বুধাদিত্য মুখার্জ্জী
বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | ১৯৫৫ (বয়স ৬৮–৬৯) দুর্গ, ভারত |
উদ্ভব | ভারত |
ধরন | ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত |
পেশা | সেতারবাদক, সুরবাহার বাদক |
বাদ্যযন্ত্র | সুরবাহার, সেতার |
কার্যকাল | ১৯৬১–বর্তমান |
ওয়েবসাইট | www |
পুরস্কার | পদ্মভূষণ (2019)[১] |
পণ্ডিত বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায়[২] ইমদাদখানি ঘরানার শাস্ত্রীয় সেতার এবং সুরবাহার বাদক,[৩] খেয়াল গায়কীর রাগ ও আলাপের সূক্ষ্ম কাজগুলিকে শ্রুতিনন্দন উচ্চ গতির যন্ত্রমূর্ছনার রূপান্তর, সহজেই তাঁকে চিনিয়ে দেয়। তিনিই ইতিহাসের প্রথম শিল্পী (শুধু সংগীতশিল্পী নয়), যিনি লন্ডনের হাউস অফ কমন্সে বাজনা পরিবেশন করে এক অনন্য বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছেন। মহান বীণা বাদক বালাচন্দ্র তাঁকে "শতাব্দীর সেতার শিল্পী" হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ১৯৭০ এর দশক থেকে শুরু করে ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং প্রায় পুরো ইউরোপে হাজার হাজার সঙ্গীতানুষ্ঠানে পারফর্ম বাজিয়েছেন।[৪]
প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
তিনি ১৯৫৫ সালে ভারতের ভিলাইতে, একটি সংগীত পরিবারে, জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে তাঁর বাবা ভিলাই ইস্পাত কারখানার এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর বাবা আচার্য পণ্ডিত বিমলেন্দু মুখোপাধ্যায় নানারকম বাদ্যযন্ত্রে প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন, এর মধ্যে ছিল সেতার, সরোদ, সুরবাহার, রুদ্রবীণা, সারেঙ্গি এবং কণ্ঠ সংগীত। প্রবীণ মুখার্জি প্রায়শই তাঁর বাড়িতে প্রবীণ সংগীতজ্ঞদের আপ্যায়িত করতেন। একটি ভিডিওতে, বুধাদিত্য স্মরণ করেছেন, তিনি কিংবদন্তি গায়ক ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খানের কোলে বসেছিলেন।
বুধাদিত্য যখন পাঁচ বছর বয়সী ছিলেন, তখন। বিমলেন্দু মুখোপাধ্যায় তাঁকে একটি ছোট সেতার দিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন এবং তার পরে বেশ কয়েক দশক ধরে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
১৯৭০ সালে, তিনি দুটি জাতীয় স্তরের সংগীত প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন, এবং এর পরেই, প্রথমে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায় এবং তারপরে দক্ষিণ ভারতীয় বীণা বাদক বালাচন্দ্র দ্বারা বিস্তর প্রশস্তি ও সমর্থন পান। বালাচন্দ্র তাঁকে "শতাব্দীর সেতার শিল্পী" বলে ঘোষণা করেছিলেন।[৫] ১৯৭৫ সালে, বুধাদিত্য অল ইন্ডিয়া রেডিওর গ্রেড-এ শিল্পী হয়ে ওঠেন (১৯৮৬ সালে তিনি শীর্ষ শ্রেণীতে পদোন্নতি পেয়েছিলেন)। ৭০ এর দশকের সময় তিনি ছিলেন প্রথম সেতার বাদক, যিনি টপ্পা (পুনরাবৃত্ত উচ্চ গতির তানের সাথে একধরনের কন্ঠ সংগীত) বাজিয়েছিলেন, এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত, সম্ভবত তিনিই একমাত্র সেতার বাদক, যিনি কার্যকরীভাবে টপ্পা সেতারবাদনে উপস্থাপন করেছেন। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, রায়পুর থেকে প্রথম শ্রেণির ধাতব প্রকৌশলী হিসাবে স্নাতক হন, ইতিমধ্যেই তিনি তখন শিল্পী হিসেবে নাম করেছেন। শোনা গেছে, কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন, তিনি একটি অনুষ্ঠান থেকে বিমানে ফিরে সোজা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। তাঁর পুত্র বিজয়াদিত্য ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করে এবং ৫ বছর বয়স থেকে বিমলেন্দু এবং বুধাদিত্যর সাথে প্রশিক্ষণ শুরু করেছিল।
সঙ্গীত জীবন[সম্পাদনা]
বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায় ব্যাপকভাবে বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন, ২৫টিরও বেশি দেশে সঙ্গীতানুষ্ঠান করেছেন। এর সাথে সাথে, ১৯৮৩ থেকে তিনি ভেনিসের ইস্তিটুটো ইন্টারকালচারাল ডি স্টুডি মিউজিকালি-তে (তবলা বাদক শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় এর সাথে), এবং ১৯৯৫ থেকে রটার্ডাম সঙ্গীতবিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তিনি প্রচুর সংখ্যায় রেকর্ডও করেছেন, এবং ৪৭ বছর বয়সে, সিডি, এলপি এবং ক্যাসেট নিয়ে তার রেকর্ডের সংখ্যা ছিল ঠিক ৪৭ টি। ১৯৯৫ সালে, তিনি সুরবাহার (বাস সেতার) বাজিয়ে রেকর্ডিং শুরু করেছিলেন, প্রথমে কলকাতার বিঠোভেন রেকর্ডসের জন্য দুভাগের সিরিজ ( ব্রিলিয়েন্স অফ সাউন্ড ) (ইয়ামান এবং মারওয়া রাগ), তারপরে আরপিজি / এইচএমভির জন্য রাগ কোমল রে আশাভরীতে আমার বাবা, আমার গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা, (এসটিসিএস ৮৫০৩৬২)। ২০০৩ সালে, তিনি প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতবিদ যিনি একটি বর্ধিত সিডি প্রকাশ করেছিলেন: কানসাসের, রাইম রেকর্ডস এর , রাগ পিলু এবং ভৈরবী সমন্বিত বাংলায় ঠুংরীয়াঁ (আরসিডি-২২২৪)।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ List of Padma Bhushan award recipients (2010–2019)
- ↑ https://www.bimhuis.nl/en/calendar/pandit-budhaditya-mukherjee-2/
- ↑ Lata, Swarn (২০১৩)। The Journey of the Sitar in Indian Classical Music : Origin, History, and Playing Styles। আইএসবিএন 1475947070।
- ↑ https://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/I-have-never-begged-anyone-for-concerts-Pandit-Budhaditya-Mukherjee/articleshow/47398390.cms
- ↑ "I have never begged anyone for concerts: Pandit Budhaditya M .. Read more at: http://timesofindia.indiatimes.com/articleshow/47398390.cms?utm_source=contentofinterest&utm_medium=text&utm_campaign=cppst"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৯।
|title=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)