অ্যাঙ্গুইলা জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যাঙ্গুইলা
দলের লোগো
ডাকনামরংধনু যোদ্ধা
অ্যাসোসিয়েশনঅ্যাঙ্গুইলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনকনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা)
প্রধান কোচস্টার্ন জন[১]
অধিনায়করায়ান লিডি
সর্বাধিক ম্যাচরায়ান লিডি (৩১)
শীর্ষ গোলদাতাগির্ডন কনর (৫)
মাঠরোনাল্ড ওয়েবস্টার পার্ক
ফিফা কোডAIA
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২০৯ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[২]
সর্বোচ্চ১৮৯ (জুন–সেপ্টেম্বর ১৯৯৭)
সর্বনিম্ন২১০ (নভেম্বর ২০১৯)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২৩৫ হ্রাস ৫ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[৩]
সর্বোচ্চ১৯৫ (১৯৮৫)
সর্বনিম্ন২৩৪ (২০১৭)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 অ্যাঙ্গুইলা ০–১ ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ 
(অ্যাঙ্গুইলা; অক্টোবর ১৯৮৫)[৪]
বৃহত্তম জয়
 অ্যাঙ্গুইলা ৪–১ মন্টসেরাট 
(সেন্ট মার্টিন; ৮ ফেব্রুয়ারি ২০০১)
বৃহত্তম পরাজয়
 ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ১৫–০ অ্যাঙ্গুইলা 
(কুভা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো; ১০ নভেম্বর ২০১৯)

অ্যাঙ্গুইলা জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Anguilla national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অ্যাঙ্গুইলার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম অ্যাঙ্গুইলার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যাঙ্গুইলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৯৬ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনকাকাফের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[৫] ১৯৮৫ সালের অক্টোবর মাসে, অ্যাঙ্গুইলা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; অ্যাঙ্গুইলায় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে অ্যাঙ্গুইলা ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

৪,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট রোনাল্ড ওয়েবস্টার পার্কে রংধনু যোদ্ধা নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় অ্যাঙ্গুইলার রাজধানী দ্য ভ্যালিতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন স্টার্ন জন এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন রোরিং লায়ন্সের গোলরক্ষক রায়ান লিডি

অ্যাঙ্গুইলা এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, কনকাকাফ গোল্ড কাপেও অ্যাঙ্গুইলা এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি।

রায়ান লিডি, গির্ডন কনর, আদোনিয়াহ রিচার্ডসন, রিচার্ড ও'কনর এবং হাভিল ব্রুকের মতো খেলোয়াড়গণ অ্যাঙ্গুইলার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৭ সালের জুন মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে অ্যাঙ্গুইলা তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১৮৯তম) অর্জন করে এবং ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ২১০তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অ্যাঙ্গুইলার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১৯৫তম (যা তারা ১৯৮৫ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২৩৪। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২০৭ অপরিবর্তিত  ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ৮০৭.৫৭
২০৮ অপরিবর্তিত  মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ৭৯৬.৭৮
২০৯ অপরিবর্তিত  অ্যাঙ্গুইলা ৭৮৫.৬৯
২১০ অপরিবর্তিত  সান মারিনো ৭৪১.৬১
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[৩]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২৩৩ অপরিবর্তিত  ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ ৫৭১
২৩৪ অপরিবর্তিত  মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্য ৫৬৪
২৩৫ হ্রাস  অ্যাঙ্গুইলা ৫৪৮
২৩৬ অপরিবর্তিত  কিরিবাস ৫৪৫
২৩৭ অপরিবর্তিত  টোঙ্গা ৫২৫

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪
ফ্রান্স ১৯৯৮
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ উত্তীর্ণ হয়নি
জার্মানি ২০০৬
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ ১৬
ব্রাজিল ২০১৪
রাশিয়া ২০১৮
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ১০ ৪১

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. https://wired868.com/2020/11/07/anguilla-snap-up-stern-ex-warriors-will-lead-minnows-into-2022-wcq-campaign/
  2. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  3. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  4. "Elo Ratings: Anguilla"। Elo Ratings। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৯ 
  5. "This Week in CONCACAF History: April 10–16"। CONCACAF.com (2011)। এপ্রিল ১৯, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৩, ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]