বিহারি জাতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(বিহারী জাতি থেকে পুনর্নির্দেশিত)
বিহারি
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
 Indiaপ্রায় ৮ কোটি ২০ লক্ষ[১]
 Pakistan৮,০০০,০০০ মুহাজির[২]
 Bangladesh৯০১,০০০[৩]
 Mauritiusইন্দো-মরিশিয়ানদের সংখ্যাগুরু অংশ[৪]
ভাষা
বিহারি (অঙ্গিকা, ভোজপুরি, মাগধী and মৈথিলি); হিন্দি; উর্দু
ধর্ম
প্রধানত হিন্দুধর্মইসলাম শিখধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্মবাহাই ধর্মাবলম্বী একটি সংখ্যালঘু অংশ।

বিহারি (বিহারি: बिहारी, بِہاری) ভারতের বিহার রাজ্যের একটি জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর ইতিহাস তিন হাজার বছরের প্রাচীন। বিহারিরা মাগধী, মৈথিলি, অঙ্গিকা, ভোজপুরি ইত্যাদি বিহারি ভাষা ও তার নানা উপভাষায় কথা বলেন। এছাড়া এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে হিন্দিউর্দু ভাষাও যথেষ্ট প্রচলিত। এরা মূলত ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।

বিহারের বাইরে সমগ্র উত্তর ভারত এবং মহারাষ্ট্রপশ্চিমবঙ্গেও বিহারিদের দেখা যায়। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানবাংলাদেশেও এদের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে অনেক বিহারি গায়ানা, সুরিনাম, ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো, ফিজি, মরিশাস ও নাটাল-দক্ষিণ আফ্রিকায় আখ ও রবার শিল্পের মজুর হয়ে চলে যায়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর অনেক মুসলমান বিহারি পূর্ব বাংলায় (পরে পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমানে বাংলাদেশ) পাড়ি দেন।[৫][৬] এছাড়াও পাকিস্তানের (পূর্বতন পশ্চিম পাকিস্তান) মুজাহির বা শরণার্থী জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিহারি।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Destination Bihar the land of Buddha
  2. "The Muhajirs of Pakistan"। One World South Asia। ২০১০-০৯-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৮ 
  3. "Joshua Project - Bihari Muslim of Bangladesh Ethnic People Profile"। ১১ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  4. "www.thaindian.com"। ১৮ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  5. "Bangladesh: Stateless Biharis Grasp for a Resolution and Their Rights"। Refugees International। ২০০৭-০৩-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-১৬ 
  6. "Stateless in Bangladesh and Pakistan"। Stateless People in Bangladesh Inc.। ২০০৭-০২-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-১৬ 
  7. "Pakistan under attack!"। The Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-১৬