রাজচন্দ্র বসু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রাজচন্দ্র বসু
রাজচন্দ্র বসু
জন্ম(১৯০১-০৬-১৯)১৯ জুন ১৯০১
মৃত্যু৩১ অক্টোবর ১৯৮৭(1987-10-31) (বয়স ৮৬)
ফোর্ট কলিন্স, কলোরাডো
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মাতৃশিক্ষায়তনকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণসমিতির পরিকল্পনা তত্ত্ব[১]
বোস-মেসনার অ্যালজেব্রা
লাতিন বর্গের উপর ইউলার এর অনুমান
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রগণিত
পরিসংখ্যান
প্রতিষ্ঠানসমূহকলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়
নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাপেল হিল

রাজ চন্দ্র বসু(১৯ জুন ১৯০১ - ৩১ অক্টোবর ১৯৮৭) ছিলেন একজন ভারতীয়-আমেরিকান গণিতবিদ ও পরিসংখ্যানবিদ।[১] তিনি বোস-মেসনার অ্যালজেব্রা, সমিতির পরিকল্পনা তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত। তিনি এস.এস. শ্রীকান্দি ও ই.টি. পার্কারের সাথে মিলে ল্যাটিন বর্গের ১৭৮২ সালের লিওনার্ট অয়লার অনুমানকে ভুল প্রমাণ করেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

রাজচন্দ্র বসু ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের হোসঙ্গাবাদে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তাঁর পিতা ডাক্তার প্রতাপচন্দ্র বসু ছিলেন চন্দননগরের খলসানি অঞ্চলের বিখ্যাত বসু পরিবারের সন্তান। ঊনবিংশ শতকের শেষ এবং বিংশ শতকের শুরুর দিকে বাংলার বহু মানুষ পশ্চিম ও মধ্য ভারতে গিয়ে বসবাস শুরু করে। রাজচন্দ্র বসুর মাতা ঊষাঙ্গিনী মিত্রের পরিবারও মধ্যভারতে গিয়ে বসবাস করত। প্রতাপচন্দ্রের প্রথম স্ত্রী নিঃসন্তান মারা গেলে তিনি ঊষাঙ্গিনী দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

রাজচন্দ্র পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বড়ো ছিলেন। তিনি হরিয়ানার রোহতকের একটি সরকারি বিদ্যালয় থেকে শিক্ষালাভ শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে তিনি দিল্লির হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেই সময় তিনি ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন না। হিন্দু কলেজে থাকাকালীন ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে তাঁর মা ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পরেও রাজচন্দ্র ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় প্রথম হন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে রাজচন্দ্রের পিতা স্ট্রোকের কারণে মারা গেলে পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে তাঁকে নিজ শিক্ষার পাশাপাশি ভাইবোনদের পড়াশোনার দিকটাও লক্ষ্য রাখতে হয়। এই কঠিন দায়িত্বের মধ্যেও তিনি ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে গণিতে বি.এ. অনার্স এবং ব্যবহারিক গণিতে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় আসেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে বিশুদ্ধ গণিতে দ্বিতীয় এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৩২ সালে রাজচন্দ্র বসু ভারতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটে খন্ডকালীণ চাকুরে হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি ক্রমেইে এই ইনস্টিটিউটের প্রধান গণিতজ্ঞ হয়ে উঠেন। ১৯৩৫ সালে তিনি এই ইনস্টিটিউটের পূর্নকালীন অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৪০ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং ১৯৪৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৪৯ সালে রাজচন্দ্র বসু ক্যাপেল হিলের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন। তিনি ৭০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন।

গবেষণা[সম্পাদনা]

প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ এবং সমরেন্দ্রনাথ রায়ের সঙ্গে মিলে রাজ চন্দ্র বসু "multivariate বিশ্লেষণে" কাজ করেছেন। ১৯৩৮-৩৯ সালে রোনাল্ড ফিশার ভারত সফর করেন এবং "পরীক্ষা নকশা" সম্পর্কে রাজচন্দ্র বসুর সঙ্গে আলোচনা করেন ও কাজ করেন।

রচিত নিবন্ধ[সম্পাদনা]

আত্মজীবনী[সম্পাদনা]

  • J. Gani (ed) (1982) The Making of Statisticians, New York: Springer-Verlag.

This has a chapter in which Bose tells the story of his life.

  • J. K. Ghosh, S.K Mitra, and K. R. Parthasarathy (১৯৯২)। Glimpses of India's Statistical Heritage। Bombay: Wiley Eastern Ltd। 
  • Rudra, Ashok (১৯৯৬)। Prasanta Chandra Mahalanobis। Calcutta: Oxford University Press। 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Raj Chandra Bose, Indian Mathematician"IndiaNetzone.com। ২০২১-০২-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১১ 
  2. J J O'Connor and E F Robertson (মার্চ ২০১১)। "Raj Chandra Bose"University of St Andrews, Scotland। www-history.mcs.st-and.ac.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২১ 
  3. Bose, R. C. (১৯৮২)। Gani, J., সম্পাদক। The Making of Statisticians (ইংরেজি ভাষায়)। New York, NY: Springer। পৃষ্ঠা 83–97। আইএসবিএন 978-1-4613-8171-6ডিওআই:10.1007/978-1-4613-8171-6_7 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]