ কর্ণাটক দলের অন্যতম সফল বোলার ছিলেন।
সীমিত পর্যায়ে টেস্টে অংশগ্রহণের সুবাদে আশানুরূপ খেলা উপহার দিতে পারেননি দোদ্দা গণেশ। ৫৭.৪০ গড়ে মাত্র পাঁচ উইকেট লাভে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১০৪ খেলায় অংশ নিয়ে ৩৬৫ উইকেট পান। তন্মধ্যে, কর্ণাটকের পক্ষে ২৭.০৯ গড়ে ২৯৯ উইকেট দখল করেছিলেন।[১]
খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলার পাশাপাশি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। কেরালার উইকেট-রক্ষক কে. এন. অনন্তপদ্মনভন ও ভারতের বিশ্বকাপ বিজয়ী উইকেট-রক্ষক সৈয়দ কিরমানী’র খেলা তাকে ভীষণভাবে প্রলুদ্ধ করে। গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ তার বোলিং প্রতিভা সম্পর্কে অবগত হন ও চিকনা ক্লাবে খেলার জন্যে সুপারিশ করেন। বালেহনারে অবস্থানকালে ইসমাইলের সাথে তিনিও খেলতেন। কিন্তু, সুযোগের সীমাবদ্ধতায় হতাশ হয়ে পড়েন। এরপর, তিনি এভি জয়প্রকাশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বোলার হিসেবে নিজেকে বিকশিত করতে থাকেন। এরফলে, কর্ণাটক দলের পক্ষে খেলার পথ সুগম হয়।[২]
স্বর্ণালী সময়
[সম্পাদনা]১৯৯০-এর দশকটি কর্ণাটক ক্রিকেটে স্বর্ণালী যুগ হিসেবে ধরে নেয়া যায়। জাভাগল শ্রীনাথ, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, অনিল কুম্বলে ও সুনীল জোশী’র উপস্থিতিতে এখানেও তিনি সীমিত পর্যায়ের সুযোগ পেতেন। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে কর্ণাটক দলের পক্ষে অভিষেক ঘটলেও দলে তিনি স্থায়ীভাবে আসন গেড়ে নিতে পারেননি। নিচুস্তর থেকে আসায় তাকে দলীয় সঙ্গী ও শুভাকাঙ্খীদের সহযোগিতায় অগ্রসর হতে হয়েছিল।
১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের ইরানি কাপ প্রতিযোগিতায় বাদ-বাকী ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে দূর্দান্ত খেলা উপহার দেন। জাতীয় দলের তারকা ভি. ভি. এস. লক্ষ্মণ ও নবজ্যোৎ সিং সিঁধু’র ন্যায় ব্যাটসম্যানসহ ১১ উইকেট লাভের কৃতিত্ব দেখান।[৩] সুন্দর এ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ দক্ষিণ আফ্রিকা গমনার্থে তাকে ভারত দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন দোদ্দা গণেশ। ২ জানুয়ারি, ১৯৯৭ তারিখে কেপ টাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৭ এপ্রিল, ১৯৯৭ তারিখে জর্জটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭ তারিখে বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার।
১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে একমাত্র ওডিআই খেলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। পাঁচ ওভারে ১/২০ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে ভারত দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। কেপ টাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।[৪] প্রথম ইনিংসে ২৪ ওভার বোলিং করেও কোন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে গ্যারি কার্স্টেনকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে প্রথম উইকেট লাভে সক্ষম হন। ঐ খেলায় তার দল শোচনীয়ভাবে পরাভূত হয়েছিল। জোহেন্সবার্গের পরের টেস্টেও তাকে খেলানো হয়। ঐ খেলায় তিনি মাত্র ৯ ওভার বোলিং করার সুযোগ পান। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।
ঐ সফরে তেমন ভালো খেলা উপহার দিতে না পারলেও ১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়। বার্বাডোসের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। উভয় ইনিংসে কার্ল হুপারের উইকেটসহ চার উইকেট লাভ করেন। মাত্র ১২০ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ভারত দল ৮১ রানে গুটিয়ে যায়।[৫] গায়ানায় বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টও তিনি খেলেছিলেন।
অবসর
[সম্পাদনা]আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উপেক্ষিত হলেও কর্ণাটক দলের প্রধান বোলিং আক্রমণ পরিচালনাকারী ছিলেন তিনি। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত দীর্ঘ খেলোয়াড়ী জীবনে ৩৬৫ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, ২০০২-০৩ মৌসুমে হরিয়ানার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৭/৩৬ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। খেলায় তিনি ৮৯ রান খরচায় ১২ উইকেট পেয়েছিলেন।[৬] এছাড়াও, ঐ বছরগুলোয় তার ব্যাটিংয়ের মানও বেশ ঈর্ষণীয় পর্যায়ের ছিল। একই মৌসুমে ৪১.২৩ গড়ে ৫৩৬ রান তুলেন।[৭] তন্মধ্যে, বিদর্ভের বিপক্ষে ১১৯ রান তুলেন। এটিই তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র শতরানের ইনিংস ছিল।[৮]
শেষদিকে তার বোলিংয়ের মান উত্তরণ ঘটলেও আর তাকে জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন তিনি। ভারতীয় দলের প্রধান কোচের জন্যে আবেদন করেন। ২০১২-১৩ মৌসুমে গোয়া দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।[৯]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]খেলোয়াড়ী জীবন শেষে রাজনীতির দিকে ধাবিত হন ও আগ্রহী হয়ে উঠেন। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ. ডি. দেবগৌড়া’র নেতৃত্বাধীন জনতা দলে যোগদান করেন তিনি।
অক্টোবর, ২০১৬ সালে বিগ বস কানাড়া ৪ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন ও ২ সপ্তাহ টিকেছিলেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Dodda Ganesh bowling for teams
- ↑ Dodda Ganesh announces retirement
- ↑ Karnataka v Rest of India 1996-97
- ↑ South Africa v India, Cape Town 1996-97
- ↑ West Indies v India, Bridgetown 1996-97
- ↑ Haryana v Karnataka 2002-03
- ↑ Dodda Ganesh batting by season
- ↑ Vidarbha v Karnataka 2002-03
- ↑ Dodda Ganesh: A fast bowler who was rushed into international cricket
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- ডেভিড জনসন
- দিলীপ সরদেশাই
- ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা
- ভারতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে দোদ্দা গণেশ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে দোদ্দা গণেশ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)