সাম্যবাদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্যবাদী
লেখককাজী নজরুল ইসলাম
দেশব্রিটিশ ভারত ,ভারত ,বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
বিষয়সাম্যবাদ
ধরনকবিতা
প্রকাশনার তারিখ
পৌষ ১৩৩২,
বাংলায় প্রকাশিত
ডিসেম্বর ১৯২৫
আইএসবিএন৯৭৮-৯৮৪০৪-১২৮৬০
পাঠ্যসাম্যবাদী উইকিসংকলন

সাম্যবাদী কাজী নজরুল ইসলামের রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। বইটি ১৯২৫ সালের ডিসেম্বরে (পৌষ,১৩৩২) প্রকাশিত হয়। কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোয় বেশিরভাগই মানবিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। [১][২]

কবিতাসমূহ[সম্পাদনা]

বইটিতে মোট ১১ টি কবিতা রয়েছে । সবগুলোতেই মানুষের সমতা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে । কবিতাসমূহ নিচে দেওয়া হল-

  • সাম্যবাদী:

মূলভাব - এই কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক মানবসমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। কবির বিশ্বাস মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে পরিচিত হয়ে ওঠা সবচেয়ে সম্মানের। নজরুলের এ আদর্শ আজও প্রতিটি মানুষের জীবনপথের প্রেরণা। কিন্তু মানুষ সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে রাজনীতি করে, দুর্বলকে শােষণ করে, এখনও একের বিরুদ্ধে অন্যকে উস্কে দেয়। এক জনের প্রতি অন্য জনকে বিমুখ করার ষড়যন্ত্র করে। নজরুল এ কবিতায় বলেছেন- “মানুষেরই মাঝে স্বৰ্গনরক মানুষেতে সুরাসুর।” নজরুল জোর দেন অন্তর ধর্মের ওপর। ধর্মগ্রন্থ পড়ে অর্জিত জ্ঞান যথার্থভাবে উপলব্ধি করতে প্রয়ােজন মানবিকতাবােধ। কবি বলেছেন মানুষের হৃদয়ের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোন মন্দির কাবা নেই। কবি সকল মত, সকল পথের উপরে স্থান দিয়েছেন মানবিকতা। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলিম সকলকে একই মায়ের সন্তানের মতাে ভেবেছেন। নজরুল মানবিক মেলবন্ধনের জন্য সংগীত রচনা করেছেন। বাণী ও সুরের মাধ্যমে মানবতার সুবাস ছড়ানাের চেষ্টা করেছেন।

নজরুল ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় মন্দির, মসজিদ, গির্জা বা অন্যান্য তীর্থক্ষেত্রের মতাে পবিত্র মনে করেছেন মানুষের হৃদয়কে। এ হৃদয় যদি পবিত্র থাকে, হৃদয়ে যদি কারাে প্রতি হিংসা, বিদ্বেষ না থাকে, সকলের প্রতি সমদর্শিতা থাকে তাহলে পৃথিবী হবে সুখের আবাসস্থল। সাম্যবাদ মানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ বিৰ্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল মানুষের সমান অধিকার থাকা উচিত এ মতবাদ। কাজী নজরুল ইসলাম তার সাম্যবাদী’ কবিতায় সব ধরনের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সাম্যবাদের বাণী প্রচার করেছেন।

  • ঈশ্বর
  • মানুষ
  • পাপ
  • চোর-ডাকাত
  • বারাঙ্গনা
  • মিথ্যাবাদী
  • নারী
  • রাজা-প্রজা
  • সাম্য
  • কুলিমজুর

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]